বিধ্বস্ত উড়োজাহাজে কারও জীবিত থাকার সম্ভাবনা নেই: পুলিশ
Published: 12th, June 2025 GMT
ভারতের আহমেদাবাদে আবাসিক এলাকায় এয়ার ইনডিয়ার উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হওয়ার পর ঘটনাস্থলের একটি ভবন থেকে ৩০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ওই ভবনে আরও অনেকে আটকা পড়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তবে আহমেদাবাদের পুলিশ প্রধান বলেছেন, অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে বিমানের যাত্রীদের মধ্যে কেউই বেঁচে নেই। বার্তা সংস্থা এপিকে এক সাক্ষাৎকারে এ তথ্য জানান তিনি।
তিনি বলেন, আরও তথ্য পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই জানানো হবে।
বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজটি বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় দুপুরে আহমেদাবাদের সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে লন্ডনের উদ্দেশ্যে উড়াল দেওয়ার পরই দুর্ঘটনায় পড়ে। উড়োজাহাজটিতে ২৪২ জন আরোহী ছিলেন।
বিবিসি বলছে, লন্ডনের গ্যাটউইক বিমানবন্দরগামী ওই উড়োজাহাজে যে ২৪২ জন আরোহী ছিল, তার মধ্যে দুইজন পাইলট ও ১০ জন ক্রুও ছিলেন।
যাত্রীদের মধ্যে ৫৩ জন ব্রিটিশ নাগরিক, একজন কানাডার ও ৭ জন পর্তুগালের নাগরিক রয়েছে বলে জানিয়েছে এয়ার ইনডিয়া। বাকিরা সবাই ভারতীয় নাগরিক।
আহমেদাবাদ বিমানবন্দরের এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের তথ্যের বরাত দিয়ে এনডিটিভি জানিয়েছে, রানওয়ে ২৩ থেকে বেলা দেড়টার কিছু সময় পর উড়োজাহাজটি বিমানবন্দর ছাড়ে। এরপরই সেটি ‘মে ডে’ সঙ্কেত দেয়, এরপর আর উড়োজাহাজের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।
উড়োজাহাজটি চিকিৎসকদের একটি হোস্টেলে আছড়ে পড়ে বলে জানিয়েছে পুলিশ। লোকালয়ে বিধ্বস্ত হওয়ায় হতাহতের সংখ্যা বেশি হতে পারে বলে অনেকে আশঙ্কা করছেন।
দুর্ঘটনার পর আহমেদাবাদ বিমানবন্দরের কার্যক্রম ‘পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত’ বন্ধ রাখা হয়েছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব ম ন ব ধ বস ত ন হত আহম দ ব দ
এছাড়াও পড়ুন:
সুনামগঞ্জে তাজা গ্রেনেড উদ্ধারের পর নিষ্ক্রিয় করল সেনাবাহিনী
সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় একটি তাজা গ্রেনেড পাওয়া গেছে। শুক্রবার (১৩ জুন) সেনাবাহিনীর একটি দল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে গ্রেনেডটি নিষ্ক্রিয় করে। এর আগে, বৃহস্পতিবার স্থানীয় কৃষক সাব্বির আহমদের জমি থেকে গ্রেনেডটি উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সাব্বির তার জমিতে কাজ করছিলেন। এসময় একটি গ্রেনেড সাদৃশ্য বস্তু দেখতে পান তিনি। বিশ্বম্ভরপুর থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। পরে সেনাবাহিনীর বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটকে খবর দেওয়া হয়। সেনাবাহিনীর একটি দল ঘটনাস্থলে এসে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর নিশ্চিত হয়, এটি একটি তাজা গ্রেনেড। শুক্রবার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে গ্রেনেডটি নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে।
শান্তিগঞ্জ সেনাবাহিনীর ক্যাম্পের ইনচার্জ লে. কর্নেল আল হোসাইন বলেন, ‘‘গ্রেনেডটির মডেল হচ্ছে এম-৩৬। এটি ব্রিটিশ আমলে সরবরাহ করা হত। ১৯৭২ সালের পর আর এটি সরবরাহ করা হয়নি। এখানে গ্রেনেডটি প্রথম বিশ্বযুদ্ধ কিংবা মুক্তিযুদ্ধের সময়ে কোনোভাবে আসতে পারে। এটি মাটির নিচে একশ বছরের কমবেশি সময় সক্রিয় থাকতে পারে। বিস্ফোরণ ঘটিয়ে গ্রেনেডটি নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে।’’
বিশ্বম্ভরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মুখলেছুর রহমান বলেন, ‘‘এক কৃষক তার মরিচ ক্ষেতে গ্রেনেডটি দেখে আমাদের খবর দেন। আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে শান্তিগঞ্জ সেনাবাহিনীর অধিনায়ককে অবগত করি। শুক্রবার তারা গ্রেনেডটি নিষ্ক্রিয় করেছে।’’
ঢাকা/মনোয়ার/রাজীব