অ্যান্টার্কটিকার বরফের নিচ থেকে আসা অদ্ভুত রেডিও তরঙ্গের খোঁজ পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা
Published: 16th, June 2025 GMT
রহস্যময় মহাদেশ অ্যান্টার্কটিকার বরফের নিচ থেকে আসা অদ্ভুত রেডিও তরঙ্গের খোঁজ পেয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল বিজ্ঞানী। অ্যান্টার্কটিক ইমপালসিভ ট্রানজিয়েন্ট অ্যানটেনার (এএনআইটিএ) মাধ্যমে শনাক্ত করা এসব তরঙ্গ পদার্থবিজ্ঞানের বর্তমান ধারণাকে অস্বীকার করছে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, শনাক্তের আগে অস্বাভাবিক এই রেডিও তরঙ্গ হাজার হাজার কিলোমিটার ভ্রমণ করছে। আর তাই দূরত্ব ও বিকৃতির কারণে আলাদাভাবে শুধু রেডিও তরঙ্গকে শনাক্ত করা অসম্ভব। নিউট্রিনো অনুসন্ধান করার সময় ঘটনাক্রমে এই রেডিও তরঙ্গ শনাক্ত করা হয়েছে।
বিজ্ঞানী স্টেফানি উইসেল বলেন, ‘আমরা যে রেডিও তরঙ্গ শনাক্ত করেছি, তা সত্যিই খাড়াভাবে কোণিক ছিল। বরফের পৃষ্ঠের ৩০ ডিগ্রি নিচ থেকে এসব তরঙ্গ এসেছে। এসব চার্জবিহীন কণার ভর সব উপ–পরমাণু কণার মধ্যে সবচেয়ে কম। এসব কণা সাধারণত সূর্যের মতো উচ্চ শক্তির উৎস বা সুপারনোভার মতো বড় মহাজাগতিক ঘটনার মাধ্যমে নির্গত হতে পারে। আমাদের কাছে এখনো এই তরঙ্গে থাকা অসংগতির কোনো ব্যাখ্যা নেই। আমরা রেডিও তরঙ্গের মধ্যে থাকা বেশ কয়েকটি কণার অন্বেষণ করছি। এসব কণা দীর্ঘস্থায়ী রহস্যের মধ্যে একটি।’
বিজ্ঞানীদের কাছে বর্তমানে অদ্ভুত রেডিও তরঙ্গের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো উত্তর নেই। ধারণা করা হচ্ছে, পিইউইও নামক নতুন ডিটেক্টর ব্যবহার করে ভালোভাবে নিউট্রিনো সংকেত শনাক্ত করা যাবে। তখন রহস্যের সমাধান হতে পারে।
সূত্র: এনডিটিভি, পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র ড ও তরঙ গ র
এছাড়াও পড়ুন:
মুশফিকের প্রেমকাহিনির মঞ্চে ম্যাথুসের বিদায়ী সুর
* শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২৬ টেস্টে বাংলাদেশের একটাই জয়। সেটি আবার শ্রীলঙ্কাতে। সেই জয় বাংলাদেশের শততম টেস্টে বলে আপনার তা খুব ভালোমতোই মনে থাকার কথা।
* টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের ৬০০ ছাড়ানো একমাত্র স্কোরটি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। সেটিও শ্রীলঙ্কাতে।
* টেস্টে বাংলাদেশের কোনো ব্যাটসম্যানের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। হ্যাঁ, হ্যাঁ, সেটিও শ্রীলঙ্কাতেই।
শেষ দুটি আবার একে অন্যের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। দুটি একই টেস্টে। ২০১৩ সালে যে টেস্টে বাংলাদেশের ৬৩৮, সেটিতেই মুশফিকুর রহিমের ডাবল সেঞ্চুরি। টানা ১২ টেস্টে হারার পর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ড্র-ও।
এই পুরোনো প্যাচাল খুব বেশি অপ্রাসঙ্গিক লাগবে না, যখন জানবেন ওই টেস্টটা হয়েছিল গল ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে। পশ্চাৎপটে অতিকায় গল ফোর্টের পাথুরে কাঠামো আর দুই পাশে সাগর মিলিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর স্টেডিয়ামের একটি। ২০০৪ সালে সুনামিতে লন্ডভন্ড হয়ে যাওয়ার পর পুনর্জন্ম নেওয়া গলের সেই মাঠেই আজ শুরু বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা প্রথম টেস্ট। শুরু আসলে তিন ধরনের ক্রিকেটেই একে অন্যের নাড়ি-নক্ষত্র বুঝে নেওয়ার লড়াই। যাতে টেস্ট আছে, ওয়ানডে আছে, আছে টি-টোয়েন্টিও। দুই টেস্টের পর সাদা বলের সিরিজে তিনটি করে ম্যাচ।
আরও পড়ুনআমিনুল ইসলাম বুলবুলকে চিনতে হলে এই লেখাটা পড়তে হবে০২ জুন ২০২৫দুই দল পরস্পরের খুব চেনা। বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি ২৬টি টেস্ট খেলেছে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। ঘন ঘন দেখা হলে হৃদ্যতা যেমন হয়, তেমনি রেষারেষিও। বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার ক্ষেত্রেও তা-ই হয়েছে। গত কয়েক বছরে এই দুই দল মুখোমুখি হলেই মাঠে বা মাঠের বাইরে উত্তেজনার ফুলকি ছুটেছে। ‘টাইমড আউট’ হয়তো সেটির এক নম্বরে, এর বাইরেও নানা কিছু মিলে লঙ্কা-বাংলা এখন গনগনে এক দ্বৈরথের নাম।
গত চার বছর দুই দলের মধ্যে চতুর্থ টেস্ট সিরিজ। দুই দলের জন্যই রণকৌশল ঠিক করা তাই খুব সহজ হওয়ার কথা। বাংলাদেশ দলের জন্য হয়তো তা থাকছে না শ্রীলঙ্কা দলে নতুনের সমারোহে। ১৮ জনের দলের এক–তৃতীয়াংশই এখনো টেস্ট খেলার অপেক্ষায়। বাংলাদেশ দলেও কিছু পরিবর্তন আছে, তবে তা ধর্তব্যের মধ্যে নয়।
টেস্টের প্রস্তুতিতে গলে অনুশীলন করেছে বাংলাদেশ দল