চট্টগ্রাম নগরে করোনার টিকাদান শুরু আজ
Published: 18th, June 2025 GMT
চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়তে থাকায় ফাইজারের বুস্টার ডোজ টিকাদান কার্যক্রম আবারও শুরু করছে সিটি করপোরেশন।
আজ বুধবার প্রথম ধাপে ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তি ও প্রসূতিরা এ টিকা নিতে পারবেন। নগরকে সাতটি অঞ্চলে ভাগ করে প্রতিটি অঞ্চলে প্রাথমিকভাবে ৩০০ ডোজ করে ফাইজারের টিকা পাঠানো হয়েছে। প্রতিটি ভায়ালে রয়েছে ছয় ডোজ টিকা। প্রচারণার মাধ্যমে মানুষকে টিকা নিতে উদ্বুদ্ধ করার পরিকল্পনাও রয়েছে বলে জানায় সিটি করপোরেশনের স্বাস্থ্য বিভাগ।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ইমাম হোসেন বলেন, নগরে করোনা রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকায় টিকাদান কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছি। এ ক্ষেত্রে বয়স্ক ও প্রসূতিদের অগ্রাধিকার দিয়ে পর্যায়ক্রমে অন্যদেরও টিকার আওতায় আনা হবে। গত ২৭ মে চট্টগ্রামে ৬৭ হাজার ডোজ ফাইজারের টিকা আসে।
চট্টগ্রাম জেলার সিভিল সার্জন জাহাঙ্গীর আলম বলেন, করোনা টিকা সবার জন্য উন্মুক্ত। আমাদের কাছে পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: কর ন
এছাড়াও পড়ুন:
দেশে গাছপালা নিধনের জন্য বন বিভাগ কম দায়ী নয়: উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা
পার্বত্য চট্টগ্রামসহ সারা দেশে বনভূমি উজাড় ও গাছপালা কমে যাওয়ার জন্য বন বিভাগের দায় রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা। আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে রাঙামাটি শহরের জিমনেশিয়াম মাঠে সপ্তাহব্যাপী বৃক্ষমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই মন্তব্য করেন তিনি।
সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে যে অবস্থা দাঁড়িয়েছে যদি বলা হয় যে আর কোনো কিছু অবশিষ্ট নেই, তাহলে খুব বেশি ভুল হবে না। ৮০ সাল পর্যন্ত এখানে বন ছিল, গাছপালা ছিল, ঝোপঝাড় ছিল। এই অঞ্চলে বা দেশে গাছপালা নিধনের জন্য বন বিভাগ কোনো অংশ কম দায়ী নয়।
সুপ্রদীপ চাকমা আরও বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের চেয়ে বড় আকারের বনভূমি এখন মুন্সিগঞ্জ, নরসিংদী কিংবা সিলেটে দেখা যায়। পার্বত্য অঞ্চলে এই অবস্থা কেন সৃষ্টি হলো সবার ভাবতে হবে।
পার্বত্য উপদেষ্টা আরও বলেন, পার্বত্য অঞ্চলে সাধারণত ভাদ্র মাসের প্রথম দিকে শীতের অনুভূতি পাওয়া যেত। এখন কার্তিক মাসেও শীতের অনুভূতি পাওয়া যায় না। যারা আদিকাল থেকে এই অঞ্চলে বসবাস করে আসছে, তারা প্রকৃতি সচেতন ছিল। তাই তাদের ওপর খুব বেশি ভূমি ধস হয়েছে শোনা যায় না। তাদের বাড়িঘরেও হয়নি। প্রকৃতিকে যারা চেনে না, তাদের ওপর ভূমিধস হয়।
বৃক্ষমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ। এ ছাড়া বক্তব্য দেন পরিকল্পনা কমিশনের জ্যেষ্ঠ সচিব এ কে এম আকমল হোসেন আজাদ, রাঙামাটি সার্কেলের বন সংরক্ষক মো. আবদুল আওয়াল সরকার, জেলা পুলিশ সুপার এস এম ফরহাদ হোসেন, সিভিল সার্জন নূয়েন খীসা, দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা এস এসম সাজ্জাদ হোসেন প্রমুখ। এর আগে ফিতা কেটে ও বেলুন উড়িয়ে বৃক্ষমেলার উদ্বোধন করা হয়। ৮ আগস্ট পর্যন্ত এই মেলা চলবে। বৃক্ষমেলায় ২১টি স্টল অংশগ্রহণ করেছে।