কুমিল্লার লাকসাম উপজেলায় এক তরুণীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত ৯ জুনের ঘটনায় চারজনের বিরুদ্ধে মামলার পর সোমবার রাতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

ভুক্তভোগীর বাড়ি মনোহরগঞ্জ উপজেলায়। তিনি লাকসামের ফতেহপুর এলাকার একটি কারখানায় চাকরি করেন। গ্রেপ্তার তিনজন হলো– লাকসাম উপজেলার বড়তোপা গ্রামের মো.

সাগর (২৬), লাকসাম পৌর এলাকার পেয়ারাপুর এলাকার এনায়েতুর রহমান সাক্কু (১৯) ও কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার চর-কাউনা গ্রামের স্বপন মিয়া (২১)। মঙ্গলবার তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ওই তরুণীর সঙ্গে এক যুবকের প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। ৮ জুন কথিত প্রেমিককে খুঁজতে লাকসাম বাজারে যান তিনি। সেখানে অটোরিকশাচালক সাক্কুর সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। সাক্কু তাঁকে লাকসাম শহরে তাঁর প্রেমিককে খুঁজে দেওয়ার আশ্বাস দেয়। খোঁজাখুঁজির পর না পেলে রাত ১০টার দিকে লাকসাম রেলওয়ে জংশনের দক্ষিণ পাশে প্ল্যাটফর্মে গিয়ে বসেন তরুণী। তখন রেলস্টেশনের কিছু বখাটে তাঁকে উত্ত্যক্ত করতে থাকে। এ সময় সাক্কু তাঁকে স্ত্রী হিসেবে পরিচয় দেয়। এর পর বখাটেরা দু’জনকে পরদিন ভোর সাড়ে ৪টা পর্যন্ত স্টেশনে বসিয়ে রাখে। এর মধ্যে সাক্কু ওই তরুণীকে স্ত্রী নয় বলে বখাটেদের হাতে তুলে দিতে চায়। এক পর্যায়ে বখাটেদের সঙ্গে যোগসাজশ করে তাঁকে লাকসাম রেলস্টেশন থেকে মারতে মারতে রেললাইনের পূর্ব পাশের পরিত্যক্ত একটি টিনের ঘরে নিয়ে যায়। সেখানে সাক্কুর সহায়তায় খোরশেদ, সাগর ও স্বপন নামের তিন বখাটে দলবদ্ধ ধর্ষণ করে।

লাকসাম থানার ওসি নাজনীন সুলতানা জানান, এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর মামাতো ভাই বাদী হয়ে সোমবার রাতে চারজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন। এর পর অভিযান চালিয়ে তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মঙ্গলবার কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভুক্তভোগীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং আদালতে জবানবন্দি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। অপর আসামি খোরশেদকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

সাভারে তরুণীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে মামলা, গ্রেপ্তার ১

সাভারে এক তরুণীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় দেলোয়ার (৩৫) নামে যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার বিকেলে সাভারের তেঁতুলঝড়া ইউনিয়নের রাজফুলবাড়িয়া এলাকা থেকে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়।

রবিবার (১ নভেম্বর) সকালে সাভার মডেল থানার ট্যানারি ফাঁড়ির ইনচার্জ সিরাজুল ইসলাম সবুজ গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। গ্রেপ্তার দেলোয়ার একই এলাকার বাসিন্দা। 

আরো পড়ুন:

গাইবান্ধায় চোর সন্দেহে মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা

১০০ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ, জাহাঙ্গীরের নামে মামলা

পুলিশ জানায়, ভুক্তভোগী তরুণী সঙ্গে দেলোয়ারের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পরিচয় হয়। এরপর থেকে তাদের মধ্যে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ হত। তরুণী বিদেশে যাবে বলে ওই যুবককে জানায়। অভিযুক্ত দেলোয়ার তার মায়ের মাধ্যমে তরুণীকে বিদেশে নিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। 

এ কথা শুনে দেলোয়ারকে তার মাকে নিয়ে বাসায় আসতে বলেন তরুণী। বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) রাতে দেলোয়ার তার মা এবং অন্তর নামে এক বন্ধুকে নিয়ে তরুণীর বাসায় যান। আলোচনা শেষে দেলোয়ারের মা তরুণীর বাসা থেকে চলে যান। দেলোয়ার ও তার বন্ধু বাসায় অবস্থান করেন। বাসায় কেউ না থাকার সুযোগে তারা তরুণীকে ধর্ষণ করে পালিয়ে যান। শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) দুপুরে ভুক্তভোগী তরুণী সাভার মডেল থানায় দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ করেন।

সাভার মডেল থানার ট্যানারি ফাঁড়ির ইনচার্জ সিরাজুল ইসলাম সবুজ বলেন, ভুক্তভোগী তরুণীর অভিযোগের ভিত্তিতে শুক্রবার রাতেই সাভার মডেল থানায় একটি দায়ের হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত দেলোয়ারকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে আদালতে পাঠানো হবে। অপর আসামিকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। 

ঢাকা/সাব্বির/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সাভারে তরুণীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে মামলা, গ্রেপ্তার ১