টানা বৃষ্টিতে ডুবলো খুলনা, চরম ভোগান্তিতে নগরবাসী
Published: 18th, June 2025 GMT
আষাঢ়ের টানা বৃষ্টিতে ডুবলো খুলনা। সোমবার থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টির পানিতে নগরীর অধিকাংশ সড়ক, নিম্নাঞ্চলের অলিগলি ও ঘর-বাড়িতে পানি উঠেছে। অধিকাংশ বাড়ি ও দোকানপাটের নিচতলা এখন পানির নিচে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে নগরবাসী।
সোমবার(১৬ জুন) সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত খুলনাতে ৫৩ মিলিমিটার এবং মঙ্গলবার (১৭ জুন) ৩৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। খুলনায় মৌসুমের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। বুধবার (১৮ জুন) সকাল থেকেও হালকা বৃষ্টিপাত অব্যহত রয়েছে।
খুলনা আবহাওয়া অফিস থেকে আবহাওয়াবিদ মো.
এদিকে নগরবাসীর অভিযোগ, নগরীর সড়ক, ড্রেনেজ ও সুয়ারেজসহ উন্নয়ন কাজের ধীরগতির ফলে তারা জিম্মি হয়ে পড়েছে। ফলে অল্প বৃষ্টি হলেই অনেক এলাকা তলিয়ে যায়।
টানা বৃষ্টিতে নগরীর অধিকাংশ রাস্তাঘাটের ড্রেন উপচে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এর মধ্যে রয়্যাল মোড়, দোলখোলা মোড়, বাইতিপাড়া মোড়, খানজাহান আলী সড়ক, শামসুর রহমান রোড, আহসান আহমেদ রোড, বাস্তুহারা, চানমারী, লবণচরা, টুটপাড়া, মিস্ত্রিপাড়া, ইকবালনগর, বাগমারা, বানিয়খামার, মিস্ত্রিপাড়া, নতুন বাজার, সোনাডাঙ্গা আবাসিকসহ বেশ কিছু নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে।
নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় সাধারণ মানুষ বিশেষ করে কর্মজীবী ও নিম্ন আয়ের মানুষেরা চরম দুর্ভোগে পড়েন। এছাড়া, নগরীর সোনাডাঙ্গা, খালিশপুর, দৌলতপুর, খানজাহান আলী, আড়ংঘাটা ও ফুলবাড়ি গেট খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এলাকাও প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
বানিয়াখামার এলাকার নূরুল হুদা বলেন, “সিটি করপোরেশন হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করে সড়ক উঁচু ও ড্রেন তৈরি করছে। কিন্তু সামান্য বৃষ্টিতে সব তলিয়ে যাচ্ছে। কোন কাজ শুরু হলে আর শেষ হয় না। ড্রেনগুলো বন্ধ হয়ে আছে। তাই বৃষ্টির পানি বাড়িঘরে প্রবেশ করছে। এতে নগরবাসীর চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।”
দোলখোলার বাসিন্দা আব্দুল্লাহ বলেন, “ওয়াসা দিনের পর দিন স্যুয়ারেজ লাইন বসাচ্ছে। ৩-৪ মাস ধরে কাজ চলছে তো চলছেই। রাস্তাঘাট বেহাল অবস্থা। স্বাভাবিক সময়ে হাঁটার অবস্থা নেই। বৃষ্টিতে আরো খারাপ অবস্থা।”
খুলনা নাগরিক সমাজের সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট বাবুল হাওলাদার জানান, রাস্তা উঁচু, ড্রেন নির্মাণ ও স্যুয়ারেজ কাজে খুলনায় হাজার কোটি টাকা ব্যয় করছে। কিন্তু নাগরিকরা কোনো সুফল পাচ্ছে না। বৃষ্টি হলেই পানি জমে যাচ্ছে। মানুষের দুর্ভোগের শেষ নেই। কোনো কাজ শুরু হলে আর শেষ হতে চায় না। নগরবাসী এ অবস্থা থেকে বাঁচতে চান।
খুলনা সিটি করপোরেশনের প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা আনিুসুর রহমান জানান, করপোরেশন জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজ করছে। উন্নয়ন কাজগুলো শেষ হলে নগরবাসী সুফল পাবেন বলে আশা করছি।
ঢাকা/নুরুজ্জামান/ইভা
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর নগরব স নগর র অবস থ
এছাড়াও পড়ুন:
শাহবাগ, শহীদ মিনার ও সোহরাওয়ার্দীতে রোববার সমাবেশ, যান চলাচলে ডিএমপির বিশেষ নির্দেশনা
আগামীকাল রোববার রাজধানীর শাহবাগ, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পৃথক সমাবেশ ও অনুষ্ঠান রয়েছে। এসব আয়োজনকে ঘিরে সংশ্লিষ্ট এলাকায় যান চলাচল নিয়ন্ত্রণে বিশেষ নির্দেশনা জারি করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। এদিন নগরবাসীকে ওই সব এলাকা যথাসম্ভব এড়িয়ে চলাচল করার অনুরোধ জানিয়েছে ডিএমপি।
আজ শনিবার ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এই অনুরোধ জানানো হয়। এ ছাড়া এইচএসসি ও সমমান এবং বিসিএস পরীক্ষার্থীদের যথেষ্ট সময় নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রের উদ্দেশে রওনা হওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে।
গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘৩ আগস্ট রোববার দুপুর ১২টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত শাহবাগ মোড়ে জুলাই–আগস্ট গণ–অভ্যুত্থান, শোক ও বিজয়ের প্রথম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের উদ্যোগে ‘ছাত্র সমাবেশ’ অনুষ্ঠিত হবে। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উদ্যোগে বেলা তিনটা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত ‘জুলাই ঘোষণাপত্র ও সনদের’ দাবিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জনসমাবেশ হবে। আর সাইমুম শিল্পগোষ্ঠীর আয়োজনে ১ থেকে ৪ আগস্ট প্রতিদিন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ৩৬ জুলাই কালচারাল ফেস্ট ‘জুলাই জাগরণ’ অনুষ্ঠান চলছে। এ ছাড়া আগামীকাল ঢাকার বিভিন্ন কেন্দ্রে এইচএসসি ও বিসিএস পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।’
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এসব সভা–সমাবেশ ও অনুষ্ঠানের কারণে রোববার শাহবাগ, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এবং কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় ব্যাপক জনসমাগম ঘটবে। যার কারণে শাহবাগ ক্রসিং দিয়ে যান চলাচল সম্ভব হবে না। এমতাবস্থায় নগরবাসীকে এসব এলাকা এড়িয়ে বিকল্প পথে চলাচল করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হয়।
এইচএসসি ও সমমান এবং বিসিএস পরীক্ষার্থীদের যথেষ্ট সময় নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রের উদ্দেশে রওনা হওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে।বিকল্প ব্যবস্থার বিষয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘সোনারগাঁও ক্রসিং বা বাংলামোটর ক্রসিং হয়ে উত্তর দিকে থেকে আসা গাড়িগুলো হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল থেকে সোজা শাহবাগের দিকে না গিয়ে বাঁয়ে মোড় নিয়ে হেয়ার রোড বা মিন্টো রোড হয়ে যাতায়াত করবে। সায়েন্স ল্যাব ক্রসিং থেকে এলিফ্যান্ট রোড হয়ে আসা গাড়িগুলো কাঁটাবন মোড় থেকে শাহবাগের দিকে না গিয়ে ডানে মোড় নিয়ে নীলক্ষেত বা পলাশী হয়ে অথবা কাঁটাবন মোড় থেকে বাঁয়ে মোড় নিয়ে হাতিরপুল রাস্তা হয়ে বাংলামোটর লিংক রোড দিয়ে চলাচল করবে।
এ ছাড়া হাইকোর্ট কদম ফোয়ারা ক্রসিং হয়ে আসা গাড়িগুলো মৎস্য ভবন থেকে শাহবাগের দিকে না গিয়ে সোজা হেয়ার রোড বা শহীদ ক্যাপ্টেন মনসুর আলী সরণি (মগবাজার) রোড হয়ে চলাচল করবে। অপর দিকে কাকরাইল মসজিদ ক্রসিং হয়ে উত্তর দিকে আসা গাড়িগুলো মৎস্য ভবন ক্রসিং থেকে শাহবাগের দিকে না গিয়ে সোজা হাইকোর্ট হয়ে গুলিস্তান বা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে চলাচল করবে। নীলক্ষেত ক্রসিং বা দোয়েল চত্বর ক্রসিং থেকে আসা গাড়িগুলো টিএসসি বা রাজু ভাস্কর্য ক্রসিংয়ে এসে শাহবাগের দিকে না গিয়ে দোয়েল চত্বর বা নীলক্ষেত ক্রসিং হয়ে চলাচল করবে।