নির্বাচন ছাড়াই কমিটিতে বিএনপির দুই নেতা
Published: 19th, June 2025 GMT
জামায়াতের কাছ থেকে হাতবদল হয়ে বগুড়া পরিবহন মালিক সমিতির নিয়ন্ত্রণ চলে গেছে বিএনপি নেতাদের কাছে। এ নিয়ে দু’পক্ষ পাল্টাপাল্টি বক্তব্য দিয়েছে। এক পক্ষ সংবাদ সম্মেলন করে কমিটিকে অবৈধ ঘোষণা করেছে। অন্য পক্ষ বলছে, নিয়ম মেনেই কমিটি করা হয়েছে।
৫ আগস্টের পর থেকে জেলার বড় আর্থিক সংগঠন বগুড়া পরিবহন মালিক সমিতির দায়িত্বপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে সংগঠনটি পরিচালনা করে আসছিলেন জামায়াত নেতা এরশাদুল বারী এরশাদ। ১০ মাস পর ভোট ছাড়াই নির্বাচন পরিচালনা কমিটি ২৫ সদস্যের কমিটির তালিকা ঘোষণা করে। সভাপতি করা হয়েছে জেলা বিএনপির সহসভাপতি তৌহিদুর রহমান মামুন ও সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে বগুড়া শহর বিএনপির সভাপতি হামিদুল হক চৌধুরী হিরুকে। গত মঙ্গলবার কমিটিকে অবৈধ দাবি করে সংবাদ সম্মেলন করেন জামায়াত নেতা এরশাদ।
অভিযোগে বলা হয়, সদস্যরা ভোটের মাধ্যমে কমিটি গঠনের দাবি করে আসছিলেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে শ্রম দপ্তর রাজশাহীর পরিচালক ২৪ মে নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করেন। এর আগে ১২ মার্চ ৫ সদস্যের নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠন করে দেন। চেয়ারম্যান করা হয় সিনিয়র সদস্য ফজলুর রহমান তালুকদারকে। ২৩ মে জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচনের কারণে মোটর মালিক সমিতির নির্বাচন পিছিয়ে ১৪ জুন করা হয়। এদিকে চেয়ারম্যান একটি পক্ষকে খুশি করতে পাঁয়তারা করতে থাকেন। এতে ক্ষুব্ধ হন বেশির ভাগ সদস্য। আলফাজ হোসেন নামে একজন পরিবহন মালিক রিট করলে আদালত নির্বাচনের ওপর দুই মাসের স্থগিতাদেশ দেন। এরপর কমিটির চেয়ারম্যান সদস্যদের না জানিয়ে স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে আপিল করেন। ৩ জুন স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করেন আদালত। স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের পর নতুন করে তপশিল ঘোষণা না করে চেয়ারম্যান আগের ঘোষিত তপশিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র বিতরণ করেন; যা নিয়মবহির্ভূত। নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব জুয়েল হাসান বিষয়টি শ্রম অধিদপ্তরের পরিচালককে অবহিত করেন। এরপরও চেয়ারম্যান ১৪ জুন ২৫ সদস্যের তালিকা প্রকাশ করেন।
নবগঠিত কমিটির সাধারণ সম্পাদক হামিদুল হক চৌধুরী হিরু বলেন, ‘নিয়ম অনুযায়ী মনোনয়নপত্র তুলে জমা দিয়েছিলাম। কোনো প্রার্থী না থাকায় পরিচালনা কমিটি আমাকে নির্বাচিত ঘোষণা করেছেন।’
নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান বলেন, ‘নির্বাচনের ওপর উচ্চ আদালত স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করেছেন। এরপর নিয়মানুযায়ী নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে। একাধিক প্রার্থী না থাকায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। যারা কমিটি অবৈধ দাবি করছেন তারা ভুল বলছেন।’
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
সৌদির ক্লাব আল-হিলালে আটকে গেল রিয়াল
রিয়াল মাদ্রিদ বনাম আল-হিলাল। নামের ভারে ইউরোপীয় দাপট স্পষ্ট। কিন্তু মাঠে দেখা গেল অন্য গল্প। এক উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচে বিশ্ব ফুটবলের দুই প্রান্তের প্রতিনিধিত্বকারী দল দুটি ১-১ গোলে সমতায় থেমে গেল। আর ম্যাচের নাটকীয়তায় অন্যতম হাইলাইট হয়ে রইলো ফেদেরিকো ভালভার্দের মিস করা পেনাল্টি।
খেলাটি ছিল নতুন অধ্যায়ের সূচনা। দুই দলের কোচই ছিলেন প্রথমবারের মতো দায়িত্বে। রিয়ালের ডাগআউটে সাবেক বায়ার লেভারকুজেন গুরু জাভি আলোনসো। আর আল-হিলালের ছত্রছায়ায় ইন্টার মিলান-নির্মাতা সিমোনে ইনজাগি।
প্রথমার্ধে আল-হিলাল শুরু থেকেই রিয়ালকে চাপে রাখে। দ্বিতীয় মিনিটেই মিলিনকোভিচ-সাভিচের প্রচণ্ড শট থিবো কোর্তোয়া আটকে দিয়ে সমর্থকদের হৃদপিণ্ডে ধাক্কা দিয়ে জানান দেন সহজ জয় আজকের দিনে মিলবে না।
রক্ষণভাগে ইনজুরির ছোবল সামাল দিতে হিমশিম খাওয়া রিয়াল ম্যাচের ৩৩ মিনিটে গোলের দেখা পায় গন্সালো গার্সিয়ার নিখুঁত ফিনিশে। তবে সেই আনন্দের সময় সংক্ষিপ্ত ছিল। মাত্র চার মিনিটের মাথায় রাউল আসেন্সিওর ফাউলে পেনাল্টি পায় আল-হিলাল। আর পেনাল্টি থেকে রুবেন নেভেস সমতায় ফেরান দলকে।
দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচ রিয়ালের নিয়ন্ত্রণে থাকলেও আল-হিলাল একের পর এক প্রতিরোধ গড়ে তোলে। বিশেষ করে ইয়াসিন বোনোর গোললাইনের দৃঢ়তা ছিল চোখে পড়ার মতো। ৮৭ মিনিটে ফ্রান গার্সিয়াকে ফাউল করে পেনাল্টি উপহার দেয় আল-হিলাল। কিন্তু সেখানেও ভাগ্যের বিপরীতে গিয়ে ভালভার্দের দুর্বল শট আটকে দেন বোনো।
এই ম্যাচে অভিষেক হয় রিয়ালের নতুন দুই তারকা ট্রেন্ট-আলেকজ্যান্ডার আর্নল্ড ও ডিন হাউসেনের। যদিও শুরুটা হয়নি প্রত্যাশামতো। অন্যদিকে, আল-হিলালের গতি ও গেমপ্লান দেখে বোঝা যাচ্ছে ইনজাগির অধীনে এই দলটি শুধুই নামেই এশিয়ান জায়ান্ট নয়, মাঠেও তারা ইউরোপীয় পরাশক্তিদের চ্যালেঞ্জ জানানোর মতো প্রস্তুত।
পরের ম্যাচে ২২ জুন দিবাগত রাতে মেক্সিকান ক্লাব পাচুকা এফসির মুখোমুখি হবে রিয়াল। আর আল-হিলাল খেলবে অস্ট্রিয়ান ক্লাব আরবি সলসবুর্গের বিপক্ষে।
ঢাকা/আমিনুল