কলাপাড়ায় রেকর্ড বৃষ্টি, ভোগান্তি চরমে
Published: 19th, June 2025 GMT
বর্ষা শুরু হতে না হতেই তার প্রভাব পড়েছে জনজীবনে। তীব্র গরম থেকে কিছুটা রেহাই মিললেও পটুয়াখালীতে টানা তিন দিনের বৃষ্টিতে স্থবিরতা নেমেছে।
বুধবার (১৮ জুন) সকাল ৬টা থেকে বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) সকাল ৬টা পর্যন্ত এ বছরের সকল রেকর্ড ভেঙে জেলার কলাপাড়ায় সর্বোচ্চ ১৩৪.৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস।
টানা বৃষ্টিতে চরম দুর্ভোগে পড়েছে সব মানুষ। সবেচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে রয়েছেন শ্রমজীবীরা। এদিকে, টানা বষ্টিতে নিচু স্থানে পানি জমে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। তলিয়ে গেছে অসংখ্য মাছের ঘের ও পুকুর। ভেসে গেছে এসব ঘের ও পুকুরের মাছ। এতে লোকসানে পড়েছেন মৎস্য চাষীরা।
আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, অতিভারী বৃষ্টির সঙ্গে উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। তাই পটুয়াখালী পায়রা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সব মাছধরা ট্রলারসমূহকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলেছে আবহাওয়া অফিস।
এদিকে, দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্ব দিক থেকে অস্থায়ীভাবে ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার শঙ্কায় বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা পর্যন্ত পটুয়াখালীসহ দেশের ১৮ নদী বন্দরসমূহকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
কলাপাড়ার টিয়াখালী ইউনিয়নের রিকশাচালক আলমগীর হোসেন বলেন, “বৃষ্টি আর বৃষ্টি। কিছু তো করার নেই, পেট চালাতে হলে রিকশা তো চালাতেই হবে। রিকশা চালানোর জন্য গায়ে পলিথিন মুড়িয়ে নিয়েছি। তাপরও বৃষ্টির পানি শরীরে ঢুকে যাচ্ছে।”
একই এলাকার শ্রমজীবী আল আমিন হাওলাদার বলেন, “দুই দিন ধরে বদলার হাটে আসি আর ফিরে যাই। বৃষ্টির কারণে কেউ কাজ করাতে চায় না। আবার বৃষ্টির মধ্যে কাজ করাও অনেক কষ্ট৷ এভাবে বৃষ্টি চলতে থাকলে সংসার চালানো দায় হয়ে যাবে।”
পটুয়াখালী জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুবা সুখী বলেন, “আগামী ২৪ ঘণ্টা অতিভারী বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে। সেই সঙ্গে উপকূলীয় এলাকায় বজ্রবৃষ্টি এবং ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।”
ঢাকা/ইমরান/ইভা
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মধ্য আফ্রিকান রিপাবলিকে বিমান বাহিনীর শান্তিরক্ষা কন্টিনজেন্ট প্রতিস্থাপন
মধ্য আফ্রিকান রিপাবলিকে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন, মিনুস্কাতে নিয়োজিত কন্টিনজেন্টের সদস্যগণকে ১২৫ জন শান্তিরক্ষী প্রতিস্থাপন করছে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী। প্রতিস্থাপন কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিমান বাহিনীর ১২৫ জন সদস্য জাতিসংঘের ভাড়া করা বিমানে (ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্স) বৃহস্পতিবার আফ্রিকান রিপাবলিকের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করেছেন।
বিমান বাহিনীর এই আর্মড মিলিটারি ইউটিলিটি হেলিকপ্টার ইউনিটের নেতৃত্বে আছেন এয়ার কমডোর ইমরানুর রহমান। সহকারী বিমান বাহিনী প্রধান (প্রশাসন) এয়ার ভাইস মার্শাল রুসাদ দীন আছাদ বিমান বন্দরে উপস্থিত থেকে তাদের বিদায় জানান।
বিবাদমান সংঘাত নিরসনে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর সদস্যরা অত্যন্ত দক্ষতা, পেশাদারিত্ব এবং আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে সে দেশের সরকার এবং আপামর জনসাধারণের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন। তাদের অর্জিত এ সুনাম ও সাফল্য অক্ষুন্ন রেখে শান্তিরক্ষীরা ভবিষ্যৎ দিনগুলোতে যেন আরও উৎকর্ষতা অর্জন করতে পারে, এ কামনা করে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে এক মোনাজাত অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।