চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে ট্রেনে কাটা পড়ে তিন তরুণের মৃত্যু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার সোনাপাহাড় এলাকায় বিএসআরএম কারখানা সংলগ্ন স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

রেলওয়ের পুলিশ জানায়, তাঁরা রেললাইনের ওপর বসে আড্ডা দিচ্ছিলেন। ট্রেন আসার বিষয়টি খেয়াল করেননি। তবে কোন ট্রেনে কাটা পড়ে তাঁদের মৃত্যু হয়েছে, তা রেলওয়ে কর্মকর্তারা নিশ্চিত করতে পারেননি।

নিহত তিন তরুণ হলেন মো.

আরাফাত (১৮) মোহাম্মদ আনিস (১৮ ) ও মোহাম্মদ রিয়াজ (১৮)। তাঁরা সবাই উপজেলার জোরারগঞ্জ ইউনিয়নের সোনাপাহাড় এলাকার বাসিন্দা।

দুর্ঘটনার পর তিনজনকে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে মিরসরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁদের মৃত ঘোষণা করেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক মোহাম্মদ এরশাদ উল্লাহ প্রথম আলোকে বলেন, ‘হাসপাতালে আনার আগেই তাঁদের মৃত্যু হয়েছে। নিহত তিন তরুণের শরীরে হাড় ভাঙা ও নানা আঘাতের চিহ্ন ছিল। আমরা বিষয়টি পুলিশকে জানালেও পুলিশ আসার আগেই এখান থেকে স্বজনেরা তাড়াহুড়ো করে তিন তরুণের লাশ নিয়ে যায়।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জোরারগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আব্দুল হালিম ট্রেনে কাটা পড়ে তিন তরুণের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে প্রথম আলোকে বলেন, নিহত তিন তরুণ রাতের ওই সময়ে রেললাইনে কী করছিলেন এবং কীভাবে তাঁরা ট্রেনে কাটা পড়ে মারা গেছেন, বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।

চট্টগ্রাম রেলওয়ে থানা–পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম শহীদুল ইসলাম বলেন, নিহত তিন তরুণ পেশায় গাড়ির হেলপার (সহকারী)। তাঁরা রেললাইনের ওপর আড্ডা দিচ্ছিলেন বলে স্থানীয়ভাবে জানা গেছে। ট্রেন আসার বিষয়টি খেয়াল করেননি।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ত ন তর ণ র উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

শেরপুরে কৃষককে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ

শেরপুরের শ্রীবরদীতে সুদের টাকা নিয়ে বিরোধের জেরে এক কৃষককে বেঁধে রেখে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। গত বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) বিকেলে দহেরপাড় গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। ভুক্তভোগী মো. আকবর আলী রবিবার (২ নভেম্বর) শ্রীবরদী থানায় তিনজনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। 

অভিযোগ পাওয়ার তথ্য গণমাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন শ্রীবরদী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আনোয়ার জাহিদ।

আরো পড়ুন:

‎নামাজরত বাবাকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ, ৩ পুলিশ আহত

মুন্সীগঞ্জে ড্রেনের ভেতরে মিলল ২৩টি ককটেল, আটক ১

অভিযুক্তরা হলেন, দহেরপার গ্রামের মৃত নুজ বাউনের ছেলে আবু সামা ওরফে বুইজে (৬০), মৃত তরি মিয়ার ছেলে বনিজ উদ্দিন (৫০) ও মৃত ডায়ে শেখের ছেলে আব্দুল বারেক (৩০)।

ভুক্তভোগী আকবর আলীর বলেন, “প্রায় এক বছর আগে তিনি বারেকের কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা সুদে নেন। চুক্তি অনুযায়ী তিনি প্রতি মাসে চার হাজার টাকা করে সুদও পরিশোধ করে আসছেন। সম্প্রতি মূল টাকা ফেরত দিলেও অতিরিক্ত আরো দুই হাজার টাকা দাবি করেন বারেক। এ টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে অভিযুক্তরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন।”

তিনি বলেন, “গত বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে পরিকল্পিতভাবে তারা আমার বাড়িতে প্রবেশ করে। তারা আমাকে লাঠিপেটা করে গুরুতর আহত করে। একপর্যায়ে আমাকে রশি দিয়ে বেঁধে টেনে-হিঁচড়ে আবু সামার বাড়িতে নিয়ে যায়। তার বাড়ির সামনের রাস্তার সিমেন্টের খুঁটির সঙ্গে রশি দিয়ে বেঁধে নির্যাতন করে। পরে স্থানীয়রা আমাকে শ্রীবরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।”

শ্রীবরদী থানার ওসি আনোয়ার জাহিদ বলেন, “আমরা লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত চলছে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

ঢাকা/তারিকুল/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ