‘আ.লীগকে পুনর্বাসন করতে ভারতীয় নীতি-নির্ধারকরা ষড়যন্ত্র করছে’
Published: 20th, June 2025 GMT
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেছেন, ‘‘আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করতে ভারতীয় নীতি-নির্ধারকরা নানাভাবে ষড়যন্ত্র করছে। শেখ হাসিনার পতন তারা সহ্য করতে পারছে না।’’
শুক্রবার (২০ জুন) পাবনার চাটমোহরের প্রবীণ বিএনপি নেতা আবু তাহের প্রামাণিক ওরফে ‘তাহের ঠাকুর’-কে দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, ‘‘আমরা এখন গণতন্ত্রের পথে হাঁটছি। কিন্তু, ষড়যন্ত্র এখনো শেষ হয়নি। লন্ডনে ড.
নির্বাচনের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘‘আগামী জাতীয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু এবং যৌক্তিক সময়েই হবে। আরো অনেক দল যে দাবি করেছে, সেই আলোকেই নির্বাচন হবে। এবারের নির্বাচনে জনগণের দাবির প্রতিফলন হবে।’’
ঢাকা/শাহীন/রাজীব
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
অনেক ষড়যন্ত্রের মধ্যে দিয়ে আমাদের যেতে হচ্ছে: রিজভী
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আমরা গণতন্ত্রের পথে হাঁটছি। তবে গণতন্ত্রের বাস্তবায়ন বা গণতন্ত্রের সৌধ নির্মাণ এখনও সম্পন্ন হয়নি। এখনও অনেক চক্রান্ত-ষড়যন্ত্রের মধ্যে দিয়ে আমাদের যেতে হচ্ছে।
শুক্রবার দুপুরে ‘আমরা বিএনপি পরিবার’ এর পক্ষ থেকে পাবনার চাটমোহর পৌর শহরের আফ্রাতপাড়ায় প্রবীণ বিএনপি নেতা আবু তাহের ওরফে তাহের ঠাকুরকে দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় আবু তাহেরকে চিকিৎসার জন্য আর্থিক অনুদান দেন রিজভী।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, গত ১৬ বছর আমাদের মূল প্রেরণা বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ওপর ভয়াবহ নির্যাতন হয়েছে। তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের অনেকেই গুমের শিকার হয়েছেন। কেউ-ই মামলা থেকে রেহাই পাননি। ভয়ংকর এক ফ্যাসিবাদী শেখ হাসিনার দুঃশাসন থেকে গত বছর ছাত্র জনতার বিপ্লবের মধ্যে দিয়ে মুক্ত হয়েছি।
তিনি বলেন, চক্রান্ত, ষড়যন্ত্র এখনও থেমে নেই। পার্শ্ববর্তী দেশ যখনই দেখেছে ড. ইউনূস ও তারেক রহমানের বৈঠক হয়েছে, তখন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নামে অসংখ্য কুৎসা ও অপপ্রচার সেখান থেকে চালু হচ্ছে। তাদের (আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী) পুনর্বাসনের জন্য আজ ভারতের নীতিনির্ধারকরা নানা প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। আমাদের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তো আন্দোলনের ফসল। ১৬ বছরের নিরন্তর আন্দোলন ও জুলাই-আগস্টের রক্তঝরা আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে শেখ হাসিনার পতন হয়েছে। এই পতনটাকে তারা সহ্য করতে পারছে না।
রিজভী আরও বলেন, বাংলাদেশের যে রাজনৈতিক দলটি ১৬ বছর মানুষের ওপর নির্যাতন-নিপীড়ন করেছে, জনগণের টাকা লুট করেছে। লুট করে সে টাকা পাচার করেছে। তাদের বাড়িঘর এখন দুবাই, কানাডা, সিডনি, অস্ট্রেলিয়া, মালয়েশিয়ায়। সেখানে তারা বেহেস্তের স্বর্গীয় সুখ লাভ করে অবস্থান করছে। যারা বেশিদূর যেতে পারেননি তারা পার্শ্ববর্তী দেশে আশ্রয় নিয়েছে। তাই এই আন্দোলনের যিনি প্রধান পৃষ্ঠপোষক, যিনি পুরো জাতিকে সংগঠিত করেছেন, সেই তারেক রহমানকে তারা টার্গেট করেছে। ১৬ বছর ধরে তাকে টার্গেট করে রেখেছিল। বাংলাদেশের বিভিন্ন মিডিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করেছে। তাদের যারা মেন্টর, এখন তাদের দিয়ে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে।
এ সময় রিজভীর সঙ্গে ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় তথ্য ও প্রযুক্তিবিষয়ক সহসম্পাদক সাইফ আলী খান, ‘আমরা বিএনপি পরিবারে’র উপদেষ্টা ইঞ্জিনিয়ার মোস্তফা-ই জামান সেলিম, সংগঠনটির সদস্য সচিব কৃষিবিদ মোকছেদুল মোমিন মিথুন, জাতীয় প্রেস ক্লাবের স্থায়ী সদস্য জাহিদুল ইসলাম রনি, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাবেক সহসভাপতি জামিল হোসেন প্রমুখ।