রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে রকি হত্যা মামলার প্রধান দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ । তারা হলেন- আবু তালেব মেম্বার (৩৭) ও পলাশ খাঁ (৩৩)। সোমবার বিকেলে মাদারীপুরের কালকিনি থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

পুলিশ বলছে, এক রিকশাচালকের কাছ থেকে টাকা কেড়ে নেওয়ার ঘটনার প্রতিবাদ করতে গেলে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। 

এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে আজ মঙ্গলবার রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে পুলিশের লালবাগ বিভাগের উপকমিশনার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন বলেন, ‌‘গত ২৩ জুন মধ্যরাতে কামরাঙ্গীরচরের ৫৭ নম্বর ওয়ার্ডের বেড়িবাধ এলাকায় রকিকে পূর্ব শত্রুতার জেরে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়। গ্রেপ্তার আসামিসহ পলাতক আবু বক্কর, দুলাল মিয়া এবং অজ্ঞাতনামা ২/৩ জন একত্রিত হয়ে ধারালো চাকু দিয়ে কুপিয়ে রকিকে গুরুতর জখম করে পালিয়ে যায়। তখন ভুক্তভোগীর চিৎকার শুনে স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থলে আসে এবং চিকিৎসার জন্যে তাকে নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা দেয়। তবে পথেই তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় কামরাঙ্গীরচর থানায় একটি মামলা হয়।’

উপকমিশনার বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তাররা জানায়, গত ২২ জুন বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে মেম্বার ও শাওন অজ্ঞাতনামা এক রিকশাওয়ালার কাছ থেকে টাকা নিয়ে যায়। ওই রিকশাওয়ালা রকির কাছে এ বিষয়ে নালিশ জানায়। তখন রকি আসামি মেম্বারকে টাকা নেওয়ার বিষয়টি জিজ্ঞাসা করলে এ নিয়ে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা ও গালাগালি হয়। পরবর্তীতে এ ঘটনার জেরে গ্রেপ্তাররা রকিকে হত্যা করে।

হত্যায় ব্যবহৃত চাকু উদ্ধারসহ হত্যাকাণ্ডে জড়িত পলাতক অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানায় পুলিশ।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: হত য

এছাড়াও পড়ুন:

রিকশাচালকের টাকা কেড়ে নেওয়ার প্রতিবাদ করায় রকিকে হত্যা: পুলিশ

রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে রকি হত্যা মামলার প্রধান দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ । তারা হলেন- আবু তালেব মেম্বার (৩৭) ও পলাশ খাঁ (৩৩)। সোমবার বিকেলে মাদারীপুরের কালকিনি থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

পুলিশ বলছে, এক রিকশাচালকের কাছ থেকে টাকা কেড়ে নেওয়ার ঘটনার প্রতিবাদ করতে গেলে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। 

এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে আজ মঙ্গলবার রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে পুলিশের লালবাগ বিভাগের উপকমিশনার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন বলেন, ‌‘গত ২৩ জুন মধ্যরাতে কামরাঙ্গীরচরের ৫৭ নম্বর ওয়ার্ডের বেড়িবাধ এলাকায় রকিকে পূর্ব শত্রুতার জেরে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়। গ্রেপ্তার আসামিসহ পলাতক আবু বক্কর, দুলাল মিয়া এবং অজ্ঞাতনামা ২/৩ জন একত্রিত হয়ে ধারালো চাকু দিয়ে কুপিয়ে রকিকে গুরুতর জখম করে পালিয়ে যায়। তখন ভুক্তভোগীর চিৎকার শুনে স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থলে আসে এবং চিকিৎসার জন্যে তাকে নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা দেয়। তবে পথেই তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় কামরাঙ্গীরচর থানায় একটি মামলা হয়।’

উপকমিশনার বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তাররা জানায়, গত ২২ জুন বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে মেম্বার ও শাওন অজ্ঞাতনামা এক রিকশাওয়ালার কাছ থেকে টাকা নিয়ে যায়। ওই রিকশাওয়ালা রকির কাছে এ বিষয়ে নালিশ জানায়। তখন রকি আসামি মেম্বারকে টাকা নেওয়ার বিষয়টি জিজ্ঞাসা করলে এ নিয়ে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা ও গালাগালি হয়। পরবর্তীতে এ ঘটনার জেরে গ্রেপ্তাররা রকিকে হত্যা করে।

হত্যায় ব্যবহৃত চাকু উদ্ধারসহ হত্যাকাণ্ডে জড়িত পলাতক অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানায় পুলিশ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ