কর্ণফুলী উপজেলার আলম মাঝির সড়কের বেহাল অবস্থার কারণে প্রায় দুর্ঘটনা ঘটছে। জুলধা ইউনিয়নের জামতলা বাজার থেকে পাইপের গোড়া পর্যন্ত প্রায় ২ কিলোমিটার অংশ কাদা পানিতে একাকার। সড়কে সৃষ্টি হয়েছে গর্ত। সড়কটি ছোট, কিন্তু সড়কে প্রতিদিন বিভিন্ন শিল্পকারখানার শতাধিক ভারী যানবাহন চলাচল করে। এতে সড়কের অবস্থা দিন দিন খারাপ হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, এই সড়কের পাশে রয়েছে এইচ এম স্টিল, জুলধা পাওয়া প্ল্যান, মোস্তাফা হাকিম গ্রুপের বিভিন্ন কারখানা, আবুল খায়ের স্টিলসহ ৮টি ইটভাটা। এসব কারখানা ও শিল্প প্রতিষ্ঠানের সব ধরনের যানবাহন চলাচল করে এই সড়ক দিয়ে। ভারী যানবাহন চলাচলের কারণে সড়কের অবস্থা খারাপ হচ্ছে।
সরেজমিন দেখা যায়, সড়কটির পাশে রয়েছে জুলধা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, গাউছিয়া হোসাইনিয়া সুন্নিয়া মাদ্রাসা, জুলধা ইউনিয়ন পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র, জুলধা ইউনিয়ন পরিষদসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা ও সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। যে কারণে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ চলাচল করেন এ সড়কে।
সাম্প্রতিক বৃষ্টিতে সড়কটির প্রায় ২ কিলোমিটারজুড়ে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। এ সড়কে প্রতিদিন ছোট বড় হাজারো যানবাহন চলাচল করে। রাস্তার বেহাল দশার কারণে প্রায়ই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। চরম বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে পথচারীদের। আবার জরুরি প্রয়োজনে অ্যাম্বুলেন্সে অসুস্থ রোগী ও প্রসূতি পরিবহনে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
স্থানীয় ব্যবসায়ী মো.
কর্ণফুলী উপজেলা প্রকৌশলী তসলিমা জাহান বলেন, ‘সড়কটি সংস্কারের জন্য একটি প্রকল্প প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলে দ্রুত কাজ শুরু করা হবে।’
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
কাজ না করেই অর্ধেক টাকা তুলে নেন ঠিকাদার
সড়কে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের প্রতিবাদে গাজীপুরের কাপাসিয়ায় মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। এমনকি ওই সড়কের কাজ না করেই অর্ধেক টাকা উঠিয়ে নেওয়ার অভিযোগ করেন তারা। গতকাল সোমবার দুপুরে সদর ইউনিয়নের সূর্য নারায়ণপুর এলাকার কর্মসূচিতে শতাধিক মানুষ অংশ নেন। তারা সড়কটির কাজ যথাযথভাবে করার দাবি জানান।
স্থানীয় সূত্র জানায়, সূর্য নারায়ণপুরের আব্দুর রশিদের বাড়ি থেকে বক্তারটেক পর্যন্ত ২৮০ ফুট দীর্ঘ রাস্তাটিতে ইট বিছিয়ে (সলিং) ৮ ফুট চওড়া করার কথা। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ের অধীনে কাজের বিনিময়ে টাকা (কাবিটা) প্রকল্পের আওতায় এ কাজের প্রাক্কলন ধরা হয়েছে ২ লাখ ৮০ হাজার টাকা। সদর ইউপির ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আল আমিন পালোয়ান এ কাজের ঠিকাদার। কিন্তু এলাকাবাসী সড়কটিতে নিম্নমানের ইট ব্যবহার ও বালু না দিয়েই কাজ শুরুর অভিযোগ করেছেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আল আমিন পালোয়ান একই ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। যে কারণে গত সরকারের আমলে বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ না করেই টাকা আত্মসাৎ করেছেন। গণঅভ্যুত্থানের পর একাধিক মামলায় আসামি হয়ে পালিয়ে যান। কিন্তু সম্প্রতি এলাকায় এসে ওই সড়কের কাজ না করেই অর্ধেক টাকা উঠিয়ে নিয়েছেন। নিম্নমানের সামগ্রী বসানোর প্রতিবাদ করলে এলাকাবাসীর বিরুদ্ধে চাঁদা দাবির গুজব ছড়িয়েছেন তিনি। এমনকি নানা মাধ্যমে আল আমিন হুমকিও দিচ্ছেন।
সেখানে বক্তব্য দেন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা মঈনুল ইসলাম, ৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল বাসার কাজল, মো. রানা শেখ প্রমুখ। তাদের অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য জানতে আল আমিন পালোয়ানের নম্বরে কল দিয়েও সংযোগ মেলেনি।
কাপাসিয়ার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ডা. তামান্না তাস্নীম বলেন, একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন। প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে সরেজমিন পরিদর্শনে যেতে বলেছেন। তিনি এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।