পতনের একেবারে কিনারায় পৌঁছে গিয়েছিলেন আরিনা সাবালেঙ্কা। তবে দুই ঘণ্টা ৫৪ মিনিটের নাটকীয় লড়াই শেষে জয়টাই তুলে নিলেন বিশ্বের এক নম্বর নারী টেনিস খেলোয়াড়। জার্মানির অবাছাই লরা সিগেমুন্ডকে ৪-৬, ৬-২, ৬-৪ গেমে হারিয়ে উইম্বলডনের সেমিফাইনালে উঠেছেন বেলারুশ তারকা।

২৭ বছর বয়সী সাবালেঙ্কা অল ইংল্যান্ড ক্লাবে শেষ চারে উঠলেন তৃতীয়বারের মতো। এর আগে ২০২১ ও ২০২৩ সালে সেমিফাইনালে উঠেছিলেন, তবে দুবারই বিদায় নিতে হয়েছিল এখান থেকেই। এবার কী বদলাবে ভাগ্য? শেষ চারে জিতলে টানা চতুর্থ গ্র্যান্ড স্লাম ফাইনালে উঠবেন সাবালেঙ্কা। ২০২৪ সালে ইউএস ওপেন জেতার পর এবারের অস্ট্রেলিয়ান ও ফ্রেঞ্চ ওপেনেও পৌঁছেছিলেন ফাইনালে, যদিও শেষ দুই আসরে রানারআপ হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় তাঁকে।

সেমিফাইনালে সাবালেঙ্কার প্রতিপক্ষ হবেন আমেরিকান ১৩ নম্বর বাছাই আমান্দা আনিসিমোভা অথবা রাশিয়ান আনাস্তাসিয়া পাভলিয়ুচেঙ্কোভা।

এবারের উইম্বলডনে মেয়েদের এককে শীর্ষ ছয় বাছাইয়ের মধ্যে একমাত্র টিকে আছেন সাবালেঙ্কাই। তবে আজ সিগেমুন্ডের বিপক্ষে একসময় মনে হচ্ছিল, তাঁর নামও যোগ হতে যাচ্ছে বিদায় নেওয়া তারকাদের তালিকায়।

উইম্বলডনে এখনো ফাইনাল খেলা হয়নি সাবালেঙ্কার.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: স ম ফ ইন ল উইম বলডন

এছাড়াও পড়ুন:

বাংলাদেশ ক্রিকেটের সমস্যা কী, সমাধান কোথায়: শুনুন তামিমের মুখে

এই মুহূর্তে বাংলাদেশ ক্রিকেটে সবচেয়ে বড় সমস্যা কী? কোন বিষয়টি সবার আগে সমাধান করা উচিত?

দুটি প্রশ্নের উত্তরে অনেকেই অনেক কথাই বলবেন। বাংলাদেশ ক্রিকেটের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত কারও বিষয়টি ভালো জানার কথা। যেমন তামিম ইকবাল। প্রথম আলোর প্রধান ক্রীড়া সম্পাদক উৎপল শুভ্র তামিমের সামনে দুটি প্রশ্ন রেখেছিলেন। তামিমের উত্তর, ‘আমার কাছে মনে হয় যে আমাদের ফ্যাসিলিটিজ (অনুশীলনের পর্যাপ্ত সুযোগ–সুবিধা) নাই।’

প্রথম আলোর কার্যালয়ে উৎপল শুভ্রকে দেওয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে আড্ডার মেজাজে তামিম বাংলাদেশের ক্রিকেট নিয়ে অনেক কথাই বলেছেন। নিজের ক্যারিয়ার, ভবিষ্যৎ লক্ষ্য—এসব নিয়েও বেশ খোলামেলা কথা বলেন সাবেক এই ওপেনার।

আলাপচারিতার একপর্যায়েই বাংলাদেশ ক্রিকেটে এ মুহূর্তের সমস্যার প্রসঙ্গ উঠেছিল। অনুশীলনের পর্যাপ্ত সুযোগ–সুবিধার অভাবকে সামনে টেনে এনে তামিম বলেছেন, ‘একটা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট দলের যে ফ্যাসিলিটিজ দরকার হয় কিংবা বাংলাদেশের মতো দেশে সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলার একটি (ক্রিকেট), যে ফ্যাসিলিটিজ থাকা উচিত, তার আশপাশেও নেই। পৃথিবীর তৃতীয়, চতুর্থ ধনী বোর্ডের যে ফ্যাসিলিটিজ থাকা উচিত, আমরা এর আশপাশেও নেই।’

তামিম বিষয়টি ভালোভাবে ব্যাখ্যা করলেন, ‘ক্রিকেট দলের প্রতি ভক্তদের যে প্রত্যাশা, সেটা পূরণের জন্য যে ফ্যাসিলিটিজ দরকার, আমরা তার আশপাশেও নেই। আপনি মাঝারি মানের ক্রিকেটার হতে পারেন কিংবা মাঝারি মানের ব্যাটসম্যান হতে পারেন, সঠিক অনুশীলনের মাধ্যমে কিন্তু আপনি মাঝারি মান থেকে দুই ধাপ ওপরে উঠতে পারবেন।’

মুশফিকুর রহিম

সম্পর্কিত নিবন্ধ