ঢাকায় অবস্থানরত বিভিন্ন গণমাধ্যম এবং সাংস্কৃতিক অঙ্গনে কর্মরত বগুড়াবাসীদের নিয়ে গঠিত বগুড়া মিডিয়া অ্যান্ড কালচারাল সোসাইটি, ঢাকার (বিএমসিএস) নতুন কার্যনির্বাহী কমিটি গঠিত হয়েছে। ২০২৫-২৭ মেয়াদের জন্য গঠিত আট সদস্যবিশিষ্ট আংশিক এ কমিটির সভাপতি হয়েছেন বেসরকারি টেলিভিশন, নিউজ-২৪-এর বিশেষ প্রতিনিধি মারুফা রহমান এবং সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন বাংলাভিশন ডিজিটালের চিফ রিপোর্টার সুজন মাহমুদ। 

বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) রাতে রাজধানীর গুলশানের এক রেস্তোরাঁয় এ কমিটির ঘোষণা দেন সংগঠনটির উপদেষ্টা বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য ও আমরা বিএনপি পরিবারের আহ্বায়ক সিনিয়র সাংবাদিক আতিকুর রহমান রুমন। আজ শুক্রবার বগুড়া মিডিয়া অ্যান্ড কালচারাল সোসাইটি, ঢাকার পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। 

সার্চ কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে এই কমিটি গঠন করা হয়েছে বলেও জানানো হয়। সেইসাথে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে পুর্ণাঙ্গ কমিটি করারও ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

ঘোষিত এই কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যরা হলেন- সিনিয়র সহ-সভাপতি চিত্রনায়ক আসিফ আদনান আজাদ, নাট্যকার জুলফিকার হোসাইন সোহাগ ও গ্লোবাল টেলিভিশনের চিফ নিউজ এডিটর ফেরদৌস মামুন। সাংগঠনিক সম্পাদক সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নজরুল ইসলাম জনি, অর্থবিষয়ক সম্পাদক দৈনিক করতোয়ার সিনিয়র রিপোর্টার ইসহাক আসিফ এবং সংগীতশিল্পী জিনিয়া জাফরিন লুইপাকে চলচ্চিত্রবিষয়ক সম্পাদক হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।

একইসঙ্গে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট একটি উপদেষ্টা কমিটিও গঠন করা হয়েছে। উপদেষ্টারা হলেন- বিখ্যাত সংগীত শিল্পী খুরশীদ আলম, বিশিষ্ট কণ্ঠশিল্পী কনকচাপা, বিখ্যাত সুরকার ও সংগীত পরিচালক মইনুল ইসলাম খান, প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের (পিআইবি) মহাপরিচালক বিশিষ্ট সাংবাদিক ফারুক ওয়াসিফ, দৈনিক করতোয়ার উপদেষ্টা সম্পাদক মোজাম্মেল হক (লালু) এবং বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য ও আমরা বিএনপি পরিবারের আহ্বায়ক সিনিয়র সাংবাদিক আতিকুর রহমান রুমন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স র চ কম ট উপদ ষ ট কম ট র ব এনপ সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

অমর একুশে বইমেলা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক

অমর একুশে বইমেলা বাংলাদেশের মানুষের প্রাণের মেলা। মূলত প্রকাশকদের উদ্যোগে মুক্তিযুদ্ধ উত্তর বাংলাদেশে এই বইমেলার সূত্রপাত। সম্প্রতি এই বইমেলা নানা কারণে-অকারণে ডিসেম্বরে করার কথা শোনা যাচ্ছে। এ প্রেক্ষিতে সুস্পষ্টভাবে বলতেই হচ্ছে -ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলা করা যাবে না। কারণ সেসময় সারাদেশে শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা চলবে।

বইমেলার প্রধান পাঠক আমাদের শিক্ষার্থী। তারা ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলায় আসতে পারবে না। প্রধান পাঠকই যদি মেলায় আসতে না পারে তাহলে মেলা প্রাণহীন হয়ে পড়বে। বইমেলায় অংশগ্রহণকারি প্রকাশকরাও ভয়াবহ ক্ষতির মুখে পড়বে। তাছাড়া একুশের চেতনাকে ধারণ করে যে অমর একুশে বইমেলা, সেটা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক। ভাষা শহীদদরর প্রতি বইমেলার মাধ্যমে আমাদের যে শ্রদ্ধাঞ্জলি, তা অক্ষুন্ন থাকুক। 

আরো পড়ুন:

রাজশাহীতে বইপড়ায় কৃতিত্বের পুরস্কার পেল ২৩০৩ শিক্ষার্থী

‘গল্পকারের পছন্দের ৫০ গল্প’ গ্রন্থ প্রকাশিত

সর্বোপরি ৫ জানুয়ারি থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, এই সময়ে বইমেলা হতে কোন সমস্যা হওয়ার কথা নয়। অথবা তারিখ দুই একদিন এদিক-সেদিক করে নেয়া যেতে পারে। এ সময়ে রোজা নেই, নির্বাচনও নেই। নির্বাচনী ক্যাম্পেইন চলবে। এই মাঠে বইমেলা চলাকালীন সর্বদলীয় সিদ্ধান্তে কেউ সভা-সমাবেশ না করার সিদ্ধান্ত নিলে অনায়াসে এই সময়টাতে বইমেলা করা যেতে পারে। আমার বিশ্বাস- সব দলই অমর একুশে বইমেলার জন্য এই ছাড়টুকু দেবেন।

প্রায় পঞ্চাশ বছরের অধিক সময়ের  প্রচেষ্টায় অমর একুশে বইমেলা মহিরুহ হয়ে আমাদের কাছে আবির্ভূত, হঠকারি কোন সিদ্ধান্তে তা যেনো ধ্বংস হওয়ার উপক্রম না হয়। জেনে শুনে বাঙালির এতো বড় একটি সাংস্কৃতিক উৎসবকে ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্থ না করে বরং তা যে কোন মূল্যে আমাদের রক্ষা করা উচিত।

জানুয়ারিতে বাণিজ্যমেলায়ও হয়ে থাকে। এতে অমর একুশে বইমেলার ওপর কোনো বিরূপ প্রভাব পড়বে বলে আমি তা মনে করি না। বইমেলার প্রধান পাঠক শিক্ষার্থী। তারা বইমেলায় আসার জন্য মুখিয়ে থাকে। বাণিজ্য মেলায় যাওয়ার লোকজন বেশির ভাগই আলাদা। তবে অনেকেই বইমেলা এবং বাণিজ্যমেলা দুটোতেই যান। এটা তারা ম্যানেজ করে নিতে পারবেন বলে আমার বিশ্বাস।

আমি বলেছি শুধুমাত্র মেলার মাঠ প্রাঙ্গনে সভা-সমাবেশ না করার মাধ্যমে যদি সর্বদলীয় একটা সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় তাহলে জানুয়ারি- ফেব্রুয়ারি মিলিয়ে  বইমেলা করা সম্ভব।আমার মনে হয়, বইমেলা চলাকালীন এই মাঠ কোন দলকে সভা-সমাবেশের জন্য সরকার বরাদ্দ না দিলে, অথবা বইমেলা চলাকালীন দলগুলো নিজের থেকেই এই মাঠের বরাদ্দ না চাইলে সমস্যা আর থাকে না।

লেখক: প্রকাশক পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স লিমিটেড

ঢাকা/লিপি

সম্পর্কিত নিবন্ধ