বাংলাদেশ উশু ফেডারেশনের আয়োজনে আগামীকাল বুধবার (২৩ জুলাই) থেকে শুরু হতে যাচ্ছে উশুর অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ আয়োজন ‘১৮তম জাতীয় উশু প্রতিযোগিতা-২০২৫’। রাজধানীর মিরপুরে অবস্থিত শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামে পাঁচ দিনব্যাপী এই প্রতিযোগিতা চলবে ২৭ জুলাই পর্যন্ত।

প্রতিযোগিতার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হবে বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) সকাল ১১টায়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ সচিব আমিনুল ইসলাম, এনডিসি। সভাপতিত্ব করবেন বাংলাদেশ উশু ফেডারেশনের সভাপতি মেজর জেনারেল আ স ম রিদওয়ানুর রহমান, এ ডব্লিউ সি, এ এফ ডব্লিউ সি, পি এস সি, জি।

এবারের জাতীয় প্রতিযোগিতায় সেনা, পুলিশ, আনসার ও ভিডিপি, বিকেএসপি দলসহ মোট ২৮টি দলের ৩৫০ জন প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করবে।

পুরুষ ও নারী মিলিয়ে মোট ২৭টি স্বর্ণপদক ইভেন্টে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। এর মধ্যে সান্দা ফাইট ইভেন্টে ১৯টি ইভেন্ট (পুরুষ ১০, নারী ৯টি) এবং তাওলু ইভেন্টে ৮টি ইভেন্ট (পুরুষ ৪, নারী ৪টি)। সবমিলিয়ে বিজয়ীদের মাঝে ১০৮টি পদক (স্বর্ণ, রৌপ্য ও তাম্র) বিতরণ করা হবে।

এবারের বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে স্বর্ণপদক জয়ী ২৭ জন খেলোয়াড়কে প্রাণ গ্রুপের সৌজন্যে ইলেকট্রনিক পণ্য উপহার দেওয়া হবে। দলীয় ইভেন্টের চ্যাম্পিয়ন দলকে ট্রফি প্রদান করা হবে। এছাড়াও প্রতিটি অংশগ্রহণকারীকে টি-শার্ট এবং সনদপত্র প্রদান করা হবে।

ফেডারেশনের পক্ষ থেকে সকল খেলোয়াড় ও কর্মকর্তাদের থাকা ও খাওয়ার পূর্ণ ব্যবস্থা করা হয়েছে।

সমাপনী অনুষ্ঠান রবিবার (২৭ জুলাই) বিকেল ৪টায় একই ভেন্যুতে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন চীনা দূতাবাসের কালচারাল কাউন্সিলর লী শাওপেং।

বাংলাদেশ উশু ফেডারেশনের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক শিফু দিলদার হাসান দিলু বলেন, “আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে আন্তর্জাতিক মানের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য ক্রীড়াবিদদের প্রস্তুত করা। বিশেষ করে, ইসলামিক সলিডারিটি গেমস ও সাউথ এশিয়ান গেমসের মতো টুর্নামেন্টকে সামনে রেখে আমরা প্রস্তুতির নিচ্ছি। এই প্রতিযোগিতা থেকেই সামনের আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার খেলোয়াড় খুঁজে বের করা হবে।’’

তাই এই প্রতিযোগিতা শুধু পদকজয়ের লড়াই নয়, বরং এটা ভবিষ্যতের উশুর প্রতিভাবান তারকা খুঁজে বের করার দারুণ সুযোগ।

উল্লেখ্য, আগামী পহেলা অগাস্ট থেকে মিরপুর ক্রীড়া পল্লীতে উশুর আবাসিক ক্যাম্প শুরু হতে যাচ্ছে। জাতীয় উশু প্রতিযোগিতায় যারা স্বর্ণ ও রোপ্য পদক পাবে বিশেষ করে তাদেরকে উক্ত ক্যাম্পের জন্য বাছাই করা হবে।

ঢাকা/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স বর ণ

এছাড়াও পড়ুন:

সরকারের প্রস্তাবিত নীতিতে ইন্টারনেটের দাম ২০% বাড়বে: আইএসপিএবি

সরকারের প্রস্তাবিত নীতিমালায় বিভিন্ন ফি ও চার্জ আরোপের কারণে গ্রাহক পর্যায়ে ইন্টারনেট সেবার খরচ আরও অন্তত ২০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়বে বলছেন দেশের ইন্টারনেট সেবাদাতারা।

ইন্টারনেটের দাম বাড়ার বিষয়টি দায়িত্বশীল নেতৃত্বের হাতে ছেড়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর হস্তক্ষেপ চেয়েছেন সেবাদাতারা।

আজ সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারস অ্যাসোসিয়েশন (আইএসপিএবি) এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানায়।

সম্প্রতি বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) ফিক্সড টেলিকম সার্ভিস প্রোভাইডারদের (এফটিএসপি) জন্য একটি গাইড লাইনের খসড়া করেছে। এ নিয়ে আপত্তি তুলেছে আইএসপিএবি।

নতুন গাইডলাইনে ৫ দশমিক ৫ শতাংশ রেভিনিউ শেয়ার এবং সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিলের জন্য ১ শতাংশ দিতে হবে। এ ছাড়া এফটিএসপি অপারেটরদের ক্রয়মূল্য ১৪ শতাংশ বাড়বে।

আইএসপিএবির সভাপতি আমিনুল হাকিম বলেন, টেলিযোগাযোগ খাত নিয়ে সরকার তার উদ্দেশ্য থেকে বেরিয়ে এসেছে এবং জনগণের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ না। সরকার ভুল পথে এগিয়ে যাচ্ছে।

আমিনুল হাকিম বিদ্যমান নীতির সঙ্গে প্রস্তাবিত নীতির তুলনামূলক উপস্থাপনা তুলে ধরে বলেন, বিদ্যমান নীতিতে সরকার এই খাত রেভিনিউ শেয়ারিং, সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিল এবং ভ্যাটসহ ২১ দশমিক ৪৫ শতাংশ পায় কিন্তু নতুন নীততে তা ৪০ দশমিক ২৫ শতাংশ হবে। সরকারি নীতিতে শহর ও গ্রামে বৈষম্য বাড়বে।

আমিনুল হাকিম বলেন, বৈষম্যের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে আসা সরকার বৈষম্য উপহার দিচ্ছে। সরকার একদিকে ইন্টারনেটের দাম কমানোর কথা বলছে, অন্যদিকে নিজেরা দাম বাড়াচ্ছে। তিনি আরও বলেন, স্টারলিংকের জন্য সরকার লাইসেন্স ফি ধরেছে ১০ হাজার ডলার অর্থাৎ ১২ লাখ টাকা। কিন্তু দেশের আইএসপিদের জন্য তা ২৫ লাখ টাকা ধরা হয়েছে। তাঁর প্রশ্ন, স্টারলিংককে এত সুবিধা দেওয়ার কারণ কি?

সংবাদ সম্মেলনে আইএসপিএবি বলেছে, প্রস্তাবিত খসড়া গাইডলাইনে মোবাইল অপারেটরদের ফিক্সড ওয়্যারলেস একসেস এবং লাস্ট মাইল ফাইবার সংযোগের মাধ্যমে ফিক্সড কানেক্টিভিটি দেওয়ার স্পষ্ট অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। যা দেশীয় এবং নিজস্ব বিনিয়োগে গড়ে ওঠা আইএসপিগুলোর জন্য চরম অসম প্রতিযোগিতা সৃষ্টি করবে। এ ছাড়া বড় প্রভাব পড়বে সাধারণ গ্রাহকের ওপর।

সম্পর্কিত নিবন্ধ