রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের স্মরণে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার (২৩ জুলাই) জোহরের নামাজের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ প্রাঙ্গণে এ জানাজা নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা, শিক্ষার্থী, ছাত্রদল, ছাত্রশিবির, আপ বাংলাদেশসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষ অংশ নেন।

জানাজা শেষে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা জানান, মাইলস্টোন স্কুলে ঘটে যাওয়া এই দুর্ঘটনায় সারা দেশ শোকে মুহ্যমান। তারা ঐক্য বিনষ্টকারী কোনো মন্তব্য বা পোস্ট থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান এবং নিহতদের আত্মার মাগফিরাত ও আহতদের দ্রুত সুস্থতার জন্য দোয়া করা সবার নৈতিক দায়িত্ব বলে উল্লেখ করেন।

আরো পড়ুন:

বড়াইগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের ৭ জন একই পরিবারের

ইবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু: লাশ নিয়ে রাজনীতি চায় না পরিবার

জুলাই আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক সাজ্জাদ হোসেন মুন্না বলেন, “এই আকস্মিক মানবিক দুর্যোগে আমরা জবি পরিবার মর্মাহত। বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের শান্তি ও আহতদের সুস্থতা কামনা করছি। একইসঙ্গে প্রকৃত তথ্য জাতির সামনে উপস্থাপনের লক্ষ্যে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠনের দাবি জানাচ্ছি।”

জবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান হিমেল বলেন, “মানবিক বিপর্যয়ে রাজনীতি করার কোনো সুযোগ নেই। নিহতদের স্মরণে ও আহতদের পাশে দাঁড়ানোই আমাদের দায়িত্ব। আমরা আহতদের জন্য রক্ত ও অন্যান্য সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত আছি।”

জবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক রইচ উদ্দীন বলেন, “উত্তরার ঘটনায় যারা শহীদ হয়েছেন, আমরা তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করি। আল্লাহ যেন আহতদের দ্রুত সুস্থ করে দেন এবং এমন মর্মান্তিক ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে।”

ঢাকা/লিমন/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ন হত দ র ঘটন দ র ঘটন য় ন হতদ র হতদ র স আহতদ র

এছাড়াও পড়ুন:

ট্রেনের ছাদে ভ্রমণকালে বৈদ্যুতিক লাইনের নেটের আঘাতে নিহত ১, আহত ৫

টাঙ্গাইলে ট্রেনের ছাদে অবৈধভাবে ভ্রমণের সময় বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইনের নেটের সঙ্গে ধাক্কা লেগে একজন নিহত ও পাঁচজন আহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তির নাম রিপন আলী (৩৭)। তিনি রাজশাহীর পবা উপজেলার কালিয়ানপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। আহতদের মধ্যে অজ্ঞাতপরিচয়ের এক ব্যক্তি টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

রেলওয়ে পুলিশের টাঙ্গাইল ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হারুন অর রশীদ জানান, ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী আন্তনগর সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনটি বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে টাঙ্গাইল স্টেশনে পৌঁছানোর পর ছাদে রক্তাক্ত অবস্থায় ছয়জনকে পাওয়া যায়। আহত যাত্রীরা পুলিশকে জানান, তাঁরা ঢাকা থেকে ট্রেনের ছাদে উঠেছিলেন। টাঙ্গাইল স্টেশনে পৌঁছানোর ১৫–২০ মিনিট আগে রেলপথের ওপর দিয়ে অতিক্রম করা একটি বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইনের নিচের নেটের সঙ্গে ধাক্কা লেগে তাঁরা আহত হন।

আহত ছয়জনকে পুলিশ উদ্ধার করে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১০টার দিকে রিপন আলীর মৃত্যু হয়। আহতদের মধ্যে আশরাফুলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। আহত আমিরুল ইসলাম (২৫), আলিম (২৫) ও ফয়সাল (২৭) চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। অজ্ঞাতপরিচয়ের এক কিশোর (১৫–১৬) এখনো টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। দুপুরে গিয়ে দেখা যায়, তার হাতে ব্যান্ডেজ বাঁধা অবস্থায় শুয়ে আছে। কর্তব্যরত নার্স জানান, ছেলেটি কথা বলতে পারছে না।

এদিকে নিহত রিপন আলীর রাজশাহীর বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। আজ শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে কালিয়ানপাড়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, বাড়ির ভেতরে স্বজন ও প্রতিবেশীরা আহাজারি করছেন। বাইরে রিপনের দাফনের জন্য কবর খোঁড়া হচ্ছে, কেউ বাঁশ কাটছেন।

রিপনের বাবা ইসরাফিল হোসেন জানান, রিপন ঢাকার একটি ইলেকট্রনিকস কোম্পানিতে চাকরি করত। কয়েক মাস আগে চাকরি ছেড়ে দিয়ে নতুন কাজ খুঁজছিল। গত বুধবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে কাউকে কিছু না বলে বাড়ি থেকে বের হয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় টাঙ্গাইল হাসপাতাল থেকে রিপনের মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে তার ছোট ছেলের ফোনে যোগাযোগ করা হয়। তখনই তাঁরা জানতে পারেন, রিপন ট্রেন দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সব কমিটি পুনর্বহাল
  • সিলেটে পাথরবাহী ট্রাক্টরচাপায় পর্যটক নিহত, আহত ৫
  • ক্রিকেট ম্যাচের দায়িত্ব পালন করতে যাওয়ার সময় দুর্ঘটনা, আহত ২৭ নারী পুলিশ সদস্য
  • ট্রেনের ছাদে ভ্রমণকালে বৈদ্যুতিক লাইনের নেটের আঘাতে নিহত ১, আহত ৫