বিএসএফের গুলিতে আহত বাংলাদেশি যুবকের মৃত্যু
Published: 25th, July 2025 GMT
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে আহত এক বাংলাদেশি যুবকের চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে। তাঁর নাম মো. লিটন (৩২)। তিনি ফেনীর পরশুরাম উপজেলার বাঁশপদুয়া গ্রামের গাছি মিয়ার ছেলে। আজ শুক্রবার সকালে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের বিলোনিয়া হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে পরশুরাম উপজেলার বাঁশপদুয়া সীমান্তে মো.
বিজিবি ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল দিবাগত রাত একটার দিকে পরশুরাম উপজেলার গুথুমা বিওপির আওতাধীন সীমান্ত পিলার ২১৬৪/৩–এর নিকটবর্তী এলাকায় গুলিবিদ্ধ হন মো. লিটন, মিল্লাত হোসেন ও মো. আফছার। সীমান্তবর্তী বাঁশপদুয়া গ্রামের লোকজন মিল্লাত আর আফছারকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেছেন। তবে লিটন গুলিবিদ্ধ অবস্থায় সীমান্তের ওপারে ভারতীয় এলাকায় পড়ে ছিলেন। বিএসএফ সদস্যরা গুলিবিদ্ধ লিটনকে উদ্ধার করে বিলোনিয়া হাসপাতালে নিয়ে যান। ওই হাসপাতালে লিটনের মৃত্যু হয়েছে।
বিজিবি ৪ ফেনী ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন বলেন, ‘তিনজন রাতের আঁধারে বর্ডার লাইন ক্রস করে ভারতের অংশে প্রবেশ করেছিলেন। তাঁরা চোরাকারবারির সঙ্গে জড়িত। ভারত থেকে মালামাল নিয়ে বেরিয়ে আসার সময় বিএসএফ তাঁদের ধাওয়া দেয়। নিহত লিটনের লাশ ফিরিয়ে আনতে বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে’।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন আরও বলেন, ‘সীমান্তে বিএসএফের গুলির ঘটনায় বিজিবির পক্ষ থেকে প্রতিবাদলিপি পাঠানো হবে। চোরাকারবারিদের প্রতিহত করতে প্রাণঘাতী গুলির পরিবর্তে ছররা গুলি ব্যবহার করা যেত। কোনো অবস্থাতেই বর্ডার এলাকায় ফায়ারিং কাম্য নয়।’
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
১২ হাজার তরুণ–তরণীকে বিনা মূল্যে প্রশিক্ষণ দেবে পিকেএসএফ
পেশাগত দক্ষতা বাড়াতে দেশের ১২ হাজার তরুণ-তরুণীকে বিনা মূল্যে প্রশিক্ষণ দেবে পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ)। কারিগরি ও পেশাগত শিক্ষানির্ভর তিন বছর মেয়াদি এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হবে স্কিলস ফর ইন্ডাস্ট্রিজ কম্পিটিটিভনেস অ্যান্ড ইনোভেশন প্রোগ্রামের (এসআইসিআইপি) আওতায়। এ প্রকল্পে সহায়তা করছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)।
আজ সোমবার রাজধানীর পিকেএসএফ ভবনে এসআইসিআইপি ও পিকেএসএফের প্রকল্পের উদ্বোধন ও প্রশিক্ষণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানানো হয়।
প্রকল্পের আওতায় প্রশিক্ষণার্থী তরুণেরা ১২টি খাতের প্রশিক্ষণ পাবেন। প্রশিক্ষণ চলাকালে থাকা-খাওয়ার সব খরচ প্রকল্প থেকে বহন করা হবে। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ৩০ শতাংশ আসন নারীদের জন্য সংরক্ষিত। বাকি ৭০ শতাংশের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন নিম্ন আয়ের ও প্রান্তিক অঞ্চলের তরুণেরা। প্রশিক্ষণ শেষ হওয়ার পর অংশগ্রহণকারীদের আত্মকর্মসংস্থান বা মজুরিভিত্তিক চাকরির ক্ষেত্রেও সহায়তা করা হবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থসচিব খায়েরুজ্জামান মজুমদার বলেন, দেশে দক্ষ জনশক্তির চাহিদা রয়েছে, বিশেষ করে বিদেশে। এই প্রকল্পের সফল বাস্তবায়নের মাধ্যমে পিকেএসএফ ও এর সহযোগী সংস্থাগুলো সেই চাহিদা পূরণে ভূমিকা রাখতে পারবে।
পিকেএসএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফজলুল কাদের বলেন, ‘প্রতিবছর ২০ লাখের বেশি তরুণ শ্রমবাজারে প্রবেশ করছেন। এটি একই সঙ্গে আমাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা। প্রকল্পের আওতায় জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের স্বীকৃত কোর্স অনুযায়ী প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে, যাতে প্রশিক্ষণ শেষে তাঁরা সহজেই কর্মসংস্থানে যুক্ত হতে পারেন।’
অনুষ্ঠানে পিকেএসএফের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. জসীম উদ্দিন বলেন, বর্তমানে ১২ হাজার ছাড়াও আরও ৮ হাজার ৫০০ তরুণকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার প্রস্তাব সরকারের কাছে দেওয়া হয়েছে। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ও তৃতীয় লিঙ্গের তরুণদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। পাশাপাশি ২ হাজার এতিম ও দুস্থ তরুণকেও প্রশিক্ষণের আওতায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে।
এ সময় অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ ওয়ালিদ হোসেন ও পিকেএসএফের চেয়ারম্যান জাকির আহমেদ খান বক্তব্য দেন।