লিফট ও এস্কেলেটর: নিরাপত্তা সবার আগে
Published: 27th, July 2025 GMT
জনগণের চাহিদা অনুযায়ী বাংলাদেশে পর্যাপ্ত আবাসনের জায়গা না থাকায় শহরের ভবনগুলো পাল্লা দিয়ে ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে। আবাসিক ভবনের পাশাপাশি অফিস, মার্কেট, হোটেল, হাসপাতাল—এমনকি অনেক কারখানাও এখন বহুতল ভবন হিসেবে নির্মিত হচ্ছে। চলাচল সহজ করার জন্য এসব ভবনে লিফট, এস্কেলেটর ও মুভিং ওয়াক ব্যবহার করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড (বিএনবিসি) ২০২০ অনুযায়ী, ৬ তলা বা ২০ মিটার উচ্চতার যেকোনো ভবনে লিফট স্থাপন বাধ্যতামূলক। ভবন ১৫ মিটারের চেয়ে উঁচু হলে সেখানে অন্তত একটি ফায়ার লিফট (ন্যূনতম আটজন যাত্রী বহনক্ষম) থাকা বাধ্যতামূলক। যদিও এই বিধি বাস্তবে কতটা মানা হয়, তা প্রশ্নসাপেক্ষ। ভবন ১০ তলা বা ৩২ মিটারের বেশি উচ্চতা হলে সেখানে একটি স্ট্রেচার বহনক্ষম লিফট থাকতে হবে। হাসপাতাল ভবন যদি দোতলা বা তার বেশি হয়, সে ক্ষেত্রেও এ ধরনের লিফট আবশ্যক।
লিফট ও এস্কেলেটর একটি স্বয়ংক্রিয় যন্ত্র, যার অনেক যন্ত্রাংশ আমাদের দৃষ্টির বাইরে থাকে। যন্ত্র ব্যবহারে একদিকে যেমন সুবিধা রয়েছে, তেমনই কিছু ঝুঁকিও থেকে যায়। এই অসুবিধাগুলো সঠিকভাবে রক্ষণাবেক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণ না করতে পারলে ভোগান্তি ও বিপদের আশঙ্কা বাড়ে।
মো.হাসমতুজ্জামান প্রকৌশলী ও বিল্ডিং সার্ভিসেস বিশেষজ্ঞ
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ক্রিকেট ম্যাচের দায়িত্ব পালন করতে যাওয়ার সময় দুর্ঘটনা, আহত ২৭ নারী পুলিশ সদস্য
বাংলাদেশ–ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যকার ক্রিকেট ম্যাচের দায়িত্ব পালন করতে যাচ্ছিলেন নারী পুলিশ সদস্যের একটি দল। এ সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তাঁদের বহনকারী বাস একটি গাছে ধাক্কা দেয়। এতে বাসে থাকা ২৭ নারী পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। আজ শুক্রবার দুপুরে চট্টগ্রাম নগরের দামপাড়া পুলিশলাইনসের ভেতর এই ঘটনা ঘটেছে।
পুলিশ জানায়, নগরের সাগরিকা এলাকায় বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যকার ক্রিকেট ম্যাচের দায়িত্ব পালনে যাচ্ছিলেন নারী পুলিশ সদস্যরা। তাঁদের বহনকারী বাস দামপাড়া পুলিশলাইনসের ভেতরে উঁচু স্থান থেকে ঢালু রাস্তায় নামার সময় হঠাৎ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা খায়। এ সময় বাসে থাকা ২৭ পুলিশ সদস্য আহত হন।
ঘটনার পর ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশের উদ্ধারকর্মীরা দ্রুত আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেন। এ সময় আহত অনেক পুলিশ সদস্যকে যন্ত্রণায় কাতরাতে দেখা যায়। দুর্ঘটনাকবলিত বাসটি বর্তমানে পুলিশ লাইন্সের ভেতরে রাখা হয়েছে। আহতদের সবাই আশঙ্কামুক্ত বলে জানা গেছে।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) নুরুল আলম আশেক প্রথম আলোকে বলেন, আহত ২৭ জনের মধ্যে ১৪ জন দুপুরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। তাঁদের মধ্যে দুজন এখনো চিকিৎসাধীন। ১২ জন চিকিৎসা শেষে পুলিশ হাসপাতালে চলে যান। সেখানে বর্তমানে ২৫ জন চিকিৎসাধীন, তবে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কেউ নেই।