জনগণের চাহিদা অনুযায়ী বাংলাদেশে পর্যাপ্ত আবাসনের জায়গা না থাকায় শহরের ভবনগুলো পাল্লা দিয়ে ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে। আবাসিক ভবনের পাশাপাশি অফিস, মার্কেট, হোটেল, হাসপাতাল—এমনকি অনেক কারখানাও এখন বহুতল ভবন হিসেবে নির্মিত হচ্ছে। চলাচল সহজ করার জন্য এসব ভবনে লিফট, এস্কেলেটর ও মুভিং ওয়াক ব্যবহার করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড (বিএনবিসি) ২০২০ অনুযায়ী, ৬ তলা বা ২০ মিটার উচ্চতার যেকোনো ভবনে লিফট স্থাপন বাধ্যতামূলক। ভবন ১৫ মিটারের চেয়ে উঁচু হলে সেখানে অন্তত একটি ফায়ার লিফট (ন্যূনতম আটজন যাত্রী বহনক্ষম) থাকা বাধ্যতামূলক। যদিও এই বিধি বাস্তবে কতটা মানা হয়, তা প্রশ্নসাপেক্ষ। ভবন ১০ তলা বা ৩২ মিটারের বেশি উচ্চতা হলে সেখানে একটি স্ট্রেচার বহনক্ষম লিফট থাকতে হবে। হাসপাতাল ভবন যদি দোতলা বা তার বেশি হয়, সে ক্ষেত্রেও এ ধরনের লিফট আবশ্যক।

লিফট ও এস্কেলেটর একটি স্বয়ংক্রিয় যন্ত্র, যার অনেক যন্ত্রাংশ আমাদের দৃষ্টির বাইরে থাকে। যন্ত্র ব্যবহারে একদিকে যেমন সুবিধা রয়েছে, তেমনই কিছু ঝুঁকিও থেকে যায়। এই অসুবিধাগুলো সঠিকভাবে রক্ষণাবেক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণ না করতে পারলে ভোগান্তি ও বিপদের আশঙ্কা বাড়ে।

মো.

হাসমতুজ্জামান প্রকৌশলী ও বিল্ডিং সার্ভিসেস বিশেষজ্ঞ

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

মাদারীপুরের সাবেক দুই ডিসিসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান

শিবচরে পদ্মা সেতু রেললাইন সংযোগ প্রকল্পের ভূমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মাদারীপুরের সাবেক দুই জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন ও মো. ওয়াহিদুল ইসলামসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) মাদারীপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়। 

মঙ্গলবার (২৯ জুলাই)  দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় এ সংক্রান্ত নোটিশ মাদারীপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, সাবেক দুই জেলা প্রশাসকসহ অভিযুক্তদের কাছে পাঠিয়েছে ।

দুদক সূত্র জানায়, পদ্মা রেললাইন সংযোগ প্রকল্পের ভূমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে সাবেক দুই জেলা প্রশাসকসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে অনুসন্ধানপূর্বক প্রতিবেদন জন্য দুদক মাদারীপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আখতারুজ্জামানকে দলনেতা ও উপ-সহকারী পরিচালক মো. সাইদুর রহমান অপুকে সদস্য করে একটি অনুসন্ধান টিম গঠন করা হয়েছে। 

আরো পড়ুন:

খুকৃবির সাবেক উপাচার্যসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

কুবির নতুন ক্যাম্পাসের জমি ক্রয়ে দুর্নীতির অভিযোগ, তথ্য চেয়েছে দুদক

অনুসন্ধান সংশ্লিষ্ট তথ্যাদি দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ১৯ ধারা এবং দুর্নীতি দমন কমিশন বিধিমালা, ২০০৭ এর বিধি ৮ অনুযায়ী ব্যবস্থাগ্রহণ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। 

দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে যাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন তথ্য এবং চাহিদাপত্র চেয়ে নোটিশ প্রদান করা হয়েছে তারা হলেন- মাদারীপুর সাবেক জেলা প্রশাসক মো. ওহিদুল ইসলাম, সাবেক জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন, সাবেক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সৈয়দ ফারুক আহম্মদ, সাবেক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ঝোটন চন্দ্র, মাদারীপুরের সাবেক ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা মো. সাইফুদ্দিন গিয়াস।

‎মোহাম্মদ সুমন শিবলী, প্রমথ রঞ্জন ঘটক, ‎আল মামুন, মো. নাজমুল হক সুমন, মাদারীপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের ‎কানুনগো (ভারপ্রাপ্ত) মো. নাসির উদ্দিন, মো. আবুল হোসেন, রেজাউল হক এবং মাদারীপুর কালেক্টরেট রেকর্ড রুম শাখার রেকর্ড কিপার মানিক চন্দ্র মন্ডল।

দুর্নীতি দমন কমিশন মাদারীপুরের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ও অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা আখতারুজ্জামান বলেন, “মাদারীপুরের সাবেক জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুল ইসলাম ও ড. রহিমা খাতুনসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে তথ্য ও বিভিন্ন চাহিদাপত্র চেয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন মাদারীপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয় থেকে মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত নোটিশ অভিযুক্তদের কাছে পাঠানো হয়েছে।”

ঢাকা/বেলাল/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ