এবার ৪৬ বলে ১২৩ রান ডি ভিলিয়ার্সের
Published: 27th, July 2025 GMT
চার বছর আগে পেশাদার ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছেন এবি ডি ভিলিয়ার্স। কিন্তু ব্যাট হাতে তাঁর পুরোনো ছন্দ এখনো অটুট। ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ অব লিজেন্ডস (ডব্লুসিএল) ২০২৫-এ দক্ষিণ আফ্রিকা চ্যাম্পিয়নসের হয়ে ওপেন করতে নেমে টানা দুই ম্যাচে সেঞ্চুরি করে যেন জানিয়ে দিলেন—অবসরের পরও তিনি আগের মতোই বিধ্বংসী।
২০২১ সালে নিজের শেষ আইপিএল মৌসুমে ৩১৩ রান করেছিলেন ৩১.
কিন্তু চার বছর পর দেখা যাচ্ছে ডি ভিলিয়ার্স আগের মতোই ক্ষুরধার। ২৪ জুলাই ইংল্যান্ড চ্যাম্পিয়নসের বিপক্ষে ৪১ বলে সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন তিনি। পাকিস্তান চ্যাম্পিয়নসের বিপক্ষে ম্যাচটি না খেললেও আজ অস্ট্রেলিয়া চ্যাম্পিয়নসের বিপক্ষে ফিরে এলেন আরও ভয়ংকর রূপে। এবার মাত্র ৩৯ বলেই সেঞ্চুরি! শেষ পর্যন্ত খেললেন ৪৬ বলে ১২৩ রানের এক ঝলমলে ইনিংস—১৫ চার আর ৮ ছক্কায় সাজানো এক ইনিংস। ডি ভিলিয়ার্স তিন অঙ্ক ছুঁলেন স্বভাবসিদ্ধ রিভার্স সুইপে।
অস্ট্রেলিয়ার বোলিং লাইনআপে ছিলেন ব্রেট লি, পিটার সিডল, স্টিভ ও’কিফি, জশ হেস্টিংস, ড্যান ক্রিস্টিয়ান আর ডার্সি শর্ট।
আরও পড়ুন৪১ বছর বয়সে ৪১ বলে সেঞ্চুরি, ডি ভিলিয়ার্সের অপর নাম বিস্ময়২৫ জুলাই ২০২৫দক্ষিণ আফ্রিকা চ্যাম্পিয়নস যদি অস্ট্রেলিয়া চ্যাম্পিয়নসকে হারাতে পারে, সেমিফাইনালে উঠে যাবে তারা। আর তাতে ডি ভিলিয়ার্সকে অন্তত একবার আরও ব্যাট করতে দেখা যাবে।
ডি ভিলিয়ার্সের সেঞ্চুরিতে টি-টোয়েন্টি ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকানরা করে ৬ উইকেটে ২৪১ রান। এই প্রতিবেদন লেখার সময় রান তাড়ায় অস্ট্রেলীয়রা করেছে ১৪.৫ ওভারে ৮ উইকেটে ১৩৭ রান।
আরও পড়ুনঅধিনায়ক হিসেবে প্রথম সিরিজেই ব্র্যাডম্যান-গাভাস্কারের রেকর্ড ছুঁলেন গিল২ ঘণ্টা আগেউৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ঋণ নেওয়ার আগে যে ১০টি বিষয় অবশ্যই জানা উচিত
নানা কারণে আপনার ঋণ নেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। অনেক সময় মানুষ ব্যক্তিগত ঋণ, গৃহঋণ নেয়। আবার গাড়ি কেনার জন্যও অনেকে ঋণ নেন। ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমেও ঋণ নেওয়া হয়।
কিন্তু অনেকেই ঋণের সঙ্গে সম্পৃক্ত কিছু মৌলিক শব্দ সম্পর্কে জানেন না। ব্যাংকের কর্মকর্তারা যখন এসব শব্দ বলেন, তখন অনেক কিছুই বোঝেন না ঋণ নিতে ইচ্ছুক গ্রাহকেরা। ফলে নিয়মকানুন না জেনেই ঋণ নেন। এতে নানা অপ্রত্যাশিত ঝামেলা তৈরি হয়। তাই ঋণ নেওয়ার আগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বোঝা খুব দরকার।
১. আসল টাকা (প্রিন্সিপাল)
আপনি যে পরিমাণ টাকা ঋণ নিচ্ছেন, সেটিই আসল। এর ওপরই সুদ ধরা হয়। কিস্তি পরিশোধের সঙ্গে আসল ধীরে ধীরে কমতে থাকে।
২. সুদের হার (ইন্টারেস্ট রেট)
ঋণ নেওয়ার আগে সবচেয়ে ভাবতে হয় সুদের হার নিয়ে। সুদের হার বেশি হলে খরচ বেড়ে যায়। ঋণের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সুদের হার। এটি স্থিরও হতে পারে, আবার বাজারদরের ওপর নির্ভর করে বাড়তে-কমতেও পারে।
৩. মাসিক কিস্তি (ইএমআই)
ঋণের সুদ ও আসল পরিশোধ বাবদ প্রতি মাসে যে নির্দিষ্ট টাকা আপনাকে দিতে হবে। সেটি হলো ইএমআই বা ঋণের কিস্তি।
৪. ঋণের মেয়াদ
কত বছরের মধ্যে ঋণ শোধ করতে হবে, সেটিই হলো ঋণের মেয়াদ। মেয়াদ বেশি হলে কিস্তি ছোট হয়। কিন্তু মোট সুদের টাকা বেড়ে যায়। ছোট মেয়াদে কিস্তি বড় হয়। কিন্তু মোট সুদের টাকা কমে।
৫. অ্যানুয়াল পারসেন্টেজ রেট (এপিআর)
শুধু সুদ ও আসল নয়, বরং ঋণের সব খরচ (যেমন ফি, চার্জ) মিলিয়ে আসল ব্যয় কত হবে, তার হিসাব হলো অ্যানুয়াল পারসেন্টেজ রেট (এপিআর)। এটিই প্রকৃত খরচ বোঝায়।
৬. আগাম পরিশোধ (প্রিপেমেন্ট)
ঋণের বোঝা কমাতে অনেকে ঋণের সুদ ও আসলের টাকা আগেই শোধ করে দিতে চান। এতে সুদের খরচ কমে যায়।
৭. প্রসেসিং ফি
আপনি ঋণের জন্য কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে আবেদন করলেন। কিন্তু ঋণ আবেদন মঞ্জুর থেকে শুরু করে ছাড় কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কিছু মাশুল দিতে হয়। এটিই প্রসেসিং ফি। এটি কখনো ঋণের টাকা থেকে কেটে নেওয়া হয়, আবার কখনো আলাদা দিতে হয়।
৮. স্থগিতকাল (মোরাটোরিয়াম)
বিশেষ পরিস্থিতিতে কিছুদিনের জন্য কিস্তি বন্ধ রাখার সুযোগকেই বলে স্থগিতকাল। তবে এই সময়েও সুদ জমতে থাকে। অনেক সময় ঋণ পরিশোধের জন্য বিশেষ কিস্তি ভাগও করে দেওয়া হয়।
৯. জামানত (কোলেটারাল)
ঋণের নিরাপত্তা হিসেবে আপনার সম্পদ (যেমন বাড়ি, সোনা, জমি) ব্যাংকে বন্ধক রাখা হয়। কিস্তি না দিলে ব্যাংক ওই সম্পদ বিক্রি করে টাকা তুলে নেয়।
১০. লোন-টু-ভ্যালু রেশিও
আপনি যত টাকা ঋণ নিচ্ছেন আর জামানতের মূল্য কত—এই অনুপাতকে বলে লোন টু ভ্যালু রেশিও (এলটিভি)। এর অনুপাত যত কম হয়, ব্যাংকের ঝুঁকি তত কম।