‘বাবা, ওদিকে যাব না, বিল্ডিংটা দেখলে ভয় লাগে!’
Published: 27th, July 2025 GMT
বিল্লাল হোসেন ও তানিয়া আক্তারের দুটি সন্তান। দুজনই রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুলে পড়ে। মেয়ে তাবাসসুম পারভীন সপ্তম শ্রেণিতে আর ছেলে তানভীর হোসেন আবদুল্লাহ কেজিতে। আজ রোববার স্কুলের প্রধান ক্যাম্পাসে গিয়ে দেখা যায়, বিল্লাল হোসেন দুই সন্তানকে নিয়ে কাউন্সেলিং সেন্টারের বারান্দায় হাঁটছিলেন। কাউন্সেলিং সেন্টারটি গড়ে তোলা হয়েছে মূল ফটক থেকে ঢুকতে ডান দিকের একতলা একটি ভবনে। এই ভবন পেরিয়ে সোজা কিছুটা বাঁয়ে গেলে ডান দিকে হায়দার আলী ভবন, যেখানে ২১ জুলাই বেলা একটার পর একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়েছিল।
এই প্রতিবেদক পরিচয় দিয়ে জানতে চাইলে বিল্লাল হোসেন বলেন, ‘মেয়েটা বাসায় বসে সারা দিন কাঁদে, তাই ওকে কাউন্সেলর দেখাতে নিয়ে এসেছিলাম। গত শনিবার ওর বন্ধু জারিফ ফারহান চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। ওরা দুজন পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত একসঙ্গে পড়েছে।’
আজ স্কুলে গিয়ে কাউন্সেলিং সেন্টারের একটি কক্ষে মর্মস্পর্শী দৃশ্য দেখা যায়। মেঝেতে থরে থরে ব্যাগ সাজিয়ে রাখা হয়েছে। ব্যাগের হাতলে শিশুদের নাম, রোল নম্বর, শ্রেণি ও শ্রেণি শাখার নাম লেখা কাগজ সাঁটিয়ে রাখা হয়েছে। প্রাণ বাঁচাতে আতঙ্কে ব্যাগগুলো ফেলে ছোটাছুটি করছিল শিশুরা।
সেই ব্যাগগুলোর একটি জাফিরা বাশারের। মা রিফাত ফেরদৌসের সঙ্গে ব্যাগ নিতে এসেছিল সে। তাকে খুব বিষণ্ন দেখাচ্ছিল। মা রিফাত জানালেন, তাঁর মেয়ের বন্ধু আয়মান মারা গেছে। আয়মানের হাত ধরে সেদিন বিদায় জানিয়েছিল জাফিরা।
কাউন্সেলিং সেন্টারের একটি কক্ষে মেঝেতে থরে থরে ব্যাগ সাজিয়ে রাখা হয়েছে.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ভারতকে ‘স্বস্তি’ দিয়ে অস্ট্রেলিয়া দল ছাড়লেন ট্রাভিস হেড
৮, ২৮, ২৯, ২৮, ৬—ভারতের বিপক্ষে ট্রাভিস হেডের সর্বশেষ ৫ ইনিংস।
২০২৩ সাল থেকে ব্যাট হাতে ভারতকে যতটা ভুগিয়েছেন, সাম্প্রতিক সময়ে ততটা ভোগাতে পারেননি হেড। তবু তিনি ভারতীয় বোলারদের জন্য এক আতঙ্কের নাম। যেকোনো সময় বাউন্ডারির বৃষ্টি বইয়ে দিতে পারেন।
তবে হেডকে নিয়ে ভারতীয় দলকে আপাতত মাথা ঘামানোর দরকার পড়বে না। যশপ্রীত বুমরা, অর্শদীপ সিং, হর্ষিত রানা, অক্ষর প্যাটেলদের জন্য সুখবর হলো ভারতের বিপক্ষে চলমান টি–টোয়েন্টি সিরিজের শেষ দুই ম্যাচে খেলবে না হেড।
ভারতের বিপক্ষে সম্প্রতি ভালো করতে পারেনি ট্রাভিস হেড