নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে বকেয়া দোকান ভাড়া চাওয়ায় দোকান মালিক জাহাঙ্গীর ভূঁইয়াকে (৫০) পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।

বুধবার (৩০ জুলাই) উপজেলার মাহমুদপুর ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। নিহত জাহাঙ্গীর একই ইউনিয়নের সালমদী বাজারের তালেব আলীর ছেলে।

নিহতের ছেলে রা‌সেল অভিযোগ করে বলেন, ‘‘সালমদী বাজারে আমাদের তিনটি দোকান রয়েছে। ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পরে ইউনিয়ন বিএন‌পির সা‌বেক সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় ইউপি সদস্য তোতা বাৎসরিক ৩০ হাজার টাকায় তিনটি দোকান ভাড়া নেন। এর মধ্যে, একটি দোকান বিএন‌পির ওয়ার্ড কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে। বাকি দুই দোকানের ভাড়া পরিশোধ করলেও যে দোকান‌টি‌ বিএন‌পির কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে, সে‌টির ভাড়া প‌রি‌শোধ করছিলেন না তোতা মেম্বার।’’

আরো পড়ুন:

যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে হত্যা, স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সন্ত্রাসীদের হামলায় ব্যবসায়ী নিহত

তিনি বলেন, ‘‘বুধবার বকেয়া ভাড়া চাইতে তোতা মেম্বারের কাছে যান বাবা। এ সময় দুজনের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। খবর পেয়ে তোতা মেম্বারের ছেলে খোকন, রা‌সেল এবং ভাতিজা সাদ্দাম, আলমসহ আরো কয়েকজন ঘটনাস্থলে এসে বাবাকে বেধড়ক পেটায়। পরে গুরুতর আহতাবস্থায় তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নি‌য়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।’’

স্থানীয়রা জানান, ওই কার্যালয়টি বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মাহমুদুর রহমান সুমনের অনুসারীদের অফিস হিসেবে পরিচিত ছিল। তোতা মেম্বারও তার অনুসারী।

এদিকে, ঘটনার পর থেকে তোতা মেম্বার ও তার অনুসারীরা পলাতক আছেন। তাই, অভিযোগের বিষয়ে তোতা মেম্বারের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে জানতে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মাহমুদুর রহমান সুমনের মোবাইলে একাধিকবার কল কররেও তিনি রিসিভ করেননি।

আড়াইহাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খন্দকার নাসির উদ্দিন বলেন, ‘‘বকেয়া দোকান ভাড়া নিয়ে জাহাঙ্গীরকে মারধর করা হয়। পরে তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।’’

ঢাকা/অনিক/রাজীব

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হত য

এছাড়াও পড়ুন:

হাতিয়ায় শ্বশুরবাড়িতে পালিয়ে থাকা সন্দ্বীপ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গ্রেপ্তার

নোয়াখালীর হাতিয়ায় শ্বশুরবাড়ি থেকে সন্দ্বীপ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আলাউদ্দিনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার ভোরে উপজেলার বুড়িরচরের জোড়খালী গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করে হাতিয়া থানা-পুলিশ।

পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তার মো. আলাউদ্দিন সন্দ্বীপ পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের হরিষপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি দীর্ঘদিন ধরে হাতিয়ার শ্বশুরবাড়িতে পালিয়েছিলেন। গ্রেপ্তারের পর তাঁকে হাতিয়া থানা হাজতে রাখা হয়। পরে সেখান থেকে দুপুরের দিকে আদালতে পাঠানো হয়।

হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম আজমল হুদা প্রথম আলোকে বলেন, আওয়ামী লীগ নেতা মো. আলাউদ্দিন জোড়খালী গ্রামের শ্বশুরবাড়িতে অবস্থান করে সরকার বিরোধী নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিলেন। গোপন সংবাদে বিষয়টি টের পাওয়ার পরই তাৎক্ষণিক অভিযান পরিচালনা করে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ওসি এ কে এম আজমল হুদা জানান, সরকারবিরোধী ষড়যন্ত্রের অভিযোগে আলাউদ্দিন ও তাঁর ১৫ সহযোগীর বিরুদ্ধে থানায় নাশকতার পরিকল্পনার মামলা দায়ের করা হয়েছে। ওই মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে হাতিয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হয়েছে। মামলার অপর আসামিদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ