বিএনপির কার্যালয়ের ভাড়া চাওয়ায় দোকান মালিককে পিটিয়ে হত্যা
Published: 30th, July 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে বকেয়া দোকান ভাড়া চাওয়ায় দোকান মালিক জাহাঙ্গীর ভূঁইয়াকে (৫০) পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার (৩০ জুলাই) উপজেলার মাহমুদপুর ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। নিহত জাহাঙ্গীর একই ইউনিয়নের সালমদী বাজারের তালেব আলীর ছেলে।
নিহতের ছেলে রাসেল অভিযোগ করে বলেন, ‘‘সালমদী বাজারে আমাদের তিনটি দোকান রয়েছে। ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পরে ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় ইউপি সদস্য তোতা বাৎসরিক ৩০ হাজার টাকায় তিনটি দোকান ভাড়া নেন। এর মধ্যে, একটি দোকান বিএনপির ওয়ার্ড কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে। বাকি দুই দোকানের ভাড়া পরিশোধ করলেও যে দোকানটি বিএনপির কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে, সেটির ভাড়া পরিশোধ করছিলেন না তোতা মেম্বার।’’
আরো পড়ুন:
যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে হত্যা, স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সন্ত্রাসীদের হামলায় ব্যবসায়ী নিহত
তিনি বলেন, ‘‘বুধবার বকেয়া ভাড়া চাইতে তোতা মেম্বারের কাছে যান বাবা। এ সময় দুজনের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। খবর পেয়ে তোতা মেম্বারের ছেলে খোকন, রাসেল এবং ভাতিজা সাদ্দাম, আলমসহ আরো কয়েকজন ঘটনাস্থলে এসে বাবাকে বেধড়ক পেটায়। পরে গুরুতর আহতাবস্থায় তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।’’
স্থানীয়রা জানান, ওই কার্যালয়টি বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মাহমুদুর রহমান সুমনের অনুসারীদের অফিস হিসেবে পরিচিত ছিল। তোতা মেম্বারও তার অনুসারী।
এদিকে, ঘটনার পর থেকে তোতা মেম্বার ও তার অনুসারীরা পলাতক আছেন। তাই, অভিযোগের বিষয়ে তোতা মেম্বারের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে জানতে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মাহমুদুর রহমান সুমনের মোবাইলে একাধিকবার কল কররেও তিনি রিসিভ করেননি।
আড়াইহাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খন্দকার নাসির উদ্দিন বলেন, ‘‘বকেয়া দোকান ভাড়া নিয়ে জাহাঙ্গীরকে মারধর করা হয়। পরে তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।’’
ঢাকা/অনিক/রাজীব
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ভাঙ্গায় চার গ্রামের সংঘর্ষে আহত ৬০
জমি সংক্রান্ত দীর্ঘদিনের বিরোধকে কেন্দ্র করে ফরিদপুরের ভাঙ্গায় চার গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। উপজেলার হামিরদী ইউনিয়নের গোপীনাথপুর গ্রামে রবিবার (২ নভেম্বর) বিকেল ৩টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলা সংঘর্ষে অন্তত ৬০ জন আহত হয়েছেন। এ সময় কয়েকটি বাড়ি ও দোকান ভাঙচুর ও লুটপাট হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গোপীনাথপুর গ্রামের সাইমন মাতুব্বর ও কুদ্দুস মাতুব্বরের মধ্যে জমি নিয়ে গত শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। এরই জেরে রবিবার সালিশ বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল। বৈঠকে বসা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয় এবং একপর্যায়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তারা একে অপরের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েন।
আরো পড়ুন:
ঝিনাইদহে বিএনপি দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১০
শরীয়তপুরে দু’পক্ষের সংঘর্ষ, শতাধিক হাতবোমা বিস্ফোরণ
গোপীনাথপুর গ্রামের দুটি পক্ষের সঙ্গে পরবর্তীতে ছোট হামেরদী, খাড়া কান্দি ও বাইশা খালি গ্রামের লোকজনও সংঘর্ষে যোগ দেন। ফলে পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নেয়। সংঘর্ষকারীরা ঢাল, শরকি, কালি, কাতরা, টেটার মতো অস্ত্র ব্যবহার করেন। ইট ও দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে অন্তত ৬০ জন আহত হন। গুরুতরদের ভাঙ্গা ও ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ভাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আশরাফ হোসেন বলেন, “পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় এবং চার গ্রামের লোকজন রণক্ষেত্র তৈরি করায় জেলা সদর থেকে অতিরিক্ত পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যদের খবর দেওয়া হয়েছিল। ক্ষতির পরিমাণ পরে জানাতে পারব।”
ঢাকা/তামিম/মাসুদ