যুক্তরাষ্ট্রের মন্টানা অঙ্গরাজ্যের একটি বারে গুলিবর্ষণে চারজন নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (১ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে অ্যানাকোন্ডা শহরের আউল বারে এ ঘটনা ঘটে।

শনিবার (২ আগস্ট) স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এ ঘটনায় সন্দেহভাজন এক ব্যক্তি এখনো পলাতক। তাকে ধরতে অভিযান চলছে। খবর বিবিসির। 

যুক্তরাষ্ট্রের অ্যালকোহল, তামাক, আগ্নেয়াস্ত্র ও বিস্ফোরক ব্যুরো (এটিএফ) জানিয়েছে, তারা অ্যানাকোন্ডার একটি ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠানে একাধিক ব্যক্তির গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় মাঠে নেমেছে।

আরো পড়ুন:

৩০ বছরের হিমায়িত ভ্রুণ থেকে জন্ম নিলো জীবিত শিশু

রাশিয়ার কাছাকাছি দুটি পারমাণবিক সাবমেরিন মোতায়েনের নির্দেশ ট্রাম্পের

অ্যানাকোন্ডা এক সময় তামা গলনের প্রধান কেন্দ্র ছিল। দক্ষিণপশ্চিম মন্টানার এ শহরের জনসংখ্যা প্রায় ১০ হাজার, এটি মন্টানার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শহর বোজম্যানের ১৭৫ কিলোমিটার পশ্চিমে অবস্থিত।

সন্দেহভাজনের নাম মাইকেল পল ব্রাউন বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় দেওয়া পোস্টে বলেছে অ্যানাকোন্ডা-ডিয়ার লজ কাউন্টি আইনপ্রয়োগকারী কেন্দ্র। এছাড়াও সন্দেহভাজন এ ব্যক্তি সশস্ত্র ও বিপজ্জনক বলে ধারণা করা হচ্ছে।

আইনপ্রয়োগকারী কেন্দ্র বলেছে, “যদি তাকে দেখতে পান তাহলে তার কাছে যাবেন না। ৯১১ নম্বরে যোগাযোগ করুন।”

এছাড়া কর্মকর্তারা অ্যানাকোন্ডার বাসিন্দাদেরকে বাসায় অবস্থান করতে ও দরজা বন্ধ রাখার পরামর্শ দিয়েছেন।

অ্যানাকোন্ডোর কাছাকাছি গ্রেনাইট কাউন্টির শেরিফের কার্যালয় সোশ্যাল মিডিয়ায় এক পোস্টে লিখেছে, বন্দুকধারী টাই ডাই শার্ট, নীল জিন্স ও একটি কমলা ব্যান্ডানা পরেছে বলে জানানো হয়েছে।

শেরিফের অফিস আরো জানিয়েছে, বন্দুকধারীর বাড়িতে সোয়াদ দল অভিযান চালিয়েছে। মার্কিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআইও তদন্তে সহায়তা করছে। 

মন্টানার গভর্নর গ্রেগ জিয়ানফোর্ট বলেছেন, তিনি বন্দুক হামলার প্রতিক্রিয়ায় নজর রাখছেন। 

মন্টানার সেনেটর স্টিভ ডেইনস স্থানীয় গণমাধ্যমকে বলেছেন, পুলিশি ড্রোনের সাহায্যে ‘চিরুনি অভিযান’ চলছে।

জানা যায়, ১৮৯৩ সালে অ্যানাকোন্ডার তামাশ্রমিকদের কাছে মদ বেচতে আউল বার প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এটি অ্যানাকোন্ডার গুজটাউন এলাকায় অবস্থিত।

ঢাকা/ফিরোজ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর য ক তর ষ ট র মন ট ন র

এছাড়াও পড়ুন:

ফেব্রুয়ারিতে অবাধ, শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর নির্বাচন আয়োজনের অঙ্গীকার প্রধান উপদেষ্টার

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অবাধ, সুষ্ঠু, স্বচ্ছ ও উৎসবমুখর জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন। আজ বুধবার ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় ইউরোপীয় পার্লামেন্ট সদস্য (এমইপি) মুনির সাতোরির নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।

প্রতিনিধিদলকে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যেই নির্বাচনের সময়সূচি ঘোষণা করেছি। নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ফেব্রুয়ারির শুরুতে, রমজানের ঠিক আগে।’ তিনি উল্লেখ করেন, জনসাধারণ, বিশেষ করে তরুণদের মধ্যে নির্বাচনী উৎসাহ বাড়ছে। কারণ, দীর্ঘদিন পর কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে তিন দশকের বেশি সময় পর ছাত্র সংসদ নির্বাচন আবার শুরু হয়েছে।

অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচন হবে শান্তিপূর্ণ, সুষ্ঠু, স্বচ্ছ ও উৎসবমুখর।’ তিনি বলেন, কিছু শক্তি এখনো নির্বাচন বিলম্বিত করার চেষ্টা করছে, তবে অন্তর্বর্তী সরকার নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন আয়োজনের ব্যাপারে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

প্রধান উপদেষ্টা আশা প্রকাশ করেন, তরুণ ভোটাররা এবার রেকর্ড সংখ্যায় ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। কারণ, ১৫ বছরের বেশি সময় পর অনেকেই প্রথমবারের মতো ভোট দেবেন। তিনি বলেন, ‘ফেব্রুয়ারির নির্বাচন বাংলাদেশের জন্য এক নতুন সূচনা বয়ে আনবে। এটি আমাদের ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে—জাতির জন্য এক নতুন যাত্রা।’

ঘণ্টাব্যাপী আলোচনায় প্রধান উপদেষ্টা ও ইউরোপীয় আইনপ্রণেতারা অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার উদ্যোগ, বাংলাদেশের উন্নয়ন ও গণতান্ত্রিক রূপান্তরে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অব্যাহত সমর্থন ও চলমান রোহিঙ্গা মানবিক সংকট নিয়ে মতবিনিময় করেন।

আগামী নির্বাচন বাংলাদেশে এক গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত হয়ে উঠতে পারে বলে আশা প্রকাশ করেন ইউরোপীয় আইনপ্রণেতারা। এক আইনপ্রণেতা প্রধান উপদেষ্টা ও তাঁর সরকারের গত ১৪ মাসের ‘অসাধারণ’ প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন।

এক ডাচ আইনপ্রণেতা মন্তব্য করেন, বাংলাদেশ কতিপয় দেশের মধ্যে অন্যতম, যেখানে ‘ঘটনাগুলো সঠিক পথে এগোচ্ছে।’

প্রধান উপদেষ্টা ইউরোপীয় ইউনিয়নের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং বাংলাদেশে অবস্থানরত এক মিলিয়নের বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীর জন্য বাড়তি তহবিল প্রদানের আহ্বান জানান।

বিশেষ করে সম্প্রতি অর্থাভাবে বন্ধ হয়ে যাওয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের স্কুলগুলো আবার চালু করতে সহায়তা প্রদানের অনুরোধ জানান প্রধান উপদেষ্টা।

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী অন্তর্বর্তী সরকারের গৃহীত গুরুত্বপূর্ণ শ্রম সংস্কারগুলো তুলে ধরে বলেন, এসব পদক্ষেপ বাংলাদেশ–ইইউ সম্পর্ক আরও জোরদার করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • অবাধ, শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর নির্বাচন আয়োজনের অঙ্গীকার প্রধান উপদেষ্টার
  • এমপিদের বিনামূল্যে গাড়ি দেওয়ার পরিকল্পনার প্রতিবাদে পূর্ব তিমুরে ব্যাপক বিক্ষোভ
  • ফেব্রুয়ারিতে অবাধ, শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর নির্বাচন আয়োজনের অঙ্গীকার প্রধান উপদেষ্টার