বীর মুক্তিযোদ্ধা ইব্রাহিমের বাড়ি মেরামতের আশ্বাস দিলেন ইউএনও তাছলিমা শিরিন
Published: 27th, August 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এর বাসভবনের সামনে পুকুরপাড়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা ইব্রাহিম মিয়ার ধসে যাওয়া বাড়ি মেরামত করে দেওয়ার আশ্বাস দিলেন নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাছলিমা শিরিন।
বুধবার (২৭ আগষ্ট) সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাছলিমা শিরিন ঘটনা স্হল পরিদর্শন করেন এবং মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের হেলে যাওয়া বসতঘর মেরামত করে দেওয়ার আশ্বাস দেন। এসময় তিনি ওই পরিবারকে নিরাপদ স্হানে থাকার ও সুব্যবস্হা করেন।
এ বিষয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রয়াত মো: ইব্রাহিম মিয়ার ছেলে আরমান বলেন ইউএনও স্যার আমাদের এখানে এসেছেন। তিনি আমাদের থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন এবং ঘর মেরামত করে দেওয়ার বিষয়ে কথা বলেন।
এবিষয়ে ইউএনও তাছলিমা শিরিন বলেন, আমি তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। পরিবেশ পরিস্থিতি বিবেচনা করে আমি তাদের থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছি।
এছাড়াও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঘর মেরামত করে দেওয়ার বিষয়ে র্যবস্থা করা হবে। এসময় তিনি বলেন এটা কেবল আমার দায়িত্ব নয়, এটা আমার কর্তব্য।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ইউএনও উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
ওয়াগ্গাছড়া চা বাগানে হাতির তাণ্ডব
রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ পাড়ে সীতা পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত ওয়াগ্গাছড়া চা বাগানে বিগত এক মাস ধরে অবস্থান করছেন একদল বন্যহাতি। ১৭ (সতের) দলের এই বন্যহাতির তাণ্ডবে এরইমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাগান শ্রমিকদের ঘরবাড়ি, গাছপালা এবং বাগানের অভ্যন্তরে অবস্থিত কাঁচা সড়ক।
এদের তাণ্ডবে বাগানের ২নং সেকশনে বসবাসকারী চা শ্রমিকরা এরইমধ্যে নিজ নিজ বসতবাড়ি ছেড়ে কর্ণফুলি নদীর উত্তর পাড়ে অবস্থান নিয়েছে। এই সেকশনে থাকা বহু ঘর হাতির আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ওয়াগ্গা টি লিমিটেডের পরিচালক খোরশেদুল আলম কাদেরী বলেন, “হাতির তাণ্ডবে মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ৩টায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাগানের নিজস্ব বোট চালক সানাউল্লাহর বসতবাড়ি। এসময় তিনিসহ তার স্ত্রী-সন্তানেরা ঘর হতে বের হয়ে কোনরকমে প্রাণে রক্ষা পেয়েছে।”
বোট চালক সানাউল্লাহ বলেন, “সোমবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে আমি হাতির গর্জন শুনতে পাই। এসময় একটি বড় হাতি আমার ঘর ভাঙার চেষ্টা চালায়। আমি হতবিহ্বল হয়ে যাই। সেসময় স্ত্রী-পুত্রকে নিয়ে ঘরের পেছন দিয়ে কোন রকমে পালিয়ে বোটে করে এপারে চলে আসি।”
চা বাগানের টিলা বাবু চাথোয়াই অং মারমা বলেন, “বিগত এক মাস ধরে ১৭টি হাতির একটি দল বাগানে অবস্থান করছে। মাঝে মাঝে দলটি সীতা পাহাড়ে চলে গেলেও হঠাৎ বাগানে চলে এসে আসে এবং বাগানের গাছপালা, বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত করে। আমাদের চা শ্রমিকরা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন।”
ওয়াগ্গা চা বাগানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক আমিনুর রশীদ কাদেরী বলেন, “বিগত এক মাস ধরে হাতির একটি দল ওয়াগ্গা চা বাগানে অবস্থান নিয়েছে। তাদের দলে সদস্য সংখ্যা সতেরো ১৭টি। সম্প্রতি দুটি নতুন শিশু জন্ম নিয়েছে। শিশু হস্তী শাবককে আশীর্বাদ করার জন্য সীতা পাহাড়ের গভীর অরণ্য থেকে আরো একদল হাতি যোগদান করেছে।”
হাতি খুবই শান্তিপ্রিয় জীব। নিরিবিলি পরিবেশ পছন্দ করে। অনেকে বলে থাকেন, মামারা বেরসিক বাদ্য বাজনা, বাঁশির সুর, গলাফাটা গান, গোলা বারুদ, ড্রামের শব্দ পছন্দ করে না। তারা কোলাহল এড়িয়ে চলে।
গতকাল সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) স্বচক্ষে দেখা হলো। আমাদের টিলা বাবু চাই থোয়াই অং মারমা শ্রমিকদের নিয়ে পাহাড়ের উপর বাঁশির সুর তুলেছে। সুর ও বাদ্য বাজনা এড়িয়ে মামারা (হাতি) চা বাগান পেরিয়ে সদলবলে বাঁশবনের গভীর থেকে গভীরে হারিয়ে গেলো। হয়তো আবার ফিরে আসবে।
কাপ্তাই বন বিভাগের কাপ্তাই রেঞ্জ অফিসার ওমর ফারুক স্বাধীন বলেন, “দিন দিন হাতির আবাসস্থল ধ্বংস হওয়ার ফলে হাতি খাবারের সন্ধানে প্রায়ই লোকালয়ে এসে হানা দিচ্ছে। আমাদের উচিত হাতির আবাসস্থল ধ্বংস না করা।”
ঢাকা/রাঙামাটি/এস