চট্টগ্রাম সিটির সীমানা বৃদ্ধি প্রয়োজন: মেয়র
Published: 29th, August 2025 GMT
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে চট্টগ্রাম নগরীতে জনবসতি ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বৃদ্ধি পাওয়ায় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সীমানা বৃদ্ধি প্রয়োজন।
শুক্রবার (২৯ আগস্ট) চট্টগ্রামের আনোয়ারা বোয়ালিয়া ২নং বারশত ইউনিয়নের বায়তুন নূর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের পুনঃনির্মাণ কাজের উদ্বোধন উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
আরো পড়ুন:
শহরের পরিচ্ছন্নতায় নাগরিক অংশগ্রহণ অপরিহার্য: ডিএনসিসি প্রশাসক
তালুকদার আব্দুল খালেক ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা
আল্লামা মুফতি খলিল আহমদ কুরাইশির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সাবেক সংসদ সদস্য সরোয়ার জামাল নিজাম, ফউজুল আমিন চৌধুরী, মনজুরুল আলম মনজু, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান হাসান চৌধুরী, সানি নিজাম, আনছার প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
সিটি মেয়র বলেন, “বর্তমানে সিটি কর্পোরেশনের বাইরে থাকা বিপুল জনগোষ্ঠী প্রতিদিন নগরে এসে কাজ করছেন, ব্যবসা-বাণিজ্য করছেন। অথচ এ অঞ্চলগুলো কর্পোরেশনের আওতার বাইরে থাকায় এসব এলাকায় উন্নয়ন ব্যাহত হচ্ছে। ফলে, অর্থনৈতিক সম্প্রসারণ না হওয়ায় আমরা অনেকখানি রাজস্ব হারাচ্ছি। এটি আমাদের জন্য গুরুতর চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যদি আমরা দেশকে ভালোবাসি, যদি চট্টগ্রামকে ভালোবাসি, তবে এ নগরীকে সম্প্রসারণ করতে হবে।’’
দক্ষিণ চট্টগ্রামের অনেক অংশ, বিশেষ করে কর্ণফুলী ও আনোয়ারা উপজেলার বেশ কিছু অঞ্চলকে নগরের সঙ্গে যুক্ত করা প্রয়োজন বলে জানান মেয়র।
মেয়র ডা.
সভা শেষে দোয়া পরিচালনা করা হয় এবং দেশ-জাতির কল্যাণ কামনা করা হয়।
ঢাকা/রেজাউল/বকুল
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সত্য মিথ্যা যাচাই না করে শেয়ার করবেন না, মেসেজটা তৃণমূলে ছড়িয়ে দিন: সিইসি
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, 'আমাদের একটা অভ্যাস হয়ে গেছে একটা নেতিবাচক সংবাদ দেখলেই যাচাই-বাছাই না করে শেয়ার করে দেওয়া হয়। অত্যন্ত ভিত্তিহীন সংবাদও আমরা শেয়ার করে দেই।'
সিইসি বলেন, 'দয়া করে সত্য মিথ্যা যাচাই না করে শেয়ার করবেন না। এই মেসেজটা তৃণমূলে ছড়িয়ে দিন। তথ্যটা যেন আগে যাচাই করে তারপরে শেয়ার করেন।'
আজ সোমবার রাজধানীর ভাটারায় আনসার গার্ড ব্যাটালিয়নে (এজিবি) এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এসব কথা বলেন সিইসি। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় ভুয়া সংবাদের প্রচার ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অপপ্রয়োগ রোধে করণীয় সম্পর্কে তিনি এসব কথা বলেন।
থানা আনসার কোম্পানি/প্লাটুন সদস্যদের আনসার মৌলিক প্রশিক্ষণের (৪র্থ ধাপ) সমাপনী উপলক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিইসি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কোনো সংবাদ দেখা মাত্রই নাগরিকদের যাচাইবাছাই করতে আহ্বান জানান সিইসি। নিশ্চিত হওয়ার আগে শেয়ার না করতে বলেন তিনি।
জাতীয় নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মধ্যে আনসার ভিডিপির ভূমিকাকে মূল শক্তি বলে উল্লেখ করেন সিইসি। তিনি বলেন, 'এনারাই অধিক সংখ্যায় নিয়োজিত থাকেন। এবং আমাদের হিসেব করতে গেলে প্রথম এদেরকেই হিসেব করতে হয় যে, কতজন আনসার ভিডিপি সদস্য আমরা মোতায়েন করতে পারব। মূল কাজটা আঞ্জাম (সম্পাদন) দিতে হয় কিন্তু আনসার এবং ভিডিপির সদস্যদের।'
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ। নির্বাচনকালীন জনগণের নিরাপত্তা, ভোট কেন্দ্রের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখা এবং সুষ্ঠুভাবে ভোট গ্রহণে আনসার বাহিনী সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়ে কাজ করছে বলে জানান তিনি। নির্বাচনে দেশজুড়ে প্রায় ৬ লাখ আনসার ও ভিডিপি সদস্য দায়িত্বপালন করবেন বলেন মহাপরিচালক।
অনুষ্ঠানে মহড়ায় ঢাকা মহানগর আনসারের চারটি জোনের অধীন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ৩২০ জন আনসার ও ভিডিপি সদস্য অংশ নেন। আনসার গার্ড ব্যাটালিয়নের সদস্যরা টহল, দায়িত্ব বণ্টন ও জরুরি প্রতিক্রিয়া অনুশীলনে অংশ নেন।
মহড়ায় ভোটকেন্দ্রে নির্বাচনী সরঞ্জামাদি নিরাপদে পৌঁছে দেওয়া, ভোটারদের শৃঙ্খলাবদ্ধভাবে ভোট প্রদানে সহায়তা, জাল ভোট প্রতিরোধ, প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা এবং সেনা, বিজিবি, র্যাব ও পুলিশের সঙ্গে দ্রুত সমন্বয়ের প্রস্তুতি নেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি সদর দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন জোনের অধিনায়ক এবং প্রশিক্ষণ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।