বোনের জন্য ভাইয়ের দেওয়া উপহার ‘স্বর্ণমোড়ানো কোরআন’
Published: 19th, September 2025 GMT
মুসলিমদের কাছে কোরআন হলো পবিত্র এবং সবচেয়ে উৎকৃষ্ট গ্রন্থ। ধর্মপ্রাণ মুসলিম কোরআনের প্রতি বিভিন্নভাবে ভক্তি, শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা প্রদর্শন করেন।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, ‘‘কোরআনের প্রতি ভালোবাসা প্রদর্শনের সবচেয়ে উত্কৃষ্ট পদ্ধতি হলো, কোরআনে বর্ণিত মহান আল্লাহর নির্দেশনাগুলোর উপর আমল করা।’’
আরো পড়ুন:
ডোডো পাখিকে কী ফেরাতে পারবে বিজ্ঞানীরা?
ছোট চুলের ট্রেন্ডি ‘হেয়ার কাট’
কেউ কেউ ভালোবাসার সেরা নিদর্শন হিসেবে প্রিয়জনকে কোরআন উপহার দেন। আবার কেউ কেউ কোরআন সংরক্ষণেও বিশেষ ভক্তির নিদর্শন তৈরি করেন। অনেকে আল্লাহর পবিত্র কালামের প্রতিটি লাইনকে স্বর্ণ মুড়িয়ে সংরক্ষণ করেছেন। তেমনি একটি কোরআনের কপি পাওয়া ভারতীয় এক পরিবারের কাছে।
২০১৮ সালের ৮ নভেম্বর গালফ নিউজের এক রিপোর্টে দাবি করা হয়, ‘‘ভারতীয় একটি পরিবারের কাছে প্রায় ৫০০ বছরের পুরনো স্বর্ণমোড়ানো কোরআন রয়েছে। কপিটি বর্তমানে আছে ব্যাংক কর্মকর্তা মোহাম্মদ হারিসের ঘরে।’’
গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে হারিস বলেন, ‘‘ সোনায় মোড়ানো পবিত্র কোরআনের বিশেষ পাণ্ডুলিপিটি আমার স্ত্রী আয়েশা কাসিম উপহার পেয়েছেন ২০০৯ সালে। তার বড় ভাই ইসমাইল বিন কাসিম মালয়েশিয়া থেকে বোনের জন্য উপহার হিসেবে ‘গোল্ডেন টুলিং কোরআন’ দেন।’’
তাদের তথ্যমতে, উপহারটির সঙ্গে আরও বহু নথি ছিল, যেমন মালয়েশিয়া থেকে পবিত্র কোরআনের এই বিরল পাণ্ডুলিপিটি স্থানান্তরিত করার অনুমতিপত্র। এছাড়াও ছিলো মালিকানার সনদপত্র এবং কোরআনের ইতিহাস। পাণ্ডুলিপির সঙ্গে থাকা নথিতে উল্লেখ রয়েছে যে, সোনার হরফে লেখা এই কোরআন ১৬ থেকে ১৮ শতকের মধ্যে প্রস্তুতকৃত।
ধারণা করা হয়, অটোমান সাম্রাজ্যের শাসনকালীন সময়ে আরবরা এই বিরল কোরআন চীনে নিয়ে গিয়েছিলেন। এরপর ১৯৭১ সালে এটি মালয়েশিয়ায় আনা হয়।
হারিস বলেন, ‘‘এই বিরল কোরআন তিলাওয়াত করে আমরা শান্তি অনুভব করি।’’
বিশেষ করে পবিত্র রমজান মাসে তার স্ত্রী-সন্তানেরা এই স্বর্ণমোড়ানো কোরআন তিলাওয়াত করতে আনন্দ পান বলেও জানিয়েছেন হরিস।
ঢাকা/লিপি
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ক রআন র স বর ণ উপহ র
এছাড়াও পড়ুন:
খুলনায় মুক্তি পাচ্ছে ‘দেলুপি’
খুলনা জেলার পাইকগাছা উপজেলার দেলুটি ইউনিয়নের নদী ভাঙনকে কেন্দ্র করে নির্মিত হয়েছে ‘দেলুপি’ সিনেমা। আগামী ৭ নভেম্বর খুলনায় মুক্তি পেতে যাচ্ছে এটি। এদিন নগরীর খালিশপুরের লিবার্টি সিনেমা হলে প্রদর্শিত হবে সিনেমাটি। ১৪ নভেম্বর থেকে ঢাকাসহ দেশব্যাপী মুক্তি পাবে সিনেমাটি। এটি পরিচালনা করেছেন মোহাম্মদ তাওকীর ইসলাম।
এর আগে ৫ নভেম্বর, সিনেমাটির প্রিমিয়ার শো প্রদর্শিত হবে বেলুটি ইউনিয়নের দারুণ মল্লিক প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে। এখানে সিনেমাটির দৃশ্যধারনের কাজ হয়েছে। সোমবার (৩ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় খুলনা প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।
তার প্রথম সিনেমা ‘দেলুপি’। খুলনার পাইকগাছা উপজেলার দেলুটিতে এর শুটিং হওয়ায় এবং এর অভিনেতা ও অভিনেত্রীরা খুলনা অঞ্চলের হওয়ায় আগামী ৭ নভেম্বর সিনেমাটি খুলনায় মুক্তি পাবে। ঢাকাসহ সারাদেশের প্রেক্ষাগৃহে দেখা যাবে ১৪ নভেম্বর থেকে। এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সিনেমাটির প্রচার শুরু হয়েছে। সিনেমার ট্রেইলার, টিজার, গানও প্রচারিত হচ্ছে। সিনেমাটিতে রাজনীতি, ভালোবাসা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, যাত্রাশিল্পীদের সংগ্রামের গল্প বলেছেন বলে জানান পরিচালক মোহাম্মদ তাওকীর।
খুলনায় নানাভাবে সিনেমাটির প্রচারের পরিকল্পনা করেছেন পরিচালক মোহাম্মদ তাওকীর। তার ভাষায়, “আরো বেশ কিছুদিন খুলনায় সিনেমাটির প্রচারের পরিকল্পনা রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে—সারা শহরে চিকা মারা, পাইকগাছা উপজেলার দেলুটি ইউনিয়নের দারুণ মল্লিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে ৫ নভেম্বর প্রিমিয়ার, লিবার্টি সিনেমা হল সাজিয়ে দর্শকদের জন্য প্রস্তুত করা, ওয়ান্ডারল্যান্ড পার্কে প্রচার ছাড়াও নানা ধরণের কর্মসূচি। একই সঙ্গে খুলনার ৪টি উপজেলায় স্পেশাল শোয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর মধ্যে ৮ ও ৯ নভেম্বর বটিয়াঘাটা উপজেলা এবং ১০ নভেম্বর দাকোপ উপজেলা, ১১ নভেম্ব পাইকগাছা উপজেলা ও ১২ নভেম্বর ডুমুরিয়া উপজেলা সদরে প্রদর্শিত হবে।”
‘দেলুপি’ সিনেমার অভিনয়শিল্পীরা খুলনার বিভিন্ন ইউনিয়নের বাসিন্দা। সিনেমাটিতে অভিনয় করেছেন চিরনজিৎ বিশ্বাস, অদিতি রায়, রুদ্র রায়, মো জাকির হোসেনসহ অনেকে।
ঢাকা/নুরুজ্জামান/শান্ত