মুঠোফোন ও ইন্টারনেট শুল্ক প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন
Published: 12th, January 2025 GMT
মুঠোফোনে কথা বলা ও ইন্টারনেট–সেবার ওপর নতুন করে শুল্ক আরোপের কারণে টেলিযোগাযোগ খাতকে হুমকির মুখে পড়বে। গ্রাহকের স্বার্থ বিবেচনা না করে এ ধরনের সিদ্ধান্ত মানুষকে ভোগান্তিতে ফেলবে। তাই সরকারকে অবিলম্বে এই সিদ্ধান্ত প্রতাহার করতে হবে।
আজ রোববার সকালে রাজধানীতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধন থেকে এ দাবি জানানো হয়। মুঠোফোন ও ইন্টারনেট–সেবায় নতুন করে শুল্ক আরোপের প্রতিবাদে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন এ আয়োজন করে।
মানববন্ধনে বেসিসের সাবেক সভাপতি ফাহিম মাশরুর বলেন, কারও সঙ্গে আলোচনা না করে নতুন করে ইন্টারনেট–সেবায় কর আরোপ একধরনের স্বৈরতান্ত্রিক আচরণ। নতুন করে কর বাড়ালে টেলিযোগাযোগ ইন্টারনেট–সেবা খাত হুমকির মুখে পড়বে।
গত বৃহস্পতিবার শতাধিক পণ্য ও সেবার ওপর মূল্য সংযোজন কর (মূসক/ভ্যাট) ও সম্পূরক শুল্ক বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। নতুন করহার ইতিমধ্যে কার্যকর হয়েছে। এতে মুঠোফোনের সিম বা রিম কার্ড ব্যবহারের মাধ্যমে সেবার ওপর সম্পূরক শুল্ক ২০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২৩ শতাংশ করা হয়েছে। পাশাপাশি প্রথমবারের মতো ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট–সেবায় ১০ শতাংশ সম্পূরক শুল্কও বসানো হয়েছে।
মুঠোফোনে ১০০ টাকা রিচার্জ করে কথা বললে এবং ইন্টারনেট ব্যবহার করলে সরকার এখন দুই টাকা বেশি নিচ্ছে। মোট নিচ্ছে প্রায় ৩০ টাকা। বাসায় যাঁরা ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবহার করেন, তাঁদের ৫০০ টাকা বিলের ওপর মোট করভার সাড়ে ৭৭ টাকা দাঁড়িয়েছে, আগে যা ছিল ২৫ টাকা।
আরও পড়ুনমুঠোফোন–ইন্টারনেট সেবায় করের বোঝা, আবার বাড়ানোর চিন্তা ০৮ জানুয়ারি ২০২৫মানববন্ধনে বাংলাদেশ ইন্টারনেট গভর্ন্যান্স ফোরাম ও আইআইজির সভাপতি আমিনুল হাকিম বলেন, ব্রডব্যান্ডে নতুন করে ১০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক যুক্ত করায় গ্রাহকের ভোগান্তি যেমন বাড়বে, একইভাবে এই সেবা খাত ধ্বংস হয়ে যাবে। আগামী সপ্তাহের মধ্যে সরকারকে এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন তিনি।
সভাপতির বক্তব্যে মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, গ্রাহকের স্বার্থ বিবেচনা না করে, কারও সঙ্গে আলোচনা না করে এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিয়ে সরকার জনগণের সঙ্গে নতুন করে বৈষম্য সৃষ্টি করল।
মানববন্ধনের আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের সাবেক পরিচালক খালিদ আবু নাসের, আইএসপিএবির সভাপতি ইমদাদুল হক, পাঠাওয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহিম আহমেদ, প্রযুক্তিবিদ ফিদা হক প্রমুখ।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সিদ্ধিরগঞ্জে বিএনপি নেতার মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল
সিদ্ধিরগঞ্জে বিএনপি নেতা নীলফমারী জেলা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি, নীলফমারী-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য জনাব ইঞ্জিনিয়ার শাহরিন ইসলাম চৌধুরী তুহিন এর মুক্তি ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (৩০ এপ্রিল) সাড়ে ৫ টার দিকে আদমজী চাষাড়া সড়কে ইপিজেড এর সামনে নারায়ণগঞ্জে বসবাসরত রংপুর বিভাগীয় বিএনপি সমর্থক গোস্ঠীর উদ্যোগে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সদস্য অকিল উদ্দিন ভূঁইয়া, রংপুর বিভাগ তরুণ দলের সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির ক্রিয়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক এস, এম খোরশেদ আলম, নারায়ণগঞ্জ জেলা তরুণ দলের সাধারণ সম্পাদক মাজারুল ইসলাম, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা তাঁতী দলের সদস্য সচিব আরিফ মুন্সী, ৮ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন ভূঁইয়া, নীলফামারী জেলা তাঁতী দলের সদস্য মোঃ খোকা, লালমনিরহাট জেলা তাঁতি দলের সদস্য আশরাফ আহমেদ খান, রংপুর জেলা ছাত্রদলের সাবেক সদস্য নিতাই সরকার ,সঞ্চালনায় জাহাঙ্গীর হোসেন সাধারণ সম্পাদক নারায়ণগঞ্জ জেলা জাসাস, ও এলাকাবাসী।
তারা সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন কদমতলী হইতে বিক্ষোভ মিছিল পরিচালনা শুরু করেন এবং আদমজী ইপিজেড এর সামনে অবস্থান করেন।
এসময় মানববন্ধনে নারায়ণগঞ্জে বসবাসরত রংপুর বিভাগীয় বিএনপি সমর্থক গোস্ঠী নেতারা বলেন, এই দায়েরকৃত মিথ্যা মামলার জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরন করে।
আমরা অন্তবর্তী সরকারের কাছে এই মামলা সঠিক তদন্তের মাধ্যমে নীলফমারী জেলা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি, নীলফমারী-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য জনাব ইঞ্জিনিয়ার শাহরিন ইসলাম চৌধুরী তুহিন এর মুক্তির দাবি জানাই।
বক্তারা আরো বলেন, এটি একটি ষড়যন্ত্র মূলক মামলা তাকে মিথ্যা আসামী বানিয়ে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়। আমরা চাই দ্রুত যেন তার মুক্তি দেওয়া হয়।