মাইক্রোসফটের সহপ্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস কাজ থেকে অবসর নেওয়ার পর বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করেছেন। কিন্তু বর্তমানে সবাই যখন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তিনির্ভর প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করছেন, তখন পরিবহন ও লজিস্টিক খাতে বিনিয়োগ করে সবাইকে চমকে দিয়েছেন বিল গেটস। তাঁর এই বিনিয়োগ বিশ্বব্যাপী বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছে। বাজার বিশ্লেষকদের মতে, প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠানের বাইরে পরিবহন ও লজিস্টিক খাতে বিল গেটসের উপস্থিতি নতুন সুযোগ তৈরি করেছে।

২০২৫ সালে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, ই-কমার্সের চাহিদা ও প্রযুক্তিগত অগ্রগতির কারণে পরিবহন ও লজিস্টিক খাতে শক্তিশালী প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস রয়েছে। সেই বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে সম্প্রতি বিল গেটস বাণিজ্যিক যানবাহনের নকশা ও উদ্ভাবনের সঙ্গে যুক্ত ‘প্যাকার’ ও গ্লোবাল লজিস্টিক পরিবহন সংস্থা ‘ফেডেক্স’-এ বিনিয়োগ করেছেন। দুটি প্রতিষ্ঠানে মোট ৩৭ কোটি ৩০ লাখ মার্কিন ডলারের বা ৪ হাজার ৪৭৬ কোটি টাকার (প্রতি ডলারের বিনিময় হার ১২০ টাকা ধরে) শেয়ার কিনেছেন বিল গেটস।

আরও পড়ুনবিল গেটসের শৈশব কেমন ছিল২২ ডিসেম্বর ২০২৪

হালকা, মাঝারি ও ভারী ট্রাকের নকশা করে থাকে প্যাকার। এই প্রতিষ্ঠান কেনওয়ার্থ ও পিটারবিল্ট নামে দুটি বড় ব্র্যান্ডের ট্রাক তৈরি করে। সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটি বৈদ্যুতিক ও স্বায়ত্তশাসিত যানবাহন প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছে। বৈশ্বিকভাবে লজিস্টিক খাতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে প্যাকার। অন্যদিকে সারা বিশ্বে ই-কমার্স খাতের বিকাশ ও বিশ্বব্যাপী সাপ্লাই চেইন খাতের বিকাশে কাজ করছে ফেডেক্স। ফেডেক্সের মতো প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ অনলাইন কেনাকাটার ক্ষেত্রে টেকসই প্রসার ঘটাবে বলে মনে করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন২০২৫ সালের প্রযুক্তি–দুনিয়া কেমন হবে, জানালেন বিল গেটস ও স্যাম অল্টম্যান০৮ জানুয়ারি ২০২৫

২০২৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রসহ সারা বিশ্বে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর ফলে পরিবহন ও লজিস্টিক খাতেও বেশ অগ্রগতি হবে। এসব বিষয় বিবেচনা করে বিল গেটস বিনিয়োগ করছেন। মার্কিন প্রতিষ্ঠান প্যাকার ১৯০৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। অন্যদিকে সারা বিশ্বে পণ্য পরিবহন করা ফেডেক্স প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ১৯৭১ সালে।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

বিতর্কিত তিন নির্বাচনে জড়িতদের ভূমিকা তদন্তে কমিটি গঠনের নির্দেশ

বিতর্কিত তিন জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনে জড়িত সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনারগণ ও নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিবদের ভূমিকা তদন্তে অবিলম্বে একটি কমিটি গঠনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

সোমবার (১৬ জুন) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের এক বৈঠকে আলোচনা শেষে এ নির্দেশ দেন তিনি। অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রধান।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন- জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. ইফতেখারুজ্জামান, সফর রাজ হোসেন ও ড. মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব সিরাজ উদ্দিন মিয়া ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।

আরো পড়ুন:

প্রধান উপদেষ্টা অনেক বিচক্ষণতার পরিচয় দিয়েছেন: ফখরুল

ইউনূস-তারেক বৈঠক
রমজান শুরুর আগের সপ্তাহেও নির্বাচন হতে পারে: যৌথ বিবৃতি

বৈঠকে কমিশন সদস্যগণ জুলাই সনদ তৈরির কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেন। 

কমিশনের সহ-সভাপতি প্রফেসর আলী রীয়াজ বলেন, ‍“বেশকিছু বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে। খুব শিগগিরই সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে সনদ চূড়ান্ত করে ফেলা সম্ভব হবে।”

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “সবাই জুলাই সনদের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। আমি আশা করি, আগামী জুলাই মাসের মধ্যে আমরা এটি জাতির সামনে উপস্থাপন করতে পারব।”

বৈঠকে লন্ডন সফরের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে তিনি বলেন, “লন্ডনে বাংলাদেশি কমিউনিটির যাদের সঙ্গেই দেখা হয়েছে, তারা সংস্কার নিয়ে জানতে চেয়েছে। বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা খুব আগ্রহী। তারা বিস্তারিতভাবে ঐকমত্য কমিশনের কাজ নিয়ে আমার সঙ্গে আলোচনা করেছে, মতামত দিয়েছে। যেখানেই গেছি, সেখানকার প্রবাসী বাংলাদেশিরা আমাকে জিজ্ঞেস করছেন, ‘আমরা আগামী নির্বাচনে ভোট দিতে পারব তো?’ আমাদের প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিতের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে। পোস্টাল ব্যালট এবং আর কী কী অপশন আছে সেগুলো নিয়ে ভাবতে হবে, সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে হবে।”

বৈঠকে নির্বাচন কমিশন সংস্কার কমিশন প্রধান বদিউল আলম মজুমদার বলেন, “সব রাজনৈতিক একমত হয়েছে যে, অতীতের তিনটি বিতর্কিত নির্বাচন আয়োজনে কর্মকর্তাদের ভূমিকা তদন্ত ও জবাবদিহিতার আওতায় আনা প্রয়োজন।”

ঢাকা/হাসান/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ