বিমানবন্দরে আগুনে রপ্তানি বাণিজ্য মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে: বিজিএমইএ
Published: 20th, October 2025 GMT
রাজধানীর হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজ (পণ্য রাখার স্থান) কমপ্লেক্সে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় রপ্তানি বাণিজ্য মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মনে করে পোশাক শিল্পের মালিকদের সংগঠন (বিজিএমইএ)।
রবিবার (১৯ অক্টোবর) দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনকালে সংগঠনটির সিনিয়র সহ-সভাপতি ইনামুল হক খান এ কথা বলেন। এসময় তার সঙ্গে বিজিএমইএ’ সহ-সভাপতি (অর্থ) মিজানুর রহমান, পরিচালক ফয়সাল সামাদ, পরিচালক মজুমদার আরিফুর রহমান, পরিচালক কাজী মিজানুর রহমান, পরিচালক রুমানা রশীদ, পরিচালক মোহাম্মদ সোহেল, সাবেক পরিচালক নজরুল ইসলাম, বিজিএমইএ’র জনসংযোগ ও প্রচার কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদ কবির, এয়ারপোর্ট সেলের চেয়ারম্যান মো.
আরো পড়ুন:
রামগতিতে আগুনে পুড়ল ১০ দোকান, অর্ধকোটি টাকার ক্ষতি
পুরোপুরি নিভেছে বিমানবন্দরের আগুন
ইনামুল হক খান সাংবাদিকদের জানান, বিজিএমইএ ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ ও তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করছে। সদস্যদের নির্ধারিত ফরমেটে ক্ষতি হওয়া পণ্যের তালিকা চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে এবং তথ্য দ্রুত সংগ্রহের জন্য একটি অনলাইন ডেটা কালেকশন পোর্টাল খোলা হয়েছে।
তিনি জানান, বিজিএমইএ খুব দ্রুত সমস্ত সংগৃহীত তথ্য-উপাত্ত নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের (বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, কাস্টমস কর্তৃপক্ষ এবং অন্যান্য সংস্থা) এর সঙ্গে একটি সমন্বয় সভা করবে।
বিজিএমইএ’র এই সিনিয়র সহ-সভাপতি বলেন, “ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজ কমপ্লেক্স ভবনে সংঘটিত ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বাংলাদেশের পোশাক শিল্পে গভীর উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। এর ফলে বিদেশি ক্রেতাদের আস্থায় নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।”
ঘটনাস্থল পরিদর্শনকালে প্রতিনিধিদল বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে পোশাক উদ্যোক্তাদের উদ্বেগ প্রকাশ এবং পোশাক শিল্পের স্বাভাবিক কার্যক্রম বজায় রাখার ব্যাপারে সহযোগিতা কামনা করেন। এ সময় বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব নাসরীন জাহান এবং মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বিজিএমইএ নেতাদের শিল্পের আমদানি করা কাঁচামাল ৭২ ঘণ্টার স্থলে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে খালাস করার নির্দেশনা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, আপাতত আমদানিকৃত কাঁচামালগুলো কার্গো ভিলেজের ৩ নম্বর ভবনে রাখা হবে।
বিজিএমইএ নেতারা জানান, পোশাক শিল্পে উচ্চমূল্যের পণ্য পরিবহন এবং জরুরি শিপমেন্টের ক্ষেত্রে আকাশপথ ব্যবহার করা হয়। অগ্নিকাণ্ডের ফলে এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ পণ্যসামগ্রী পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ধ্বংস হওয়া মালামালের মধ্যে পোশাক তৈরির মূল্যবান কাঁচামাল, এক্সেসরিজ এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো- অনেক স্যাম্পল (নমুনা) পণ্য ছিল। এই স্যাম্পলগুলো হারানো মানে ভবিষ্যৎ অনেক ব্যবসায়িক সুযোগ হাতছাড়া হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে।
বিজিএমইএ পোশাক শিল্পের এই বিপুল ক্ষতি মোকাবিলায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এবং সরকারের কাছে বেশ কিছু অনুরোধ করেন। এরমধ্যে - এই অগ্নিকাণ্ড দুর্ঘটনা নাকি নাশকতা, সে বিষয়ে দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্ত শুরু করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত উদ্যোক্তাদের জন্য সার্বিক সহযোগিতা ও উপযুক্ত ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা। পোশাক শিল্পের স্বাভাবিক কার্যক্রম বজায় রাখার স্বার্থে বন্দরের বর্তমান পরিস্থিতি নির্বিশেষে যেন অন্যান্য নিয়মিত শিপমেন্টগুলোও স্বাভাবিক গতিতে চলতে পারে, তার জন্য সব প্রক্রিয়াকে সহজ ও দ্রুততর করা। রপ্তানি পণ্য খোলা জায়গায় না রেখে বিমানবন্দরের স্পর্শকাতর এলাকায় পণ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, যাতে বিদেশি ক্রেতাদের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি না হয়।
বিজিএমইএ ঢাকা বিমান বন্দরে পোশাক শিল্পের আমদানিকৃত মালামাল ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে খালাস করার জন্য সদস্যদের নির্দেশনা দিয়েছে।
ঢাকা/নাজমুল/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আগ ন ব জ এমইএ র জন য র ঘটন
এছাড়াও পড়ুন:
বিমানবন্দরে আগুনে ১০০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ১০০ কোটি টাকা ছাড়াতে পারে বলে জানিয়েছে বিজিএমইএ। তৈরি পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠনটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ইনামুল হক খানের নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধিদল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। রপ্তানি বাণিজ্য, বিশেষ করে তৈরি পোশাকশিল্প মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দ্রুত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণে কাজ শুরু করেছে বিজিএমইএ। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ, কাস্টমসসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সঙ্গে সমন্বয় সভা করা হবে।