পুরান ঢাকার আরমানিটোলায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল নেতা মো. জোবায়েদ হোসেনের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাঁর গলায় ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে।গতকাল রোববার রাতে আরমানিটোলার মাহুতটুলিতে পানির পাম্প গলির নুর বক্স লেনের একটি ভবনের সিঁড়ি থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়। জোবায়েদ হোসেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি ছাত্রদলের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ছিলেন।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

গাজীপুরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ফি দিতে যাওয়ার পথে ছুরিকাঘাতে ছাত্রের মৃত্যু

গাজীপুর মহানগরের টঙ্গীতে ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে এক তরুণ শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে চারজনকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার রাত সাড়ে আটটার দিকে হোসেন মার্কেট এলাকায় আউচপাড়ার সাহাজ উদ্দিন সরকার রোডের গলিতে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত তরুণের নাম জাহিদুল আহসান (২১)। তিনি টঙ্গীর আউচপাড়া মোল্লা বাজার এলাকার বাসিন্দা জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া পলিটেকনিকের রেফ্রিজারেশন ও এয়ার কন্ডিশনিং (আরএসি) বিভাগের চতুর্থ সেমিস্টারের শিক্ষার্থী ছিলেন। তাৎক্ষণিকভাবে আটক ব্যক্তিদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।

পুলিশ ও স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, গতকাল মাগরিবের নামাজের পর মায়ের কাছ থেকে তিন হাজার টাকা নিয়ে বের হন জাহিদুল। দুই বন্ধু রহমান ও আরিফ হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে নিজের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ফি মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে জমা দেওয়ার জন্য কলেজ রোডের দিকে যাচ্ছিলেন। পথে আউচপাড়ার সাহাজ উদ্দিন সরকার রোডের গলিতে চার থেকে পাঁচজন তাঁদের গতি রোধ করে। এ সময় রহমান ও আরিফ হোসেন দৌড়ে পালিয়ে যান। ঘটনাস্থলে জাহিদুলকে একা পেয়ে ছুরিকাঘাত করে ছিনতাইকারীরা।

আহত অবস্থায় জাহিদুল ছিনতাইকারীদের ধাওয়া দেওয়ার চেষ্টা করলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে ফুটপাতে পড়ে যান। আশপাশের লোকজন বিষয়টি দেখতে পেয়ে তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে জাহিদুলের মৃত্যু হয়।

খবর পেয়ে টঙ্গী পশ্চিম থানার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। গভীর রাতে অভিযান চালিয়ে এরশাদনগর এলাকা থেকে জড়িত সন্দেহে চারজনকে আটক করে পুলিশ।

বিষয়টি নিশ্চিত করে টঙ্গী পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুন-অর রশিদ বলেন, ঘটনার পর সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই জড়িত সন্দেহে চারজনকে আটক করা হয়েছে। অন্য আসামিদের আটকের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় মামলা হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ