গুগল অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে জিমেইল, গুগল ফটোজ, ড্রাইভ, ম্যাপস, ইউটিউবসহ গুগলের বিভিন্ন পরিষেবা ব্যবহার করতে হয়। আর তাই গুগল অ্যাকাউন্টের পাসওয়ার্ড বা গুগল অ্যাকাউন্টে ব্যবহৃত জিমেইল ঠিকানা ভুলে গেলে নিয়মিত কাজে ব্যাঘাত ঘটার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের জটিলতার মুখোমুখি হন অনেকে। আর তাই গুগল অ্যাকাউন্টের পাসওয়ার্ড ভুলে যাওয়া ব্যবহারকারীদের জন্য নতুন নিরাপত্তা–সুবিধা চালু করেছে গুগল। ‘রিকভারি কন্ট্যাক্টস’ নামের এই সুবিধা কাজে লাগিয়ে ব্যবহারকারীরা সহজেই নিজেদের গুগল অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করতে পারবেন।

গুগল জানিয়েছে, রিকভারি কন্ট্যাক্টস সুবিধা চালুর ফলে ব্যবহারকারীরা নিজেদের পরিচয় নিশ্চিত করার জন্য আগে থেকেই পরিবারের সদস্য বা বিশ্বস্ত বন্ধুর নাম যুক্ত করতে পারবেন। পরবর্তী সময়ে পাসওয়ার্ড ভুলে গেলে সেই ব্যক্তি পরিচয় নিশ্চিত করতে সহায়তা করবেন। এর ফলে গুগলের প্রচলিত যাচাইকরণ পদ্ধতি ব্যর্থ হলেও অ্যাকাউন্টে পুনরায় প্রবেশ করা যাবে।

আরও পড়ুনজিমেইলের অ্যাকাউন্ট ও পাসওয়ার্ড ভুলে গেলে উদ্ধার করবেন যেভাবে১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

গুগলের তথ্যমতে, রিকভারি কন্ট্যাক্টস মূলত প্রচলিত যাচাইকরণ ব্যবস্থার একটি পরিপূরক নিরাপত্তাস্তর হিসেবে কাজ করবে। কেউ যদি ফোন হারিয়ে ফেলেন এবং এসএমএসের মাধ্যমে ওয়ান টাইম কোড পাওয়া সম্ভব না হয়, সে ক্ষেত্রে রিকভারি কন্ট্যাক্টের মাধ্যমে পরিচয় নিশ্চিত করা যাবে। পরিচয় নিশ্চিতের জন্য গুগল থেকে একটি বিশেষ কোড পাঠানো হবে, যা ব্যবহারকারী নির্ধারিত ব্যক্তির সঙ্গে শেয়ার করবেন। এরপর সেই ব্যক্তি ই–মেইল বা নোটিফিকেশনের মাধ্যমে ব্যবহারকারীর পরিচয় নিশ্চিত করবেন।

নতুন এই সুবিধা চালুর বিষয়ে গুগল জানিয়েছে, অ্যাকাউন্ট পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়াকে আরও সহজ করাই রিকভারি কন্ট্যাক্টস সুবিধা চালুর মূল উদ্দেশ্য। সুবিধাটি চলমান নিরাপত্তাব্যবস্থারই অংশ। নতুন এই নিরাপত্তা–সুবিধা ব্যবহারকারীদের জন্য খুবই কার্যকর হতে পারে। পর্যায়ক্রমে সব গুগল অ্যাকাউন্ট ব্যবহারকারীর জন্য সুবিধাটি চালু করা হবে।

সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

আরও পড়ুনওয়াই-ফাইয়ের পাসওয়ার্ড ভুলে গেলে যা করতে হবে১৯ জুন ২০২৪.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: প সওয় র ড ভ ল ব যবহ র র জন য গ গল র করব ন

এছাড়াও পড়ুন:

ফাউন্টেনপেন, কালি ও দোয়াতের প্রদর্শনীতে ইতিহাসের রেখাপাত

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়, বুদ্ধদেব বসু ও তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো সাহিত্যিকদের নামের সঙ্গে মিশে আছে ফাউন্টেনপেন বা ঝরনাকলমের নাম। ফাউন্টেনপেনে লিখেছেন আরও অনেক বিখ্যাত মানুষ। দোয়াত ও কালি দিয়ে লেখা হতো ফাউন্টেনপেনে। কিন্তু বলপয়েন্টের প্রচলনের পর ধীরে ধীরে হারিয়ে গেছে ফাউন্টেনপেন।

দেশের একদল সংগ্রাহক ফাউন্টেনপেনের ইতিহাসকে জাগরূক রাখতে চান। সেই চাওয়া থেকে তাঁরা হারিয়ে যাওয়া ফাউন্টেনপেন, দোয়াত ও কালির প্রদর্শনীর আয়োজন করেছিলেন রাজধানীর বাংলামোটরে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে। এই আয়োজনে এসে অনেকেই ফিরে গেলেন এমন এক সময়ে, যা এখনকার আলোচনা থেকে হারিয়ে গেছে।

১৮৮৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রে ফাউন্টেনপেন আবিষ্কার হয়েছিল। এরপর ধীরে ধীরে অন্যান্য দেশেও এর বহুল প্রসার ঘটতে থাকে। বাংলাদেশে ফাউন্টেনপেন এসেছিল ইংরেজদের হাত ধরে। এই কলমকে বাংলায় ‘ঝরনাকলম’ নামে নামকরণ করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। নানা ধরন ও দামের ফাউন্টেনপেন বাজারে এসেছিল। পার্কার, শেফার্ড, ওয়াটারম্যান, সোয়ান ও পাইলটের ফাউন্টেনপেন এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য। এসব কলমে ছিল রকমারি ও টেকসই নিব ও হ্যান্ডেল। শৌখিন ও ধনী ব্যক্তিদের জন্য হীরা বসানো হতো কোনো কোনো কলমে। কখনো সোনা, প্লাটিনাম ইত্যাদি দিয়ে মুড়ে দেওয়া হতো ফাউন্টেনপেনকে।

বাংলাদেশ পেন ক্লাবের আয়োজনে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র ভবনে দুই দিনব্যাপী ‘ঢাকা পেন শো’র শেষ দিন ছিল শনিবার। প্রদর্শনীর পাশাপাশি এদিন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে ক্যালিগ্রাফি বা অক্ষরশিল্প নিয়ে একটি কর্মশালারও আয়োজন করেছিল পেন ক্লাব।

প্রদর্শনীতে নানা রঙের ফাউন্টেনপেন বা ঝরনাকলম। বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র, ৬ ডিসেম্বর ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ