রূপগঞ্জে যুবদল নেতা হত্যা চেষ্টার মামলার প্রধান আসামি গ্রেপ্তার
Published: 12th, January 2025 GMT
রূপগঞ্জে ভূলতা ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক আবু হানিফ (৩২)কে হত্যা চেষ্টা মামলার প্রধান আসামি শাহিন মিয়া (৩৫) কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রবিবার সকালে শাহিন মিয়াকে ৫ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠায় পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি লিয়াকত আলী জানান, শনিবার দিবাগত রাতে পূর্বাচলের ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত শাহীন মিয়া পাড়াগাও এলাকার লিয়াকত আলী নেকুর ছেলে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে স্থানীয় সন্ত্রাসী শাহিন মিয়া ও রাব্বি মিয়াসহ অজ্ঞাত ৩/৪ জন রামদাসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ভুলতা পাড়াগাঁও বটতলা এলাকায় রাসেলের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালাতে যায়।
এসময় রাসেলকে ভুলতা এলাকায় ব্যবসা করতে দিবে না বলে হুমকি ধামকি প্রদান করে। এসময় ভূলতা ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক আবু হানিফ ব্যবসায়ী রাসেলের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে সন্ত্রাসীদের হামলায় বাধা দিলে শাহিন ও রাব্বির নেতৃত্বে হানিফ মিয়াকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা চালায়।
পরে হানিফ মিয়াকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপক্ষে ভর্তি করা হয়। এই ঘটনায় হানিফ মিয়ার স্ত্রী বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি লিয়াকত আলী বলেন, হানিফ মিয়াকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা মামলার প্রধান আসামী শাহীনকে ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে পাঁচদিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
উৎস: Narayanganj Times
এছাড়াও পড়ুন:
ওয়াগ্গাছড়া চা বাগানে হাতির তাণ্ডব
রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ পাড়ে সীতা পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত ওয়াগ্গাছড়া চা বাগানে বিগত এক মাস ধরে অবস্থান করছেন একদল বন্যহাতি। ১৭ (সতের) দলের এই বন্যহাতির তাণ্ডবে এরইমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাগান শ্রমিকদের ঘরবাড়ি, গাছপালা এবং বাগানের অভ্যন্তরে অবস্থিত কাঁচা সড়ক।
এদের তাণ্ডবে বাগানের ২নং সেকশনে বসবাসকারী চা শ্রমিকরা এরইমধ্যে নিজ নিজ বসতবাড়ি ছেড়ে কর্ণফুলি নদীর উত্তর পাড়ে অবস্থান নিয়েছে। এই সেকশনে থাকা বহু ঘর হাতির আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ওয়াগ্গা টি লিমিটেডের পরিচালক খোরশেদুল আলম কাদেরী বলেন, “হাতির তাণ্ডবে মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ৩টায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাগানের নিজস্ব বোট চালক সানাউল্লাহর বসতবাড়ি। এসময় তিনিসহ তার স্ত্রী-সন্তানেরা ঘর হতে বের হয়ে কোনরকমে প্রাণে রক্ষা পেয়েছে।”
বোট চালক সানাউল্লাহ বলেন, “সোমবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে আমি হাতির গর্জন শুনতে পাই। এসময় একটি বড় হাতি আমার ঘর ভাঙার চেষ্টা চালায়। আমি হতবিহ্বল হয়ে যাই। সেসময় স্ত্রী-পুত্রকে নিয়ে ঘরের পেছন দিয়ে কোন রকমে পালিয়ে বোটে করে এপারে চলে আসি।”
চা বাগানের টিলা বাবু চাথোয়াই অং মারমা বলেন, “বিগত এক মাস ধরে ১৭টি হাতির একটি দল বাগানে অবস্থান করছে। মাঝে মাঝে দলটি সীতা পাহাড়ে চলে গেলেও হঠাৎ বাগানে চলে এসে আসে এবং বাগানের গাছপালা, বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত করে। আমাদের চা শ্রমিকরা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন।”
ওয়াগ্গা চা বাগানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক আমিনুর রশীদ কাদেরী বলেন, “বিগত এক মাস ধরে হাতির একটি দল ওয়াগ্গা চা বাগানে অবস্থান নিয়েছে। তাদের দলে সদস্য সংখ্যা সতেরো ১৭টি। সম্প্রতি দুটি নতুন শিশু জন্ম নিয়েছে। শিশু হস্তী শাবককে আশীর্বাদ করার জন্য সীতা পাহাড়ের গভীর অরণ্য থেকে আরো একদল হাতি যোগদান করেছে।”
হাতি খুবই শান্তিপ্রিয় জীব। নিরিবিলি পরিবেশ পছন্দ করে। অনেকে বলে থাকেন, মামারা বেরসিক বাদ্য বাজনা, বাঁশির সুর, গলাফাটা গান, গোলা বারুদ, ড্রামের শব্দ পছন্দ করে না। তারা কোলাহল এড়িয়ে চলে।
গতকাল সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) স্বচক্ষে দেখা হলো। আমাদের টিলা বাবু চাই থোয়াই অং মারমা শ্রমিকদের নিয়ে পাহাড়ের উপর বাঁশির সুর তুলেছে। সুর ও বাদ্য বাজনা এড়িয়ে মামারা (হাতি) চা বাগান পেরিয়ে সদলবলে বাঁশবনের গভীর থেকে গভীরে হারিয়ে গেলো। হয়তো আবার ফিরে আসবে।
কাপ্তাই বন বিভাগের কাপ্তাই রেঞ্জ অফিসার ওমর ফারুক স্বাধীন বলেন, “দিন দিন হাতির আবাসস্থল ধ্বংস হওয়ার ফলে হাতি খাবারের সন্ধানে প্রায়ই লোকালয়ে এসে হানা দিচ্ছে। আমাদের উচিত হাতির আবাসস্থল ধ্বংস না করা।”
ঢাকা/রাঙামাটি/এস