এ বছর আইপিএল শুরু হওয়ার কথা ছিল ১৪ মার্চ। তবে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) সূচিতে পরিবর্তন এনেছে।

পরিবর্তিত সূচিতে এক সপ্তাহ পিছিয়ে আইপিএলের ১৮তম আসর শুরু হবে ২১ মার্চ, ফাইনাল হবে ২৫ মে। গত রাতে বিসিসিআইয়ের বিশেষ সাধারণ সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ক্রিকেট–বিষয়ক ওয়েবসাইট ইএসপিএন ক্রিকইনফো ও ক্রিকবাজ।

লাহোর অথবা দুবাইয়ে আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনাল হবে ৯ মার্চ। চ্যাম্পিয়নস ট্রফি শেষ হওয়ার পাঁচ দিনের মধ্যে আইপিএল শুরু হলে কিছুটা তাড়াহুড়ো হয়ে যেত বলে মনে হয়েছে টুর্নামেন্টের পরিচালনা পরিষদের। এ কারণে তারা চেয়েছে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির শেষ ও আইপিএল শুরুর মধ্যে যেন দুই সপ্তাহের কাছাকাছি ব্যবধান থাকে।

আইপিএলে বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের মাঠে পরবর্তী আসরের উদ্বোধনী ম্যাচ হওয়াকে রীতিই বলা যায়। এবারও সেটির ব্যতিক্রম হচ্ছে না। গত আসরের চ্যাম্পিয়ন কলকাতা নাইট রাইডার্সের মাঠ ইডেন গার্ডেনে হবে উদ্বোধনী ম্যাচ। দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ও ফাইনালও হওয়ার কথা ইডেন গার্ডেনে। গত আসরের রানার্সআপ সানরাইজার্স হায়দরাবাদের মাঠ রাজিব গান্ধী স্টেডিয়ামে হবে প্রথম কোয়ালিফায়ার ও এলিমিনেটর।

এবারের আসরে ম্যাচসংখ্যা বাড়ানোর কথা থাকলেও সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে আইপিএল পরিচালনা পরিষদ। গত তিন বছরের মতো এবারও ম্যাচ হবে ৭৪টি। আইপিএল সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে (পৃষ্ঠপোষক, সম্প্রচারকারী প্রতিষ্ঠান ইত্যাদি) আলোচনা শেষে এ মাসের শেষ দিকে চূড়ান্ত সূচি ঘোষণা করা হতে পারে।

গত নভেম্বরে সৌদি আরবের জেদ্দায় বসেছিল আইপিএলের মেগা নিলাম। ৬৩৯ কোটি ১৫ লাখ রুপিতে মোট ১৮২ খেলোয়াড় কিনেছে টুর্নামেন্টের ১০ ফ্র্যাঞ্চাইজি। ধরে রেখেছে ৪৬ খেলোয়াড়।

এদিকে মেয়েদের আইপিএল নামে পরিচিত ডব্লুপিএল শুরুর দিনক্ষণও ঠিক করা হয়েছে। পাঁচ দলের এই আসর চলবে ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ২ মার্চ পর্যন্ত। ভেন্যু হিসেবে মুম্বাই ও বেঙ্গালুরুর সঙ্গে শোনা যাচ্ছে লক্ষ্ণৌ ও বড়োদরার নাম।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

গণভোট নিয়ে মতভেদে উপদেষ্টা পরিষদের উদ্বেগ

জুলাই জাতীয় সনদ বা সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়নের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যে মতভেদ দেখা দিয়েছে, তাতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। এ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে নিজ উদ্যোগে নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা করে সম্ভাব্য দ্রুতত সময়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে ঐক্যবদ্ধ দিকনির্দেশনা দেওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে।

সোমবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়। যদিও এর আগেই এক সংবাদ সম্মেলনে এমন কথায় জানান আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল।

প্রেস উইং জানায়, জাতীয় ঐক্যমত কমিশন থেকে প্রণীত জুলাই সনদ এবং এর বাস্তবায়ন সংক্রান্ত বিষয়ে উপদেষ্টা পরিষদের একটি জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সংস্কার বিষয়ে ঐকমত্য স্থাপনের প্রচেষ্টার জন্য এবং বহু বিষয়ে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার জন্য ঐকমত্য কমিশন ও রাজনৈতিক দলগুলির প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করা হয়।  

এতে বলা হয়, উপদেষ্টা পরিষদের সভায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবিত জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) আদেশ চূড়ান্তকরণ এবং এতে উল্লেখিত গণভোট আয়োজন ও গণভোটের বিষয়বস্তু নিয়ে আলোচনা করা হয়। এতে লক্ষ্য করা হয় যে, ঐকমত্য কমিশনে দীর্ঘদিন আলোচনার পরও কয়েকটি সংস্কারের সুপারিশ বিষয়ে ভিন্ন মত রয়েছে। এছাড়া, গণভোট কবে অনুষ্ঠিত হবে ও এর বিষয়বস্তু কী হবে এসব প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলোর  মধ্যে যে মতভেদ দেখা দিয়েছে সে জন্য সভায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। এই পরিপ্রেক্ষিতে গণভোটের সময় কখন হবে, গণভোটের বিষয়বস্তু কী হবে, জুলাই সনদে বর্ণিত ভিন্নমতগুলো প্রসঙ্গে কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে তা নিয়ে ঐক্যমত কমিশনের প্রস্তাবগুলোর আলোকে জরুরী ভিত্তিতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা প্রয়োজন বলে সভা অভিমত ব্যক্ত করে।

এসব ক্ষেত্রে ফ্যসিবাদবিরোধী আন্দোলনের দীর্ঘদিনের মিত্র রাজনৈতিক দলগুলোকে স্বীয় উদ্যোগে নিজেদের মধ্যে আলাপ আলোচনা করে দ্রুততম সময়ে ( সম্ভব  হলে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে) সরকারকে ঐক্যবদ্ধ দিকনির্দেশনা প্রদান করার আহ্বান জানানো হয়। এমন নির্দেশনা পেলে সরকারের পক্ষে সিদ্ধান্ত গ্রহণ অনেক সহজ হবে। বলেও উল্লেখ করা হয়। পরিস্থিতিতে কালক্ষেপণের যেকোনো সুযোগ নাই সেটাও সবার বিবেচনায় রাখার জন্য বলা হয়।

সভায় ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্থে আগামী সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে সরকারের সংকল্প পুনর্ব্যক্ত করা হয়।

রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকে ঐক্যবদ্ধ নির্দেশনা না পেলে কী হবে এমন প্রশ্নের জবাবে আইন উপদেষ্টা বলেন, “রাজনৈতিক দলগুলো নিজেরা আলাপ-আলোচনা করে এই বিষয়েও আমাদের একটি ঐক্যবদ্ধ নির্দেশনা দেবে—এ প্রত্যাশা করছি। ওনারা যদি আলাপ-আলোচনা করেন, আমাদের জন্য কাজটি অত্যন্ত সহজ হয়। ওনারা যদি ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত দিতে না পারে, অবশ্যই সরকার সরকারের মতো সিদ্ধান্ত নেবে।” 

ঢাকা/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ