উচ্চ করারোপকে অন্তর্বর্তী সরকারের অশুভ পাঁয়তারা বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের একাংশের আহ্বায়ক কর্নেল (অব.) মিয়া মশিউজ্জামান। আজ মঙ্গলবার নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

আহ্বায়ক কর্নেল (অব.) মিয়াম-মশিউজ্জামান লিখিত সংবাদ সম্মেলনে বলেন, উচ্চ করারোপ দেশের বিদ্যমান সামাজিক এবং রাজনৈতিক সংকটকে আরও তীব্র করবে। এটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত একটি ষড়যন্ত্র।

সংবাদ সম্মেলনে বেশ কিছু পণ্যের উপর কর প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়। নেতারা বলেন, শিশু খাদ্য, বিস্কুট, রেস্তোরাঁর খাবার, চশমা, আম, কলা, লেবুসহ বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ও সেবা খাতে আরোপিত উচ্চ কর অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে। পাশাপাশি কর আদায়ে কারোর দুর্নীতির অভিযোগ পেলে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। 

এসময় সার্কভুক্ত দেশসমূহে ভ্রমণে কর প্রত্যাহারেরও দাবি জানানো হয়। 

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন গণঅধিকার পরিষদ নেতা তারেক রহমান। উপস্থিত ছিলেন আরিফ বিল্লাহ, ফয়সাল আহমেদ রূপক, সোহাগ আফ্রিদি, শহিদুল হক মিন্টু প্রমুখ।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

হাসপাতাল ছেড়ে বাসায় গেলেন নুর

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন।

সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তিনি হাসপাতাল ছাড়েন।

আরো পড়ুন:

নুরের শর্ট টাইম মেমোরি লস হয়নি: ঢামেক পরিচালক

গণঅধিকারের সমাবেশে বিভিন্ন দলের নেতা: জাতীয় পার্টিকে দ্রুত নিষিদ্ধ কর‌তে হবে

ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বিষয়টি জানিয়ে বলেন, “নুরুল হক নুরকে হাসপাতালের ভিআইপি কেবিন-১ থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। পরে বিকেল পোনে ৫টার দিকে অ্যাম্বুলেন্সে করে তিনি নিজ বাসার উদ্দেশ্যে রওনা হন।”

এর আগে গত ২৯ আগস্ট রাতে বিজয়নগরে জাতীয় পার্টির (জাপা) নেতাকর্মীদের সঙ্গে গণঅধিকার পরিষদের কর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওই দিন রাত সোয়া ৯টার দিকে সংঘর্ষ হয়, এতে গণঅধিকার পরিষদের নেতা নুরুল হক নুর, সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খানসহ অন্তত ৫০ জন আহত হন।

নুরুল হক নুরকে প্রথমে রাজধানীর ইসলামিয়া হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে চিকিৎসকদের পরামর্শে রাত ১১টার দিকে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই তিনি প্রায় ১৭ দিন চিকিৎসাধীন ছিলেন।

ঢাকা/এসবি

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • হাসপাতাল ছেড়ে বাসায় গেলেন নুর