যেসব টিসিবি কার্ড বন্ধ করা হয়েছে সেগুলো চালু করতে হবে: মান্না
Published: 15th, January 2025 GMT
টিসিবির যে কার্ডগুলো বন্ধ করা হয়েছে, সেগুলো অবিলম্বে চালুর দাবি করেছেন গণতন্ত্র মঞ্চের শীর্ষ নেতা ও নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের উদ্যোগে নতুন করে শুল্ক আরোপের প্রতিবাদে আয়োজিত নাগরিক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ড.
দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি রকিবুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে এবং ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম, হাবিবুর রহমান হাবিব প্রমুখ।
এদিকে, উচ্চ করারোপকে অন্তর্বর্তী সরকারের অশুভ পাঁয়তারা বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের একাংশের আহ্বায়ক কর্নেল (অব.) মিয়া মশিউজ্জামান। গতকাল রাজধানীর নয়াপল্টন দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, উচ্চ করারোপ দেশের বিদ্যমান সামাজিক ও রাজনৈতিক সংকটকে আরও তীব্র করবে। এটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত একটি ষড়যন্ত্র।
সংবাদ সম্মেলনে বেশ কিছু পণ্যের উপর কর প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়। উপস্থিত ছিলেন গণঅধিকার পরিষদ নেতা তারেক রহমান, আরিফ বিল্লাহ, ফয়সাল আহমেদ রূপক, সোহাগ আফ্রিদি, শহিদুল হক মিন্টু প্রমুখ।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
গণঅধিকার পরিষদের নেতার বাড়িতে হামলা, সাবেক দুই এমপির নামে মামলা
গণঅধিকার পরিষদের নেতা আব্দুর রহিমের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর, ককটেল বিস্ফোরণ ও লুটপাটের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় সিরাজগঞ্জ-২ আসনের সাবেক দুই সংসদ সদস্য জান্নাত আরা হেনরী ও হাবিবে মিল্লাত মুন্নাসহ আওয়ামী লীগের (বর্তমানে কার্যক্রম নিষিদ্ধ) ৫১ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখসহ ১০০-১৫০ জন অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।
বুধবার (৩০ জুলাই) সিরাজগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোখলেছুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) রাতে গণঅধিকার পরিষদের সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুর রহিম বাদী হয়ে থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর বিকেলে আসামিরা সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার রামগাতী গ্রামে আব্দুর রহিমের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর, ককটেল বিস্ফোরণ ও লুটপাট করে। এতে প্রায় ৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। পরে আব্দুর রহিমকে মারধর করে থানায় নেওয়া হয় এবং একটি মিথ্যা মামলায় আদালতে পাঠানো হয়। সে সময় ভয় ও রাজনৈতিক চাপে মামলা করা সম্ভব হয়নি।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন—সিরাজগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র সৈয়দ আব্দুর রউফ মুক্তা, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হোসেন আলী হাসান, সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ তালুকদার, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি হেলাল উদ্দিন, সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান রিয়াজ উদ্দিন প্রমুখ।
ঢাকা/অদিত্য/রফিক