দেশে বছরে ৮ লাখ দোকানির মাধ্যমে দেড়শো কোটি ওরস্যালাইন প্যাকেট বাজারজাত করছে সোশ্যাল মার্কেটিং কোম্পানি (এসএমসি)। গতকাল এসএমসির প্রধান কার্যালয়ে ৫০ বছর পূর্তি উদযাপনের লক্ষ্যে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন তথ্য জানান প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তসলিম উদ্দিন খান। ৫০ বছর পূর্তি উদযাপনের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠানটি সপ্তাহব্যাপী এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করছে।

সংবাদ সম্মেলনে প্রধান নির্বাহী বলেন, এই মুহূর্তে আমরা অনেকগুলো পণ্য বাজারজাত করছি। তবে যদি জানতে চাওয়া হয় আমাদের সব থেকে ইউনিক প্রোডাক্ট বা নাম্বার ওয়ান প্রোডাক্ট কোনটি তাহলে বলব আমাদের বাজারজাতকৃত খাবার স্যালাইন, ওরস্যালাইন এন। ডায়রিয়া এবং পানিশূন্যতা মোকাবিলায় আমরা প্রতিবছর প্রায় দেড়শো কোটি স্যালাইন বাজারজাত করি। আমাদের ওরস্যালাইন ব্যবহার করে শিশু মৃত্যুর হার অনেক কমে গেছে। এটা আমাদের জন্য অনেক বড় প্রাপ্তি, যোগ করেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, সকল অংশীজনের নিরলস প্রচেষ্টার ফসল হিসেবে এখন পরিবার পরিকল্পনা কর্মসূচির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। দেশের আধুনিক পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতির প্রায় অর্ধেক ব্যবহারকারী এসএমসি ব্র্যান্ডের গর্ভনিরোধক পদ্ধতির ওপর নির্ভর করে। বর্তমানে এসএমসি মা, শিশু, কিশোর-কিশোরী এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের জন্যে বিভিন্ন স্বাস্থ্য ও পুষ্টি কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। এছাড়া এই মুহূর্তে সব মিলিয়ে আমাদের কোম্পানিটিতে ৪ হাজার ৫০০ কর্মী কাজ করছে।

স্বাস্থ্য কর্মসূচি বাস্তবায়নের পাশাপাশি এসএমসি বিভিন্ন ধরনের জনস্বাস্থ্য পণ্য বাজারজাত করছে। এগুলোর মধ্যে ওরাল স্যালাইন, শিশু পুষ্টি পাউডার, ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংক, কৃমিনাশক ট্যাবলেট, স্যানিটারি ন্যাপকিন, বেবি ডায়াপার, ফর্টিফাইড বিস্কুট অন্যতম।

এসএমসি ও এসএমসি এন্টারপ্রাইজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান ওয়ালিউল ইসলাম বলেন, এসএমসির সাফল্যের মূলে রয়েছে সুষ্ঠু প্রাতিষ্ঠানিক সুশাসন, ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ ও কর্মচারীদের নিরলস প্রচেষ্টা, কৌশলগত পরিকল্পনা, এবং সরকার ও উন্নয়ন অংশীজনদের সহযোগিতা। এসএমসি তার সাফল্যকে পাথেয় করে আগামী বছরগুলোতেও কর্মসূচি সম্প্রসারণের মাধ্যমে দেশের নারী, শিশু এবং পরিবারের জীবনমান উন্নয়নের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে। এদেশের মানুষের কল্যাণে এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষায় অবিচলভাবে এসএমসি কাজ করে যাবে সকল অংশীজনের সহযোগিতা ও ভালোবাসা নিয়ে। অনুষ্ঠান শেষে ‘পঞ্চাশের উচ্ছ্বাসে, একসাথে আগামীতে’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে এসএমসির ৫০ বছর পূর্তির লোগো উন্মোচন করা হয়।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: বছর প র পর ব র

এছাড়াও পড়ুন:

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইবিএতে ফুলটাইম ও পার্টটাইম এমবিএ, সিজিপিএ ২.৫০ লাগবে

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে (আইবিএ) ২০২৫-২৬ সেশনে ফুলটাইম ও পার্টটাইম এমবিএ প্রোগ্রামে ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

কোর্সের বৈশিষ্ট্য

১. আবেদনকারীকে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে।

২. ভর্তির আবেদন ফি ২০৮০ টাকা।

আবেদনের যোগ্যতা

১. যেকোনো ডিসিপ্লিনে ব্যাচেলর ডিগ্রি, কমপক্ষে সিজিপিএ ২.৫০ থাকতে হবে (৪-এর মধ্যে) অথবা দ্বিতীয় শ্রেণি থাকতে হবে।

২. এসএসসি ও এইচএসসি উভয় পরীক্ষায় জিপিএ–৫–এর মধ্যে কমপক্ষে ৩ অথবা দ্বিতীয় বিভাগ থাকতে হবে পৃথক পৃথকভাবে।

৩. ‘ও’ লেভেল এবং ‘এ’ লেভেলের ক্ষেত্রে উভয় পরীক্ষায় পৃথক পৃথকভাবে কমপক্ষে জিপিএ–২ থাকতে হবে। বিস্তারিত তথ্য জানতে ওয়েবসাইটে দেখুন।

৩. কোনো পরীক্ষায় তৃতীয় বিভাগ বা ক্লাস গ্রহণযোগ্য নয়।

আরও পড়ুনঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চীনা ভাষা কোর্স, যোগ্যতা এইচএসসি পাস১ ঘণ্টা আগেদরকারি তথ্য

১. বিদেশি নাগরিকত্ব ও বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয় ডিগ্রিধারী আবেদনকারীর লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হতে পারে, যদি তাঁর জিআরই বা জিএমএটি স্কোর ৭৫ শতাংশ বা তার বেশি হয়। তবে তাঁকে বোর্ডে উপস্থিত হয়ে সাক্ষাৎকার দিতে হবে।

২. সব বিদেশি সার্টিফিকেট/ডিগ্রির (‘ও’ লেভেল এবং ‘এ’ লেভেল ব্যতীত) সমতা আইবিএর সমতা কমিটি দ্বারা নির্ধারিত হবে। এই সমতা ব্যতীত একজন আবেদনকারী ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের যোগ্য হবেন না।

৩. ইউজিসি কর্তৃক অনুমোদিত নয়—এমন কোনো প্রোগ্রাম থেকে ডিগ্রিধারী আবেদনকারী আবেদন করতে পারবেন না।

ভর্তি পরীক্ষার বিস্তারিত

১. আবেদনের শেষ তারিখ: ২৭ নভেম্বর ২০২৫।

২. ভর্তি পরীক্ষার তারিখ: ৫ ডিসেম্বর ২০২৫।

৩. ভর্তি পরীক্ষার সময়: সকাল ১০টা।

৪. ভর্তি পরীক্ষার স্থান: আইবিএ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

# বিস্তারিত তথ্য জানতে ওয়েবসাইট

সম্পর্কিত নিবন্ধ