সবুজ পাহাড়ের ঝরনার স্রোত। আবার বিশাল পাথরে ঝলমলে রোদের খেলা আর পাখির কলরব। সব মিলিয়ে এ জায়গা পছন্দ করবেন না—এমন ভ্রমণপ্রেমীর দেখা পাওয়া মুশকিল। এমন নিসর্গ যাঁরা দেখতে চান, তাঁরা যেতে পারেন মনভোলানো ‘ধুমনি ঘাটে’।

খাগড়াছড়ি জেলার মহালছড়ি উপজেলার ধুমনি ঘাটের কথা অনেক পর্যটকেরই অজানা। পাহাড়ি পথের নির্জনতা ঘেরা জায়গাটির নিসর্গ শোভায় মুগ্ধ হবেন যে কেউ। যেতে চোখে পড়বে জুমঘর, নাম না-জানা পাহাড়ি ফুল, আঁকাবাঁকা পাহাড়ি পথ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের দৈনন্দিন জীবনচিত্র।

মহালছড়ি থেকে সিন্দুকছড়ি যাওয়ার পথে সেনা ক্যাম্পের বিপরীতে পাহাড়ের নিচে নামলেই দেখা মেলে ধুমনি ঘাটের। জায়গাটিতে যেতে সরু পাহাড়ি পথে প্রায় আধা কিলোমিটার হাঁটতে হয়। দুই পাশে ঘন গাছপালা, ছোট ঝিরি পার হওয়ার এ অভিযানও পর্যটকদের পছন্দের।

ধুমনি ঘাটের ঝরনায় গা ভাসিয়েছেন একদল পর্যটক। সম্প্রতি খাগড়াছড়ির মহালছড়িতে.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

‘আমাদের নতুন সংসার, সব স্বপ্ন ভেঙে গেল’

‘আমাদের নতুন সংসার। অনেক স্বপ্ন ছিল। সব স্বপ্ন ভেঙে গেল। এখন স্বামীকেই হারালাম। আমি টাকা চাই না, আপনারা আমার স্বামীকে এনে দেন।’ কান্নাজড়িত কণ্ঠে কথাগুলো বলছিলেন সুদানে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের ঘাঁটিতে হামলায় নিহত বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী বাহিনীর লন্ড্রি কর্মচারী মো. সবুজ মিয়ার স্ত্রী নূপুর আক্তার (২২)।

সবুজ মিয়ার বাড়ি গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলায়। তিনি উপজেলার মহদিপুর ইউনিয়নের ছোট ভগবানপুর গ্রামের প্রয়াত হাবিদুল ইসলামের ছেলে। দেড় বছর আগে তিনি বিয়ে করেছিলেন। তাঁর মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর থেকে ছোট ভগবানপুর গ্রামে মাতম চলছে।

রোববার বিকেলে গাইবান্ধা শহর থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে ছোট ভগবানপুর গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, সবুজ মিয়ার বাড়িতে আহাজারি চলছে। কান্নায় ভেঙে পড়েছেন আত্মীয়স্বজনেরা। তাঁদের সান্ত্বনা দিতে আশপাশের লোকজন বাড়িতে ভিড় করছেন। সবুজের স্ত্রী নূপুর বারবার লুটিয়ে পড়ছেন।

সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনের ঘাঁটিতে সন্ত্রাসীদের ড্রোন হামলায় শাহাদাতবরণকারী বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ছয় শান্তিরক্ষী

সম্পর্কিত নিবন্ধ