চট্টগ্রামে আহতদের সাক্ষ্য নিয়েছে তদন্ত সংস্থা
Published: 16th, January 2025 GMT
চট্টগ্রামে গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে গণহত্যাসহ বিভিন্ন অপরাধের তথ্য সংগ্রহ করছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। গত বুধ ও বৃহস্পতিবার নগরীর দামপাড়া চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) সদরদপ্তরে সাক্ষ্যগ্রহণ করেন তারা। দুই দিনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত অন্তত ৮০ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়। এর মধ্যে আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ সাতজনও ঘটনার বর্ণনা দেন।
সাক্ষ্যগ্রহণ ছাড়াও গতকাল বিকেলে নগরীর বিভিন্ন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন তদন্ত সংস্থার প্রসিকিউটররা। তাদের সহযোগিতা করেছেন ছাত্র প্রতিনিধিরা।
বুধবার রাতে সিএমপি সদরদপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর সাইমুম রেজা তালুকদার বলেন, ‘হত্যা, গুরুতর জখম, নৃশংসতা, নির্যাতন-নিপীড়ন, গুম এ ধরনের বিষয়গুলোর দেশব্যাপী কিছু সুনির্দিষ্ট ঘটনা আমরা প্রমাণ করার চেষ্টা করব। কারও থেকে একটা সুপ্রিম কমান্ড এসেছে, বাকিরা সিস্টেমেটিক্যালি বিস্তৃতভাবে পালন করেছে।’
ছাত্র আন্দোলনে কারা গুলি চালিয়েছে জানতে চাইলে সাইমুম রেজা তালুকদার বলেন, ‘ঘটনাগুলো অনেক স্থানে সংঘটিত হয়েছে। সাক্ষীদের কেউ কেউ পুলিশ বাহিনীর কথা বলেছেন। কেউ আবার যুবলীগ-ছাত্রলীগের নাম উল্লেখ করেছেন। আমরা সবগুলো বিষয় যাচাই-বাছাই করছি।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ট্রাইব্যুনালে একজন ব্যক্তি অভিযোগকারী। তাঁর পক্ষে রাষ্ট্রের হয়ে মামলা লড়বে চিফ প্রসিকিউটর কার্যালয়। এখানে টাকা-পয়সার কোনো বিষয় নেই। সম্পূর্ণ বিনা খরচে। রাষ্ট্রের দায় হলো, একটা মানবতাবিরোধী অপরাধ হয়েছে, এটার বিচার নিশ্চিত করা। ট্রাইব্যুনালে মামলা যেগুলো চলমান সেগুলোর ক্ষেত্রে কোনো ধরনের বাণিজ্য বা বাধা প্রতিবন্ধকতা নেই। সরকার ও বিভিন্ন বাহিনী সহযোগিতা করছে।’
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সাক্ষীদের কাছ থেকে তথ্য-উপাত্ত, ছবি, অডিও-ভিডিও ক্লিপ ইত্যাদি অপরাধ প্রমাণের জন্য ব্যবহার করতে সংগ্রহ করছে তদন্ত সংস্থা।
তদন্ত সংস্থাকে ছাত্র প্রতিনিধি হিসেবে সহযোগিতা করছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য জুবাইরুল হাসান আরিফ। তিনি জানান, দুই দিনে অন্তত ৮০ জনের সাক্ষ্য নিয়েছেন প্রসিকিউটররা। শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার স্থান মুরাদপুর, ২ নম্বর গেট, বহদ্দারহাট, নিউমার্কেট, কর্ণফুলী সেতু চত্বর ও চান্দগাঁও আবাসিক এলাকা পরিদর্শন করেছেন তারা। প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথাও বলেছেন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: তদন ত তদন ত স স থ অপর ধ
এছাড়াও পড়ুন:
কুলিয়ারচরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাস খাদে, ৩০ যাত্রী আহত
কিশোরগঞ্জ-ভৈরব মহাসড়কে যাত্রীবাহী একটি বাস খাদে পড়ে ৩০ জন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে মহাসড়কের আগরপুর বাসস্ট্যান্ডের কাছে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রাইম পরিবহন নামের একটি বাস ৩০-৩৫ জন যাত্রী নিয়ে শেরপুর থেকে সিলেট যাচ্ছিল। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাত ১টার দিকে বাসটি মহাসড়কের আগরপুর বাসস্ট্যান্ডের কাছে পূর্ব জগৎচর নামক স্থানে একটি গাছের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে খাদে পড়ে যায়।
দুর্ঘটনায় আহতদের মধ্যে রাতে ৯ জনকে ভাগলপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আহতদের বরাত দিয়ে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের একজন নার্স জানান, যাত্রীদের মধ্যে কয়েকজন শেরপুর থেকে আসেন। তারা প্রয়োজনীয় উপকরণসহ ছাগল নিয়ে সিলেট মাজারে যাচ্ছিলেন।
হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে হারিছ মিয়া (৫৫) নামে এক যাত্রী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার স্বজন ফজর আলী (৫০) বলেন, তিনি কিশোরগঞ্জের যশোদল গ্রামে আত্মীয়ের বাসায় বেড়াতে এসেছিলেন। রাতে তিনি কিশোরগঞ্জ থেকে বাসে উঠেন। সুনামগঞ্জের বাড়িতে ফিরছিলেন তিনি। বাকিরা আজ সকালে চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছেন।
এ ব্যাপারে ভৈরব হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাহাবুর রহমান বলেন, রাতে দুর্ঘটনার পর আমরা ঘটনাস্থলে এসে যাত্রী ও তাদের মালামাল উদ্ধার করি এবং বুঝিয়ে দেই। কম বেশি সব যাত্রীই আহত হয়েছেন বলে তিনি জানান।