গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেছেন, ‘‘শুধুমাত্র নির্বাচনের জন্য গণঅভ্যুত্থান হয়নি। রাষ্ট্র পুনর্গঠন, সংস্কার এবং মেরামতের মাধ্যমে একটি গণতান্ত্রিক, মানবিক এবং জন–আকাঙ্ক্ষার বাংলাদেশ বিনির্মাণের জায়গা থেকেই গণঅভ্যুত্থান হয়েছে।’’

অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘‘অধিকাংশ সংস্কার বাস্তবায়নের পরই নির্বাচনের দিকে হাঁটবেন। তবে, সরকারকে গতিশীল করার লক্ষ্যে জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন প্রয়োজন।’’

শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুরে রংপুর সিটি বাজার সংলগ্ন জেলা ও মহানগরের দলীয় কার্যালয় উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

নুরুল হক নুর বলেন, ‘‘গত দেড় দশকে ফ্যাসিবাদী আওয়ামী সরকারের দুঃশাসন বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে সংকটে ফেলেছিল। যে কারণে জুলাই গণঅভ্যুত্থান অনিবার্য হয়ে পড়েছিল। তাই এই গণঅভ্যুত্থানের আইনি, রাজনৈতিক ও সাংবিধানিক সকল প্রকারের বৈধতা দানের জন্যই জুলাই ঘোষণাপত্র দরকার।’’

এ দেশের রাজনীতিতে আওয়ামী লীগের কবর রচনা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘‘আওয়ামী লীগ আর কখনো মাথা তুলে দাঁড়াতে পারবে না, দেশের জনগণ তাদের সেই সুযোগ দেবে না।’’

এ সময় গণঅধিকার পরিষদের সিনিয়র সহসভাপতি ফারুক হাসান, সদস্য হানিফ খান সজীবসহ জেলা ও মহানগরের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/আমিরুল/রাজীব

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গণঅভ য ত থ ন

এছাড়াও পড়ুন:

হাসপাতাল ছেড়ে বাসায় গেলেন নুর

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন।

সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তিনি হাসপাতাল ছাড়েন।

আরো পড়ুন:

নুরের শর্ট টাইম মেমোরি লস হয়নি: ঢামেক পরিচালক

গণঅধিকারের সমাবেশে বিভিন্ন দলের নেতা: জাতীয় পার্টিকে দ্রুত নিষিদ্ধ কর‌তে হবে

ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বিষয়টি জানিয়ে বলেন, “নুরুল হক নুরকে হাসপাতালের ভিআইপি কেবিন-১ থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। পরে বিকেল পোনে ৫টার দিকে অ্যাম্বুলেন্সে করে তিনি নিজ বাসার উদ্দেশ্যে রওনা হন।”

এর আগে গত ২৯ আগস্ট রাতে বিজয়নগরে জাতীয় পার্টির (জাপা) নেতাকর্মীদের সঙ্গে গণঅধিকার পরিষদের কর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওই দিন রাত সোয়া ৯টার দিকে সংঘর্ষ হয়, এতে গণঅধিকার পরিষদের নেতা নুরুল হক নুর, সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খানসহ অন্তত ৫০ জন আহত হন।

নুরুল হক নুরকে প্রথমে রাজধানীর ইসলামিয়া হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে চিকিৎসকদের পরামর্শে রাত ১১টার দিকে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই তিনি প্রায় ১৭ দিন চিকিৎসাধীন ছিলেন।

ঢাকা/এসবি

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • হাসপাতাল ছেড়ে বাসায় গেলেন নুর