ফরিদপুরের সালথায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে স্থানীয় বিএনপির দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে পাঁচজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের নকুলহাটি বাজারে এ সংঘর্ষ হয়।
স্থানীয়রা জানান, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে উপজেলা বিএনপির প্রচার সম্পাদক নাসির মাতুব্বরের সঙ্গে যুবদল নেতা হাসান আশরাফের বিরোধ চলছিল। শুক্রবার রাতে স্থানীয় মীরকান্দী গ্রামে দুই ভাইয়ের মধ্যে ঝামেলা হয়। সেই ঝামেলায় নাসিরের সমর্থক রাজুকে মারধর করা হয়। এ ঘটনার জেরে শনিবার বিকেলে নকুলহাটি বাজারে উপজেলা বিএনপির প্রচার সম্পাদক নাসির মাতুব্বরের সঙ্গে যুবদল নেতা হাসান আশরাফের পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে আখের আলী, মজিবর সরদার, জাহাঙ্গীর, আলমগীর ও রহমানকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বিএনপি নেতা নাসির মাতুব্বর বলেন, ‘কোনো কারণ ছাড়াই শুক্রবার রাতে আমার সমর্থক রাজুকে মারধর করে হাসান আশরাফের লোকজন। এ নিয়ে আজকে দু’পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়েছে।’
যুবদল নেতা হাসান আশরাফ বলেন, ‘আমি এলাকায় ছিলাম না। আমি বিএনপি নেত্রী শামা ওবায়েদ আপার সঙ্গে অনুষ্ঠানে ছিলাম। তবে আমার লোকজনের সঙ্গে নকুলহাটি বাজারে সালথা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওহাব মিয়া ও সালথা উপজেলা বিএনপির প্রচার সম্পাদক নাসির মাতুব্বরের সমর্থকদের মধ্য মারামারি হয়েছে বলে শুনেছি।’
সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব এনপ স ঘর ষ হ স ন আশর ফ ব এনপ র স ঘর ষ উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
ট্রেনের ছাদে ভ্রমণকালে বৈদ্যুতিক লাইনের নেটের আঘাতে নিহত ১, আহত ৫
টাঙ্গাইলে ট্রেনের ছাদে অবৈধভাবে ভ্রমণের সময় বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইনের নেটের সঙ্গে ধাক্কা লেগে একজন নিহত ও পাঁচজন আহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তির নাম রিপন আলী (৩৭)। তিনি রাজশাহীর পবা উপজেলার কালিয়ানপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। আহতদের মধ্যে অজ্ঞাতপরিচয়ের এক ব্যক্তি টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
রেলওয়ে পুলিশের টাঙ্গাইল ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হারুন অর রশীদ জানান, ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী আন্তনগর সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনটি বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে টাঙ্গাইল স্টেশনে পৌঁছানোর পর ছাদে রক্তাক্ত অবস্থায় ছয়জনকে পাওয়া যায়। আহত যাত্রীরা পুলিশকে জানান, তাঁরা ঢাকা থেকে ট্রেনের ছাদে উঠেছিলেন। টাঙ্গাইল স্টেশনে পৌঁছানোর ১৫–২০ মিনিট আগে রেলপথের ওপর দিয়ে অতিক্রম করা একটি বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইনের নিচের নেটের সঙ্গে ধাক্কা লেগে তাঁরা আহত হন।
আহত ছয়জনকে পুলিশ উদ্ধার করে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১০টার দিকে রিপন আলীর মৃত্যু হয়। আহতদের মধ্যে আশরাফুলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। আহত আমিরুল ইসলাম (২৫), আলিম (২৫) ও ফয়সাল (২৭) চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। অজ্ঞাতপরিচয়ের এক কিশোর (১৫–১৬) এখনো টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। দুপুরে গিয়ে দেখা যায়, তার হাতে ব্যান্ডেজ বাঁধা অবস্থায় শুয়ে আছে। কর্তব্যরত নার্স জানান, ছেলেটি কথা বলতে পারছে না।
এদিকে নিহত রিপন আলীর রাজশাহীর বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। আজ শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে কালিয়ানপাড়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, বাড়ির ভেতরে স্বজন ও প্রতিবেশীরা আহাজারি করছেন। বাইরে রিপনের দাফনের জন্য কবর খোঁড়া হচ্ছে, কেউ বাঁশ কাটছেন।
রিপনের বাবা ইসরাফিল হোসেন জানান, রিপন ঢাকার একটি ইলেকট্রনিকস কোম্পানিতে চাকরি করত। কয়েক মাস আগে চাকরি ছেড়ে দিয়ে নতুন কাজ খুঁজছিল। গত বুধবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে কাউকে কিছু না বলে বাড়ি থেকে বের হয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় টাঙ্গাইল হাসপাতাল থেকে রিপনের মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে তার ছোট ছেলের ফোনে যোগাযোগ করা হয়। তখনই তাঁরা জানতে পারেন, রিপন ট্রেন দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন।