হবিগঞ্জে মানসিক ভারসম্যহীন ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার
Published: 19th, January 2025 GMT
হবিগঞ্জ শহরের নতুন স্টেডিয়ামের পাশের একটি জমি থেকে মঞ্জব আলী (৫৩) নামে এক মানসিক ভারসম্যহীন ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
রবিবার (১৯ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে মরদেহটি উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছেন হবিগঞ্জ সদর থানার ওসি আলমগীর কবির।
মারা যাওয়া মঞ্জব আলী সদর উপজেলার লুকড়া মধ্য গ্রামের মৃত রওশন আলীর ছেলে।
আরো পড়ুন:
পটুয়াখালী পুলিশ লাইন্স থেকে নারী কনস্টেবলের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহত জালাল উদ্দিনের মরদেহ উত্তোলন
ওসি আলমগীর কবির বলেন, “সকালে স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ নতুন স্টেডিয়ামের পাশের একটি জমি থেকে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করে। পরিচয় জানতে পেরে পরিবারের সদস্যদের বিষয়টি জানানো হয়। তারা এসে মরদেহ শনাক্ত করেন। পুলিশ মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট করেছে। মঞ্জব আলীর শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি।”
পরিবারের বরাতে তিনি আরো বলেন, “মারা যাওয়া ব্যক্তি গত ১০-১২ বছর ধরে মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। অধিকাংশ সময় বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়াতেন তিনি। তার পরিবার ও স্বজনরা ময়নাতদন্ত ছাড়া মরদেহ নিতে জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে আবেদন করেছেন।”
ঢাকা/আজহারুল/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মুক্তিপণ না পেয়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশিকে হত্যা
দক্ষিণ আফ্রিকার কুইন্স টাউনে মুক্তিপণ না পেয়ে মুহাম্মদ আলমগীর হোসেন ইকবাল নামে এক প্রবাসী বাংলাদেশিকে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
বৃহস্পতিবার (১২ জুন) কুইন্সটাউনের একটি জঙ্গল থেকে আলমগীর হোসেন ইকবালের মরদেহ পাওয়া যায়।
নিহত আলমগীর হোসেন ইকবালের বাড়ি নারায়ণগঞ্জ সদরের আলীরটেক এলাকায়।
আরো পড়ুন:
বগুড়ায় যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
মামাত বোনকে ধর্ষণ-হত্যা করে নিখোঁজের গল্প সাজায় নয়ন: পুলিশ
স্বজনেরা জানান, গত ২ জুন অপহরণকারীরা নিহতের পরিবারের কাছে প্রথমে ৫ কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। পরে এক কোটি টাকা দাবি করে অপহরণকারীরা। টাকা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় তাকে হত্যা করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, আলমগীর হোসেন ইকবাল দীর্ঘদিন ধরে দক্ষিণ আফ্রিকায় বসবাস করে আসছিল। সেখানে তার নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ইকবালের পরিবারে মা, স্ত্রী ও দুই ছেলে রয়েছে। তারা বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ শহরে বসবাস করে আসছিলেন।
নিহত আলমগীর হোসেন ইকবালের ভগ্নীপতি শরিফুর রহমান ঢালী বলেন, ‘‘গত ২ জুন রাত ১০টার দিকে নিজ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সামনে গাড়ি থেকে মালামাল আনলোড করার সময় ৪ জন অপহরণকারী ইকবালকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে অপহরণ করে নিয়ে যায়। দুদিন পরে ইকবালের স্ত্রীর ফোন নাম্বারে কল করে সাউথ আফ্রিকান ৫০ লাখ (বাংলাদেশি টাকায় ৫ কোটি টাকা) দাবি করে।’’
তিনি আরো বলেন, ‘‘একাধিকবার কথা বলার পরিবার এত টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে অপহরণকারীরা সর্বশেষ এক কোটি টাকা দাবি করে। কিন্তু, পরিবার এই অর্থ দিতে ব্যর্থ হওয়ায় অপহরণকারীরা তাকে হত্যা করে। ১২ জুন একটি জঙ্গল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আগামী ১৫ জুন রাতে কাতার এয়ারওয়েজে নিহত আলমগীর হোসেন ইকবালের মরদেহ দেশে আসবে।’’
ঢাকা/অনিক/রাজীব