জুলাই অভ্যুত্থানে আহতদের হাসপাতালে গিয়ে ভোটার করে নেবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। একই সঙ্গে তাদের জাতীয় পরিচয়পত্রে (এনআইডি) ভুল থাকলে ইসি সেগুলোও সংশোধন করে দেবে।

সোমবার (২০ জানুয়ারি) এ সংক্রান্ত চিঠি তিনটি হাসপাতালে পাঠিয়েছেন ইসির এনআইডি শাখার পরিচালক (নিবন্ধন ও প্রবাসী) মো. আব্দুল মোমিন সরকার। 

তিনি জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালককে এ চিঠি প্রেরণ করেন।

চিঠিতে বলা হয়েছে, ২০ জানুয়ারি বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদের তথ্য সংগ্রহ শুরু হয়েছে। জাতির ক্রান্তিলগ্নে জুলাই অভ্যুত্থানে যারা আমাদের বিজয় এনে দিয়েছেন তাদের অনেকে এখনও হাসপাতালের বেডে চিকিৎসা নিচ্ছেন। আমরা সে সকল সূর্য সন্তানদের তথ্য ও বায়োমেট্রিক হাসপাতালে গিয়ে সংগ্রহ করতে চাই। এছাড়া তাদের এনআইডিতে কোনো ভুলভ্রান্তি থাকলে/হারিয়ে গেলে সে ব্যাপারেও সহযোগিতা দেওয়া হবে।  

এমতাবস্থায়, চিকিৎসাধীন আহত ছাত্র-জনতার নির্দিষ্ট সময়সূচি অনুযায়ী তথ্য ও বায়োমেট্রিক সংগ্রহ করার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্টদের নির্ধারিত সময়ে প্রস্তুত রাখার জন্য সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে। 

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে মঙ্গলবার এবং অন্য দুটি প্রতিষ্ঠানে বুধবার এ কার্যক্রম পরিচালিত হবে।

ঢাকা/হাসান/টিপু

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পর চ ল

এছাড়াও পড়ুন:

শেরপুর নির্বাচন অফিসে রোহিঙ্গা আটক

শেরপুর ভুয়া নাম-পরিচয় ব্যবহার করে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) করতে গিয়ে এক রোহিঙ্গা  আটক হয়েছেন। সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আটকের পর তাকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছেন জেলা নির্বাচন অফিসের কর্মকর্তারা। 

আটক ব্যক্তির নাম মো. আমিন। তিনি কক্সবাজারের উখিয়ার টাংহালি রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা। তার বাবার নাম জাহিদ হোসেন। 

আরো পড়ুন:

রোহিঙ্গা শরণার্থীদের স্থায়ী প্রত্যাবাসনে ‘বাস্তব পদক্ষেপ’ চায় ওআইসি

৪০ দেশের প্রতিনিধিদের রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন 

জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, আলম মিয়া নাম ব্যবহার করে উখিয়ার টাংহালি রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এক ব্যক্তি এনআইডি করতে শেরপুর জেলা নির্বাচন অফিসে আবেদন করেন। সেখানে তিনি বাবার নাম আলী হোসেন উল্লেখ করেন এবং শেরপুর পৌরসভার কসবা মোল্লাপাড়া ও শিবুত্তর এলাকার বাসিন্দা হিসেবে দাবি করেন। কথাবার্তা ও নথিপত্র যাচাইয়ের সময় সন্দেহ হলে কর্মকর্তারা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এ সময় ওই ব্যক্তি নিজেকে রোহিঙ্গা বলে স্বীকার করেন।

শেরপুরের অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন অফিসার মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, “তার কাগজপত্র দেখে আমাদের সন্দেহ হয়। তার ভাষাগত বিষয়টি আমাদের নজরে আসে। জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি নিজেকে রোহিঙ্গা বলে স্বীকার করেন।”

আটক মো. আমিন বলেন, “আমি কক্সবাজারের উখিয়ার টাংহালি ক্যাম্পে থাকি। এ দেশের নাগরিক হওয়ার আশায় ভোটার আইডি কার্ড করতে শেরপুরে এসেছিলাম। কাজের জন্য পরিচয়পত্র পেলে সুবিধা হবে ভেবেই আলম নামে আবেদন করেছি।”

শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) জাহাঙ্গীর আলম খান বলেন, “রোহিঙ্গা ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তার সঙ্গে স্থানীয় কেউ জড়িত কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আইনগত ব্যবস্থা চলমান।”

ঢাকা/তারিকুল/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • শেখ হাসিনার পরিবারের ১০ সদস্য ভোট দিতে পারবেন না: ইসি সচিব
  • খুবি শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় দুরপাল্লার শিক্ষা সফর বাতিল ঘোষণা
  • সাজেকে চান্দের গাড়ি খাদে পড়ে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী নিহত
  • শেরপুর নির্বাচন অফিসে রোহিঙ্গা আটক