গোদনাইল প্রিমিয়ার লীগের চ্যাম্পিয়নস ট্রফির মোড়ক উন্মোচন
Published: 23rd, January 2025 GMT
সিদ্ধিরগঞ্জে জঁমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে গোদনাইল প্রিপিয়ার লীগ-জিপিএল সিজন-২ এর চ্যাম্পিয়নস ট্রফির মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারী) বিকালে নাসিক ৮ নম্বর ওয়ার্ডের গোদনাইল ভাঙ্গারপুল এলাকাস্থ ডিএনডি লেক পাড়ের উন্মুক্ত মঞ্চে এ মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়।
এবারের জিপিএল সিজন-২ এর টি-১০ লীগে প্রথম পর্বে ৭টি দল অংশগ্রহণ করেন। আজ লীগের দ্বিতীয় পর্বে সেমি ফাইনালে ইনভিন্সিবল টাইটানস বনাম অগ্রগামী সংঘ এবং ইয়াং ভয়েজ বনাম ট্রফি ফাইটার মুখোমুখী হবে। আগামী ৩১ জানুয়ারী ফাইনাল খেলা এবং ১১ ফেব্রুয়ারী পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে।
গোদনাইল প্রিপিয়ার লীগ-জিপিএল সিজন-২ এর আয়োজক কমিটির উপদেষ্টা বিশিষ্ট সমাজ সেবক মো: দেলোয়ার হোসেন খোকনের সভাপতিত্বে এবং উপদেষ্টা আজিম মোল্লা বাপ্পীর সার্বিক তত্ত্বাবধানে উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক হৃদয় শিকদার, সদস্য সচিব কাজল হোসেন, সদস্য রোমান মোল্লা, কবির মোল্লা, শফিকুল ইসলাম দিদার, শাহজালাল ভুইয়া, রিপন, জীবন শিকদার ও বাবু শিকদার।
এরআগে বছরের ২৬ ডিসেম্বর বিকালে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, পায়রা উড়ানো, জার্সি উন্মোচন, আলোচনা সভা ও আতশবাজীর মত জঁমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে জিপিএল সিজন-২ এর আনুষ্ঠানিক শুভ উদ্বোধন করা হয়।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: স দ ধ রগঞ জ ন র য়ণগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন
চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।
লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।
চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।
লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।
প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।
লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।
লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’
তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?