খাগড়াছড়িতে পিকনিক বাস-ট্রাক সংঘর্ষে আহত ১৫
Published: 24th, January 2025 GMT
খাগড়াছড়ি-চট্টগ্রাম সড়কের মানিকছড়িতে পিকনিকের বাস ও ট্রাকের সংঘর্ষে বাসের অন্তত ১৫ জন যাত্রী আহত হয়েছেন।
শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় উপজেলার তিনটহরী গুচ্ছগ্রাম এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, খাগড়াছড়ি পুলিশ লাইন স্কুলের ২৭ জন শিক্ষক-কর্মচারী পারিবারিক পিকনিকে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন। পথে এ সময় বিপরীত দিক থেকে আসা মালবাহী ট্রাকের সাথে বাসের সংঘর্ষ হয়। এতে ১৫ জন আহত হন। পরে পুলিশ, সেনাবাহিনী ও স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে মানিকছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করেন।
মানিকছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মাহমুদুল হাসান রুবেল বলেন, “ঘটনার পরপরই পুলিশ ও সেনাবাহিনী স্থানীয়দের সহযোগিতায় আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। যদিও আহতদের মধ্যে কারো অবস্থাই আশঙ্কাজনক নয়। ট্রাকের চালক ঘটনার পরপরই পালিয়ে যায়।”
ঢাকা/রূপায়ন/ইমন
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
১৭ দিন পর কাটলো অচলাবস্থা, চক্ষু হাসপাতালে পূর্ণাঙ্গ সেবা চালু
জুলাই আন্দোলনে আহতদের সঙ্গে কর্মচারীদের সংঘর্ষের জেরে বন্ধ হওয়ার ১৭ দিন পর জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে পূর্ণাঙ্গ সেবা চালু হয়েছে। শনিবার সকাল ৮টা থেকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জরুরি ও বহির্বিভাগের সেবা চালু করে। পরীক্ষা-নিরীক্ষার সঙ্গে প্রয়োজনে রোগী ভর্তি রেখেও চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এর আগে ৪ জুন জরুরি বিভাগ ও ১২ জুন সীমিত পরিসরে আউটডোরের সেবা চালু করে জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল।
হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. জানে আলম বলেন, শনিবার সকাল থেকে হাসপাতাল পুরোদমে সেবা চালু হয়েছে। রোগীদের সেবা দিতে চাই এবং চিকিৎসক-নার্সদেরও নিরাপদ কর্মপরিবেশ তৈরি করতে চাই।
কর্মরত একজন চিকিৎসক বলেন, আমরা সকাল থেকে রোগীদের সেবা দেওয়া শুরু করেছি জরুরি ও বহির্বিভাগে পূর্ণাঙ্গ সেবা পাচ্ছেন রোগীরা। প্রয়োজনে ভর্তি ও অস্ত্রোপচার করা হচ্ছে।
এর আগে গত ২৮ মে আন্দোলনে আহতদের সঙ্গে হাসপাতালের কর্মী, সাধারণ রোগী এবং তাদের স্বজনদের মধ্যে সংঘর্ষের পর থেকে হাসপাতালটিতে সব ধরনের চিকিৎসা সেবা বন্ধ হয়ে যায়। হাসপাতালটিতে শুধু জুলাই আহতরা অবস্থান করেন। অন্তর্বর্তী সরকার তাদের জন্য বিশেষ উদ্যোগে খাবার সরবরাহ করেছে।
সরকার গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটি জুলাই অভ্যুত্থানে আহতদের ছাড়পত্র দিলেও ঈদের ছুটি শেষে তারা আবারও দুয়েকজন করে এই হাসপাতালে ফিরতে শুরু করেছেন। জুলাই আহতরা জানিয়েছেন- তারা এ হাসপাতাল থেকেই চিকিৎসা নিতে চান।