কেন্দ্রীয় সেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানী উদ্দেশে গোপালগঞ্জ যুব অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. ইব্রাহীম মোল্লা বলেছেন, “বর্তমানে বিএনপির নেতাকর্মীরা মামলা বাণিজ্য শুরু করেছে। ফলে নিরীহ মানুষ হয়রানির শিকার হচ্ছে। আমরা আপনাকে স্বচ্ছ রাজনীতিবিদ হিসেবে জানতাম। আপনার নেতাকর্মীরা গণঅধিকার পরিষদের নেতার ওপর হামলা করেছে। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সুরাহা না করলে ধরে নেব, আপনার নেতৃত্বে এ হামলা হয়েছে।”

মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) বিকেলে গোপালগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সামনে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন। যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল কর্তৃক টুঙ্গিপাড়া পৌরসভা গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের ওপর হমলার প্রতিবাদে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

ইব্রাহীম মোল্লা বলেন, “আওয়ামী লীগের শাসন আমলে আপনার (বিএনপি) ইঁদুরের মতো গর্তে লুকিয়ে ছিলেন। গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা কার্যালয়ের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করিয়েছিল। আপনারা এখন হামলা-মামলা করছেন। অর্থ বাণিজ্যের জন্য মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করেছেন। আপনার এখনো ক্ষমতায় যাননি এতে এত কিছু, ক্ষমতায় গেলে কি করবেন তা মানুষের বোঝা হয়ে গেছে।”

আরো পড়ুন:

নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠার খুব কাছাকাছি রয়েছি আমরা: দুদু

সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে ‘জামায়াতীকরণ’ করা হয়েছে: রিজভী

কেন্দ্রীয় ছাত্র অধিকার পরিষদের দপ্তর সম্পাদক মোহাম্মদ আলি তোহা বলেন, “বিএনপির নেতাকর্মীরা ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের মতো আচরণ শুরু করেছে। বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালী যেভাবে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, লুট, খুন দখল বানিজ্য করেছিলো নতুন করে তারা আবার স্বরূপে ফিরে গেছে। ছাত্র-জনতা আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে ফ্যাসিস্ট সরকারের বিদায়ের মধ্য দিয়ে নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। এখানে কোনো জুলুম-নির্যাতন চলবে না।”

মানববন্ধনে যুব অধিকার পরিষদ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ মোনায়েম, গোপালগঞ্জ জেলা গণঅধিকার পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক রুম্মান হোসেন, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা গণঅধিকার পরিষদের সিনিয়র সহ-সভাপতি রাইসুল ইসলাম, সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজের সাবেক আহ্বায়ক মোহাম্মাদ ইসমাইল মোল্লা বক্তব্য রাখেন।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে কেন্দ্রীয় সেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানীর ভাই ও টুঙ্গিপাড়া পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক গোলাম কিবরিয়া সাগর বলেন, “আমি জানতে পেরেছি, স্থানীয় জনতা সাকিবকে মারধর করেছে। আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম না। সাকিব এলাকায় চুরি, মাদক সেবন ও কারবারের সঙ্গে জড়িত। গতাকল সোমবার মাদক সেবন করে স্থানীদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন তিনি। তাই স্থানীয়রা অতিষ্ঠ হয়ে তাকে চড় থাপ্পড় মারে।”

টুঙ্গিপাড়া থানার ওসি মো.

খোরশেদ আলম বলেন, “গতকাল সাকিবের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। তবে কারা এ হামলা করেছে তা এখনো জানতে পারিনি। এবিষয়ে এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

পৌর গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক সাকিব শেখ গতকাল সোমবার বিকেলে বাজারে যাচ্ছিলেন। ইসলামি ব্যাংকের সামনে ৩০-৪০ জন লোক তার ওপর হামলা চালায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। আহতের পরিবারের দাবি, কেন্দ্রীয় সেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানীর ভাই গোলাম কিবরিয়া সাগর ও পৌর যুবদলের সভাপতি তাইজুল শেখের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী সাকিবের ওপর হামলা চালায়। 

ঢাকা/বাদল/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ র ন ত কর ম র ব এনপ আপন র

এছাড়াও পড়ুন:

জুলাইবিরোধী শক্তির শাস্তি দাবিতে ইবিতে বিক্ষোভ

জুলাইবিরোধী শক্তির শাস্তির দাবিতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন শিক্ষার্থীরা।

রবিবার (২ নভেম্বর) দুপুর দেড়টার দিকে ক্যাম্পাসের বটতলা থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন তারা। পরে ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রশাসন ভবনের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশে মিলিত হন।

আরো পড়ুন:

নড়াইলে ৩ দিন ধরে স্কুলছাত্রী নিখোঁজ

যবিপ্রবিতে বাতাস হলেই বিদ্যুৎ চলে যায়, অভিযোগ শিক্ষার্থীদের

মিছিলে তারা ‘আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘লেগেছে রে লেগেছে, রক্তে আগুন লেগেছে’, ‘দিয়েছি তো রক্ত, আরো দেব রক্ত’, ‘আবু সাঈদ মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ’, ‘একটা একটা লীগ ধর, ধইরা ধইরা জেলে ভর’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।

মিছিল পরবর্তী সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ইবি শাখার সাবেক সমন্বয়ক এসএম সুইট, সাবেক সহ-সমন্বয়ক ইয়াসকিরুল কবীর সৌরভ, গোলাম রব্বানী, ছাত্রদল নেতা নূর উদ্দিন, রাফিজ, শিবির নেতা রায়হান নেজামী প্রমুখ।

এসএম সুইট বলেন, “যারা গণহত্যার বৈধতা দিয়েছিল তাদের শাস্তির আওতায় আনতে প্রশাসন থেকে একটা তালিকা করা হয়েছে। কিন্তু সেই তালিকায় অনেক রাঘববোয়ালদের নাম আসেনি। যারা গণহত্যার দায়ে অভিযুক্ত ও বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেছে, তাদেরও নাম আসেনি। আগামী সপ্তাহের মধ্যে জুলাইবিরোধী সবাইকে শাস্তির আওতায় আনতে হবে।”

তিনি বলেন, “শিক্ষার্থীদের বিপক্ষে আমরা কখনোই না। কিন্তু অভ্যুত্থানের বিরোধী শক্তি শিক্ষার্থীদের ম্যানিপুলেট করে জুলাইবিরোধী কাজগুলো করানোর চেষ্টা করছে। আশা করছি, এটি ধোপে টিকবে না। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দায়-দায়িত্ব যেহেতু শহীদ ও আহত ভাই-বোনদের প্রতি। সে জায়গা থেকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শক্তিশালী ভূমিকা রাখবে বলে আমার বিশ্বাস।”

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কতিপয় শিক্ষককে বহিষ্কৃত সিদ্ধান্তকে নাটক ও প্রহসন দাবি করে ছাত্রদল নেতা নূর উদ্দিন বলেন, “প্রশাসন কতিপয় শিক্ষককে বহিষ্কার ও হাতেগোনা কয়েকজন ছাত্রের ছাত্রত্ব বাতিল করেছে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসী সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি আরাফাতের নাম বাদ দিয়েই তারা বাদবাকি চুনোপুঁটিদের বহিষ্কার করার যে নাটক, যে প্রহসন, সেই প্রহসনকে আমরা সে ঘৃণ্যাভরে প্রত্যাখ্যান করছি।”

ঢাকা/তানিম/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জুলাইবিরোধী শক্তির শাস্তি দাবিতে ইবিতে বিক্ষোভ