মাদারীপুরের ডাসার উপজেলায় ফসলি জমির মাটি কাটার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছে স্থানীয় কুষকেরা। কৃষকদের অভিযোগ, স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি রাতে ও দিনে ফসলি জমি কেটে ঘের তৈরির পাঁয়তারা করছে। 

মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) সকালে উপজেলার বালিগ্রাম ইউনিয়নের বাঘরিয়া গ্রামে বিক্ষোভ করা হয়। 

স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. দেলোয়ার আকন জানান, সম্প্রতি রাতের আঁধারে বাঘরিয়া গ্রামের মৃত মিলন খার ছেলে বাবুল খা ভেকু দিয়ে মাটি কাটা শুরু করে। এ সংবাদ রাতেই গ্রামের কৃষকদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। তখন কয়েকশত কৃষক মাটি কাটা বন্ধ করতে জমিতে আসেন। এ সময় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ডাসার থানা পুলিশ সংবাদ পেয়ে রাতেই ফসলি জমির মাটি কাটা বন্ধ করে দেন। কয়েক দিন মাটি কাটা বন্ধ থাকলেও নতুন করে মাটি কাটার পাঁয়তারা করছে। এ ঘটনায় স্থানীয় কৃষকরা বাঘরিয়া গ্রামের ফসলি জমির মাটি কাটা স্থায়ীভাবে বন্ধ কারর জন্য বিক্ষোভ করে।

গ্রামের বাসিন্দা মোকছেদ সরদার জানান, জোর করে ফসলি জমির মাটি কেটে ঘের বানাতে চাচ্ছে বাবুল খা। ঘের বানালে মাঠের সমস্ত জমি পানিতে তলিয়ে যাবে। ফসল পচে যাবে।

কৃষক ছোলেমান খা বলেন, ‘‘আমরা কৃষিকাজ করে খাই। আমাদের আর কোনো উপায় নেই। আমাদের ফসলি জমি নষ্ট হলে পথে বসতে হবে। সরকারের কাছে আমরা মাটি কাটা বন্ধের দাবি জানাই।’’

ইউপি সদস্য মো.

দেলোয়ার আকন বলেন, ‘‘তারা টাকার জোরে শত শত কৃষকের ক্ষতি করার চেষ্টা করছে। আমি এর প্রতিবাদ জানাই।’’

অভিযুক্ত বাবুল খার সঙ্গে যোগায়োগ করতে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। তবে তার চাচা কুদ্দুস খান বলেন, ‘‘আমাদের জমিতে আমরা মাটি কাটি, ওদের কী?’’

বালিগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান জানান, ঘের কাটা নিয়ে গ্রামের মধ্যে অনেক দিন ধরে উত্তেজনা চলছে। ইউএনও স্যারের মাধ্যমে এ ঘটনার মীমাংসা করার চেষ্টা করা হবে। 

ঢাকা/বেলাল/বকুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

বিস্ফোরক মামলায় চিন্ময় দাসকে কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ

চট্টগ্রামে বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলায় সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপত্র চিন্ময় দাসকে কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দিয়েছেন আদালত। পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ সোমবার দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এস এম আলাউদ্দিন এ আদেশ দেন।

নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) মফিজ উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, কারাগারে থাকা চিন্ময় দাসকে কোতোয়ালি থানার বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। শুনানি শেষে আদালত তা মঞ্জুর করেছেন।

গত বছরের ২৬ নভেম্বর সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপত্র চিন্ময় দাসের জামিনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের মধ্যে আইনজীবী সাইফুলকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ হত্যার ঘটনায় তাঁর বাবা জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করেন। এ ছাড়া পুলিশের ওপর হামলা, কাজে বাধা এবং আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের ওপর হামলা ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় আরও পাঁচটি মামলা হয়। ৬টি মামলায় গ্রেপ্তার হন ৫১ জন। তাঁদের মধ্যে হত্যায় জড়িত অভিযোগে ২১ জন গ্রেপ্তার রয়েছেন।

আদালত সূত্র জানায়, সাইফুল হত্যার আসামিদের মধ্যে চন্দন দাস, রিপন দাস ও রাজীব ভট্টাচার্য আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এতে উল্লেখ করা হয়, আইনজীবীর ঘাড়ে বঁটি দিয়ে দুটি কোপ দেন রিপন দাস। আর কিরিচ দিয়ে কোপান চন্দন দাস। পরে রাস্তায় পড়ে থাকা সাদা শার্ট ও কালো প্যান্ট পরা এই আইনজীবীকে লাঠি, বাটাম, ইট, কিরিচ ও বঁটি দিয়ে তাঁরা ১৫ থেকে ২০ জন পিটিয়ে হত্যা করেন।

গত বছরের ৩১ অক্টোবর চট্টগ্রাম নগরের চান্দগাঁও মোহরা ওয়ার্ড বিএনপির তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ খান বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় চিন্ময় দাসসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে জাতীয় পতাকা অবমাননায় রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে মামলা করেন। পরে ফিরোজ খানকে বিএনপি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এ মামলায় চিন্ময় দাসকে ২৫ নভেম্বর ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ