মাদারীপুরে ফসলি জমির মাটি কাটার প্রতিবাদে বিক্ষোভ
Published: 28th, January 2025 GMT
মাদারীপুরের ডাসার উপজেলায় ফসলি জমির মাটি কাটার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছে স্থানীয় কুষকেরা। কৃষকদের অভিযোগ, স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি রাতে ও দিনে ফসলি জমি কেটে ঘের তৈরির পাঁয়তারা করছে।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) সকালে উপজেলার বালিগ্রাম ইউনিয়নের বাঘরিয়া গ্রামে বিক্ষোভ করা হয়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. দেলোয়ার আকন জানান, সম্প্রতি রাতের আঁধারে বাঘরিয়া গ্রামের মৃত মিলন খার ছেলে বাবুল খা ভেকু দিয়ে মাটি কাটা শুরু করে। এ সংবাদ রাতেই গ্রামের কৃষকদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। তখন কয়েকশত কৃষক মাটি কাটা বন্ধ করতে জমিতে আসেন। এ সময় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ডাসার থানা পুলিশ সংবাদ পেয়ে রাতেই ফসলি জমির মাটি কাটা বন্ধ করে দেন। কয়েক দিন মাটি কাটা বন্ধ থাকলেও নতুন করে মাটি কাটার পাঁয়তারা করছে। এ ঘটনায় স্থানীয় কৃষকরা বাঘরিয়া গ্রামের ফসলি জমির মাটি কাটা স্থায়ীভাবে বন্ধ কারর জন্য বিক্ষোভ করে।
গ্রামের বাসিন্দা মোকছেদ সরদার জানান, জোর করে ফসলি জমির মাটি কেটে ঘের বানাতে চাচ্ছে বাবুল খা। ঘের বানালে মাঠের সমস্ত জমি পানিতে তলিয়ে যাবে। ফসল পচে যাবে।
কৃষক ছোলেমান খা বলেন, ‘‘আমরা কৃষিকাজ করে খাই। আমাদের আর কোনো উপায় নেই। আমাদের ফসলি জমি নষ্ট হলে পথে বসতে হবে। সরকারের কাছে আমরা মাটি কাটা বন্ধের দাবি জানাই।’’
ইউপি সদস্য মো.
অভিযুক্ত বাবুল খার সঙ্গে যোগায়োগ করতে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। তবে তার চাচা কুদ্দুস খান বলেন, ‘‘আমাদের জমিতে আমরা মাটি কাটি, ওদের কী?’’
বালিগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান জানান, ঘের কাটা নিয়ে গ্রামের মধ্যে অনেক দিন ধরে উত্তেজনা চলছে। ইউএনও স্যারের মাধ্যমে এ ঘটনার মীমাংসা করার চেষ্টা করা হবে।
ঢাকা/বেলাল/বকুল
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
হতাহতের ছবি-ভিডিও সরাতে ও ছড়িয়ে পড়া বন্ধে পদক্ষেপ চেয়ে রিট, আদেশ ৩ আগস্ট
রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ভবনে বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় নিহত–আহতদের ছবি ও ভিডিও সরাতে এবং সেগুলো ছড়িয়ে পড়া বন্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নির্দেশনা চেয়ে রিট হয়েছে। এ রিটের ওপর আদেশের জন্য ৩ আগস্ট দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট।
আজ বৃহস্পতিবার শুনানি নিয়ে বিচারপতি কাজী জিনাত হক ও বিচারপতি আইনুন নাহার সিদ্দিকার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আদেশের এই দিন ধার্য করেন।
ওই ঘটনায় নিহত–আহতদের ছবি–ভিডিও সরাতে এবং সেগুলো ছড়িয়ে পড়া বন্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নির্দেশনা চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তাসমিয়াহ নুহিয়া আহমেদ ২৯ জুলাই রিটটি করেন। আদালতে রিটের পক্ষে তিনি নিজেই শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. গোলাম রহমান ভূঁইয়া।
উত্তরার দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ভবনে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান ২১ জুলাই বিধ্বস্ত হয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ৩০ জুলাই পর্যন্ত হিসাবে, ওই ঘটনায় মৃতের সংখ্যা ৩৪।
পরে আইনজীবী তাসমিয়াহ নুহিয়া আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ওই দুর্ঘটনায় আহত–নিহতদের ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ ও ডিজিটাল মাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। সেগুলোতে শিশুদের প্রায় পোশাকহীন, অগ্নিদগ্ধ ও আহত অবস্থায় দেখা যায়। এসব ছবি–ভিডিও শিশুদের পরিবারের পাশাপাশি সাধারণ নাগরিকদের ট্রমাটাইজ (মানসিকভাবে আঘাত) করে দিচ্ছে। আন্তর্জাতিক নীতিমালা অনুযায়ী এ ধরনের দুর্ঘটনায় আহত–নিহতদের ছবি–ভিডিও প্রকাশে সংবেদনশীল হওয়ার বিষয়ে বলা হয়েছে। ভবিষ্যতে এসব ছবি ব্যবহারে আরও সতর্কতা প্রয়োজন। তাই হতাহতদের ছবি–ভিডিও সরাতে এবং সেগুলো আর যাতে ছড়িয়ে না পড়ে, সে জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নির্দেশনা চেয়ে রিটটি করা হয়।