সময়টা কত খারাপই না যাচ্ছে পেপ গার্দিওলার ম্যানচেস্টার সিটির! চ্যাম্পিয়নস লিগের নক আউটে যাওয়ার দৌড়ে টিকে থাকার জন্য লড়াই করতে হলো গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচ পর্যন্ত। যেখানে বুধবার (২৯ জানুয়ারি, ২০২৫) রাতে বিরতিতে যাওয়ার সময়ও ফ্যানরা ধরেই নিয়েছিলেন যে, সিটি বাদ পড়তে যাচ্ছে আসরটির প্রথম পর্ব থেকেই। তবে দ্বিতীয়ার্ধের ২৪ মিনিটের নাটকীয়তায় ক্লাব ব্রুগের বিপক্ষে ৩-১ গোলের জয় পেয়েছে সিটি। ফলে প্লে-অফ নিশ্চিত করা ইংলিশ ক্লাবটি টিকে রইল চ্যাম্পিয়ন লিগের শেষ ষোলোতে যাওয়ার দৌড়ে।

বুধবার রাতে ঘরের মাঠ ইতিহাদ স্টেডিয়ামে বাঁচা-মরার ম্যাচের প্রথম ৪০ মিনিটে কোনো শটই থাকেনি লক্ষ্যে। এই সময়ে দুই দলই বেশ কিছু সুযোগ তৈরি করলেও গোলরক্ষকদের কোনো পরীক্ষা দিতে হয়নি। অন্যদিকে প্লে-অফে পৌঁছাতে সিটির সামনে জয় ছাড়া কোনো বিকল্প পথ খোলা ছিল না। এসবের মাঝে ১৭তম মিনিটে বল জালে পাঠান সিটির ইকলাই গুন্দোয়ান। তবে এই জার্মান মিডফিল্ডার অফসাইডে থাকায় ম্যাচের স্কোরলাইনে কোনো পরিবর্তন আসেনি। সেই হতাশা আরও জেঁকে বসে ৪৫তম মিনিটে। ব্রুগের মিডফিল্ডার রাফায়েল ওনিয়েডিকার গোলে পিছিয়ে পড়ে রীতিমতো স্তব্ধ হয়ে যায় চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ২০২২-২৩ মৌসুমের চ্যাম্পিয়নরা।

আরো পড়ুন:

চ্যাম্পিয়নস লিগে ১৮ ম্যাচের মহারণ, দলগুলোর শেষ সমীকরণ

ম্যানসিটিকে বিপদে রেখে ক্লাব ছাড়লেন ওয়াকার  

 

দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয় নিয়ে মাঠে নামে সিটিজেনরা। ম্যাচের ৫৩তম মিনিটে মাঝমাঠে জন স্টোনসের কাছ থেকে বল পেয়ে একাই সামনে এগিয়ে যান ক্রোয়েশিয়ান মিডফিল্ডার কোভাচিচ। তিনি ডি-বক্সের প্রান্ত থেকে মাপা শটে গোল করলে সমতায় ফেরার স্বস্তি আসে ইতিহাদে। তবে কিছুক্ষণের মধ্যেই তা হাওয়া হয়ে যেতে পারত। ৫৫ ও ৫৬তম মিনিটে পরপর দুটি দারুণ আক্রমণ শানায় ব্রুগে। দক্ষতার পরিচয় দিয়ে সিটির রক্ষাকর্তার ভূমিকায় আবির্ভূত হন ব্রাজিলিয়ান গোলরক্ষক এদারসন।

ম্যাচের ৬২তম মিনিটে উল্লাসের ঢেউ ওঠে ইতিহাদ স্টেডিয়ামে। বাম প্রান্ত দিয়ে ডি-বক্সে ঢোকা ক্রোয়েশিয়ান ডিফেন্ডার ইয়োসকো ভারদিওলের ক্রস ঠেকাতে গিয়ে গড়বড় করে ফেলেন ডিফেন্ডার ওরদোনেজ। তার পায়ে লেগে বল অতিক্রম করে গোললাইন। এরপর সিটিকে আর পায় কে? আক্রমণে রীতিমত নাচিয়ে ছাড়ে ব্রুগেকে। ম্যাচের ৭৭তম মিনিটে আবারও গোল পায় সিটি এবং এবারও অ্যাসিস্ট আসে স্টোনসের কাছ থেকে। এই ইংলিশ ডিফেন্ডারের ক্রসে বল পেয়ে নজরকাড়া ফিনিশিংয়ে স্কোরলাইন ৩-১ করে ফেলেন সাভিনিয়ো।

এতে পয়েন্ট তালিকার ২২তম স্থানে থেকে প্লে-অফে খেলা নিশ্চিত করেছে গার্দিওলার ম্যানসিটি। আট ম্যাচে তিনটি জয় ও দুটি হারে তাদের অর্জন ১১ পয়েন্ট। চ্যাম্পিয়নস লিগের নতুন কাঠামো অনুযায়ী ৩৬ দলের গ্রুপ পর্ব শেষ হলো। শীর্ষ আটটি সরাসরি নাম লিখিয়েছে শেষ ষোলোতে। বাকি আটটি স্থানের জন্য প্লে-অফে লড়াই করবে ৯তম থেকে ২৪তম স্থানে থাকা ১৬টি দল। সেখানে মুখোমুখি দলগুলোর মাঝ থেকে দুই লেগের ম্যাচে জয়ী ৮টি দল পৌঁছে যাবে শেষ ষোলোতে। 

ঢাকা/নাভিদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল চ য ম প য়নস ল গ

এছাড়াও পড়ুন:

ফেসবুকে বিদ্বেষপূর্ণ মন্তব্য না করার নির্দেশনা সিলেট জেলা বিএনপির

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দায়িত্বহীন, অশালীন বা বিদ্বেষপূর্ণ পোস্ট, মন্তব্য কিংবা তথ্য শেয়ার থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে সিলেট জেলা বিএনপি। দলের কেউ এ নির্দেশনা লঙ্ঘন করলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে।

গতকাল রোববার রাতে জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক এমরান আহমদ চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিবৃতিটি গণমাধ্যমে পাঠিয়েছেন জেলা বিএনপির সহদপ্তর সম্পাদক মাহবুব আলম।
এদিকে দলের একজন জ্যেষ্ঠ নেতার বিরুদ্ধে ফেসবুকে কুরুচিপূর্ণ ও শিষ্টাচার–বহিভূর্ত মন্তব্য করায় গতকাল রাতে বিশ্বনাথ উপজেলার লামাকাজী ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আবেদুর রহমানকে (আছকির) সাময়িক বহিষ্কারের পাশাপাশি সাত দিনের মধ্যে কারণ দর্শাতে বলেছে জেলা বিএনপি। এ ছাড়া অনলাইন গণমাধ্যমে দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী বক্তব্য দেওয়ার জন্য জেলা বিএনপির সহসভাপতি ফখরুল ইসলামকে (ফারুক) সতর্কীকরণ নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

জেলা বিএনপির বিবৃতিতে বলা হয়, সাম্প্রতিক সময়ে সিলেট জেলা বিএনপির আওতাধীন কিছু ইউনিটের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম কার্যক্রমে অনভিপ্রেত ও পরস্পরবিরোধী বক্তব্য পরিলক্ষিত হয়েছে। বিশেষ করে বিশ্বনাথ উপজেলা, বিশ্বনাথ পৌরসভা ও ওসমানীনগর উপজেলা বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের কিছু নেতা-কর্মীর মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিদ্বেষমূলক মন্তব্য, কটূক্তি ও বিভাজন সৃষ্টিকারী পোস্ট প্রচারিত হয়েছে। যা দলীয় শৃঙ্খলা ও ঐক্যের পরিপন্থী।

বিএনপি সব সময় সংগঠনের ঐক্য, শালীনতা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের রাজনীতি বিশ্বাস করে উল্লেখ করে বিবৃতিতে আরও বলা হয়, দলের কোনো পর্যায়ের নেতা বা কর্মীর কাছ থেকে বিভেদমূলক আচরণ, বিদ্বেষ ছড়ানো বা প্রকাশ্যে অপপ্রচার কখনোই কাম্য নয়। অতএব জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট সব ইউনিটের নেতা-কর্মীদের কঠোরভাবে সতর্ক করা হচ্ছে, যেন ভবিষ্যতে তাঁরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দায়িত্বহীন, অশালীন বা বিদ্বেষপূর্ণ পোস্ট, মন্তব্য বা শেয়ার থেকে সম্পূর্ণ বিরত থাকেন।

যোগাযোগ করলে জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, সম্প্রতি ফেসবুকে কিছু নেতা-কর্মীকে একে অন্যের বিরুদ্ধে বিষোদ্‌গার করতে দেখা গেছে। এ অবস্থায় জেলা বিএনপি একটি নির্দেশনা দিয়েছে। তা অমান্যকারী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ