‘এমন পরিবারে জন্মগ্রহণ করে অভিনয়ের পেছনে ছুটব, তা ভাবিনি’
Published: 1st, February 2025 GMT
ভারতের জনপ্রিয় অভিনেত্রী পূজা হেগড়ে। সাবলীল অভিনয় ও সৌন্দর্য দিয়ে মুগ্ধ করে যাচ্ছেন দর্শক-শ্রোতাদের। দক্ষিণী সিনেমার আল্লু অর্জুন, মহেশ বাবু, প্রভাস, রাম চরণ, বলিউডের হৃতিক রোশান, সালমান খান, রণবীর সিংয়ের মতো বড় বড় তারকাদের সঙ্গে কাজ করেছেন এই অভিনেত্রী।
মজার বিষয় হলো— পূজা হেগড়ে কখনো অভিনেত্রী হতেই চাননি। কখনো কল্পনাও করেননি অভিনেত্রী হওয়ার। ভারতীয় সংবাদ সংস্থা আইএএনএস-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এই তথ্য জানান পূজা।
পূজার পৈতৃক নিবাস ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের ম্যাঙ্গালুরু। ১৯৯০ সালের ১৩ অক্টোবর মুম্বাইয়ে জন্মগ্রহণ করেন। পরিবারের কথা জানিয়ে পূজা হেগড়ে বলেন, “আমি ফিল্মি কোনো পরিবার থেকে আসিনি। সুতরাং কখনো ভাবিনি আমি একজন অভিনেত্রী হবো। এটাও ভাবিনি যে, অভিনেত্রী হওয়ার কোনো সম্ভাবনা আমার আছে। কারণ একাডেমিক্যালি পরিচালিত একটি পরিবার থেকে এসেছি। আপনি জানেন, আমার বাবা-মা দুজনই আইন নিয়ে পড়েছেন; পরে তারা এমবিএ ডিগ্রি নিয়েছেন।”
পূজার ভাই পেশায় একজন চিকিৎসক। এ তথ্য উল্লেখ করে পূজা বলেন, “আমার আইন বিষয়ে মাস্টার্স সম্পন্ন করেছেন। আমার ভাই অর্থোপেডিক সার্জন।”
সিনেমায় কাজ করতে পেরে এখন ভীষণ খুশি পূজা। তার ভাষায়, “এমন পরিবারে জন্মগ্রহণ করে অভিনয়ের পেছনে ছুটব, তা কখনো ভাবিনি। এমনকি যখন সিনেমা দেখতাম তখনো না। কিন্তু এখানে এসে যা করতে ভালোবাসি, তা করতে পেরে খুবই আনন্দিত। আমাকে অনেক দূর যেতে হবে।”
সিনেমা নিয়ে স্বপ্নের কথা ব্যাখ্যা করে পূজা হেগড়ে বলেন, “আমার পছন্দের এমন অনেক চরিত্র আছে, যা এখনো করিনি। অনেক চলচ্চিত্র নির্মাতা রয়েছেন, যাদের সঙ্গে কাজ করতে চাই। তাই সিনেমার প্রতি ভালোবাসা থেকেই কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।”
অভিনয়ে পা রাখার চিন্তা আগে না থাকলেও ছোটবেলা থেকেই নাচতে ও গাইতে পছন্দ করতেন পূজা। কলেজের নাচ ও ফ্যাশন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতেন। মডেলিং দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু করেন। ২০০৯ সালে ‘মিস ইন্ডিয়া ট্যালেন্টেড’ পুরস্কারও জিতেন।
২০১২ সালে তামিল ভাষার ‘মুগামুদি’ সিনেমা দিয়ে অভিনয়জগতে পা রাখেন পূজা। এরপর তেলেগু, হিন্দি ভাষার সিনেমায় অভিনয় করেন। ২০১৬ সালে ‘মহেঞ্জো দারো’ সিনেমা দিয়ে বলিউডে আত্মপ্রকাশ করেন। এতে হৃতিক রোশানের বিপরীতে অভিনয় করেন। এটি পরিচালনা করেন আশুতোষ গোয়ারিকর।
পূজা হেগড়ে অভিনীত নতুন সিনেমা ‘দেবা’। অ্যাকশন-থ্রিলার ঘরানার গল্প নিয়ে নির্মিত সিনেমাটিতে শহিদ কাপুরের বিপরীতে অভিনয় করেছেন। সিনেমাটির প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন শহিদ কাপুর, পূজা হেগড়ে, পাভেল গুলাটি। শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে সিনেমাটি।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর কর ছ ন পর ব র
এছাড়াও পড়ুন:
ফরিদপুর জেলা এনসিপি’র কমিটি গঠনের দায়িত্বে মহিলা আ’লীগ সভাপতি মেয়ে
ফরিদপুরে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এর কমিটি গঠনের দায়িত্ব পেয়েছেন জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহ্মুদা বেগমের মেয়ে সৈয়দা নীলিমা দোলা।গত মঙ্গলবার এনসিপির সদস্যসচিব আক্তার হোসেন ও মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ স্বাক্ষরিত এক চিঠি থেকে এ তথ্য জানা গেছে। ওই চিঠিতে ফরিদপুর অঞ্চলের তত্ত্বাবধায়ক করা হয়েছে মো. আব্দিুর রহমানকে এবং সংগঠক করা হয়েছে মো. রাকিব হোসেনকে।
এছাড়া ফরিদপুর অঞ্চলের পাঁচটি জেলা, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, রাজবাড়ী জেলার দু’জন করে ব্যক্তিকে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
ফরিদপুর জেলার কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হিসেবে যে দু’জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে তাদের একজন হলেন সৈয়দা নীলিমা দোলা। তিনি জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহ্মুদা বেগমের মেয়ে এবং জেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোহাম্মদ নাসিরের ভাগনি। দোলার বাবা সৈয়দ গোলাম দস্তগীর পেশায় ব্যবসায়ী।
সৈয়দা নীলিমা ২০১৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সংগীত বিভাগে মাস্টার্স সম্পন্ন করেন। এরপর তিনি কিছুদিন একটি মোবাইল ফোন কোম্পানিতে চাকরি করেন। বর্তমানে ‘সিনে কার্টেল’ নামে একটি চলচ্চিত্র নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের সত্ত্বাধিকারী।
এ বিষয়ে সৈয়দা নীলিমা দোলা বলেন, ‘আমার পরিবারের সদস্যদের আওয়ামী রাজনীতি করা সংক্রান্ত কিছু পোস্ট আপনাদের সামনে আসতে পারে। আমি নিজে এর একটা ব্যাখ্যা রাজপথের সহযোদ্ধাদের দিয়ে রাখতে চাই। আমি ১০ বছর ধরে আওয়ামী ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলন করছি। নো মেট্রো অন ডিইউ মুভমেন্ট, রামপাল বিরোধী আন্দোলন, ডিএসএ বাতিলের আন্দোলন, সুফিয়া কামাল হলকে ছাত্রলীগ মুক্ত করাসহ অন্যান্য সকল আন্দোলনে আমি পরিচিত মুখ। ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আমার লেখালেখিও পুরনো। ২০১২ সালে পরিবার ছাড়ার পর রাজপথই আমার আসল পরিবার। জুলাইয়ে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া অন্যতম মামলা তাহির জামান প্রিয় হত্যা মামলার একজন প্রত্যক্ষদর্শী আমি।’
তিনি আরও বলেন, ‘সরাসরি ছাত্রলীগ করে অনেকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে যুক্ত হয়েছেন। আমি কখনও ছাত্রলীগের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম না, তাই আমার নাগরিক কমিটির সদস্য হতে বাধা কোথায়? এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা জেনে-বুঝে এবং আমি ‘লিটমাস’ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পরই আমাকে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য করা হয়েছে।’
আওয়ামী লীগ নেত্রীর মেয়ে দায়িত্ব পেয়েছেন জেলার এনসিপি কমিটি গঠনে-এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফরিদপুর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যসচিব সোহেল রানা বলেন, ‘তার (সৈয়দা নীলিমা) পারিবারিক ব্যাকগ্রাউন্ড আওয়ামী লীগ। আমরা দেখেছি, গত জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে তার মামা গোলাম নাসির কিভাবে আমাদের ওপর নির্বিচার গুলি ছুড়েছিল। তার মায়ের কর্মকাণ্ডও আমাদের অজানা নয়।’
সৈয়দা নীলিমা দোলার সঙ্গে আমাদের পরিচয় পর্যন্ত নেই মন্তব্য করে সোহেল রানা বলেন, ‘আসলে দায়িত্ব দেওয়ার আগে সঠিকভাবে যাচাই-বাছাই করে নেওয়া হলে ভাল হতো। যাচাই-বাছাই করা হলে এ রকম পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো না।’