ভারতের জনপ্রিয় অভিনেত্রী পূজা হেগড়ে। সাবলীল অভিনয় ও সৌন্দর্য দিয়ে মুগ্ধ করে যাচ্ছেন দর্শক-শ্রোতাদের। দক্ষিণী সিনেমার আল্লু অর্জুন, মহেশ বাবু, প্রভাস, রাম চরণ, বলিউডের হৃতিক রোশান, সালমান খান, রণবীর সিংয়ের মতো বড় বড় তারকাদের সঙ্গে কাজ করেছেন এই অভিনেত্রী।

মজার বিষয় হলো— পূজা হেগড়ে কখনো অভিনেত্রী হতেই চাননি। কখনো কল্পনাও করেননি অভিনেত্রী হওয়ার। ভারতীয় সংবাদ সংস্থা আইএএনএস-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এই তথ্য জানান পূজা।

পূজার পৈতৃক নিবাস ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের ম্যাঙ্গালুরু। ১৯৯০ সালের ১৩ অক্টোবর মুম্বাইয়ে জন্মগ্রহণ করেন। পরিবারের কথা জানিয়ে পূজা হেগড়ে বলেন, “আমি ফিল্মি কোনো পরিবার থেকে আসিনি। সুতরাং কখনো ভাবিনি আমি একজন অভিনেত্রী হবো। এটাও ভাবিনি যে, অভিনেত্রী হওয়ার কোনো সম্ভাবনা আমার আছে। কারণ একাডেমিক্যালি পরিচালিত একটি পরিবার থেকে এসেছি। আপনি জানেন, আমার বাবা-মা দুজনই আইন নিয়ে পড়েছেন; পরে তারা এমবিএ ডিগ্রি নিয়েছেন।”

পূজার ভাই পেশায় একজন চিকিৎসক। এ তথ্য উল্লেখ করে পূজা বলেন, “আমার আইন বিষয়ে মাস্টার্স সম্পন্ন করেছেন। আমার ভাই অর্থোপেডিক সার্জন।”

সিনেমায় কাজ করতে পেরে এখন ভীষণ খুশি পূজা। তার ভাষায়, “এমন পরিবারে জন্মগ্রহণ করে অভিনয়ের পেছনে ছুটব, তা কখনো ভাবিনি। এমনকি যখন সিনেমা দেখতাম তখনো না। কিন্তু এখানে এসে যা করতে ভালোবাসি, তা করতে পেরে খুবই আনন্দিত। আমাকে অনেক দূর যেতে হবে।”

সিনেমা নিয়ে স্বপ্নের কথা ব্যাখ্যা করে পূজা হেগড়ে বলেন, “আমার পছন্দের এমন অনেক চরিত্র আছে, যা এখনো করিনি। অনেক চলচ্চিত্র নির্মাতা রয়েছেন, যাদের সঙ্গে কাজ করতে চাই। তাই সিনেমার প্রতি ভালোবাসা থেকেই কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।”

অভিনয়ে পা রাখার চিন্তা আগে না থাকলেও ছোটবেলা থেকেই নাচতে ও গাইতে পছন্দ করতেন পূজা। কলেজের নাচ ও ফ্যাশন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতেন। মডেলিং দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু করেন। ২০০৯ সালে ‘মিস ইন্ডিয়া ট্যালেন্টেড’ পুরস্কারও জিতেন।

২০১২ সালে তামিল ভাষার ‘মুগামুদি’ সিনেমা দিয়ে অভিনয়জগতে পা রাখেন পূজা। এরপর তেলেগু, হিন্দি ভাষার সিনেমায় অভিনয় করেন। ২০১৬ সালে ‘মহেঞ্জো দারো’ সিনেমা দিয়ে বলিউডে আত্মপ্রকাশ করেন। এতে হৃতিক রোশানের বিপরীতে অভিনয় করেন। এটি পরিচালনা করেন আশুতোষ গোয়ারিকর।

পূজা হেগড়ে অভিনীত নতুন সিনেমা ‘দেবা’। অ্যাকশন-থ্রিলার ঘরানার গল্প নিয়ে নির্মিত সিনেমাটিতে শহিদ কাপুরের বিপরীতে অভিনয় করেছেন। সিনেমাটির প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন শহিদ কাপুর, পূজা হেগড়ে, পাভেল গুলাটি। শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে সিনেমাটি।

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর কর ছ ন পর ব র

এছাড়াও পড়ুন:

সব্যসাচী কাজী মোতাহার হোসেন বিজ্ঞান ও শিল্পের মেলবন্ধন ঘটিয়েছেন

প্রথিতযশা অধ্যাপক ও পরিসংখ্যানবিদ কাজী মোতাহার হোসেন ছিলেন একজন সব্যসাচী মানুষ। তিনি নিজের কাজের মাধ্যমে বিজ্ঞান ও শিল্পের মেলবন্ধন ঘটিয়েছেন। তাঁর ঐতিহ্য শিক্ষার্থীদের ধারণ করতে হবে।

জ্ঞানতাপস কাজী মোতাহার হোসেনের ১২৮তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আজ বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তারা এ কথাগুলো বলেন।

অনুষ্ঠানে স্মারক বক্তৃতা, বৃত্তি, পদক, পুরস্কার ও সনদ দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানের যৌথ আয়োজক কাজী মোতাহার হোসেন ফাউন্ডেশন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগ এবং পরিসংখ্যান গবেষণা ও শিক্ষণ ইনস্টিটিউট।

অনুষ্ঠানে ‘যুগলের বন্ধন: কাজী নজরুল ইসলাম-কাজী মোতাহার হোসেন’ শীর্ষক স্মারক বক্তৃতা দেন অধ্যাপক ভীষ্মদেব চৌধুরী। তিনি দুই বন্ধুর সম্পর্কের রসায়নের নানা দিক তুলে ধরেন।

প্রধান অতিথি বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, এই অনুষ্ঠানের দুটো প্রাপ্তি আছে। প্রথমত, মানুষের অবদান ও মেধাকে স্বীকার করা হচ্ছে। দ্বিতীয়ত, এই উপমহাদেশের একজন প্রথিতযশা সব্যসাচী মানুষের ঋণ স্বীকার করা হচ্ছে।

কাজী মোতাহার হোসেন যেকোনো বিবেচনায় একজন দার্শনিক বলে উল্লেখ করেন নিয়াজ আহমেদ খান। তিনি বলেন, কাজী মোতাহার হোসেন বিজ্ঞান ও শিল্পের মধ্যে মেলবন্ধন ঘটিয়েছেন। প্রথম সারির পরিসংখ্যানবিদ, বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা ছাড়াও তিনি অনেকগুলো সামাজিক আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন, প্রভাব বিস্তার করেছেন। একজন মানুষের ছোট জীবদ্দশায় এত গুণ সন্নিবেশিত করা কঠিন। কিন্তু তিনি তা করে দেখিয়েছেন।

সবাইকে নিয়ে চলা, প্রতিষ্ঠান তৈরি করা, নিজের জগতের বাইরে নানা কিছুতে হাত বাড়িয়ে দেওয়ার মতো ঐতিহ্য কাজী মোতাহার হোসেন করে গেছেন বলে উল্লেখ করেন নিয়াজ আহমেদ খান। তিনি বলেন, তাঁর সম্মানে যাঁরা আজ স্বীকৃতি পেলেন, তাঁরা এই ঐতিহ্যকে ধারণ করবেন। এটা (বিশ্ববিদ্যালয়) যে সামাজিক প্রতিষ্ঠান, সে বার্তা দেবেন। যেসব শিক্ষার্থী সম্মাননা পাচ্ছেন, তাঁদের ছোট প্রোফাইল তৈরি করে ওয়েবসাইটে তুলে দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

কাজী মোতাহার হোসেন ফাউন্ডেশনের সভাপতি অধ্যাপক আবদুল মাজেদ বলেন, কাজী মোতাহার হোসেন একজন সব্যসাচী মানুষ ছিলেন। বিজ্ঞানের এমন কোনো দিক নেই, যেখানে তাঁর পদচারণা ছিল না। তিনি দাবা খুব পছন্দ করতেন। দাবা খেলার কথা শুনলে তিনি ছুটে যেতেন। কাজী মোতাহার হোসেনকে নিয়ে তাঁর শোনা নানা গল্প তিনি স্মৃতিচারণা করেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক জাফর আহমেদ খান বলেন, কাজী মোতাহার হোসেন পরিসংখ্যান চর্চার পথিকৃৎ ছিলেন। বিজ্ঞান, দাবাচর্চারও পথিকৃৎ ছিলেন। এমন কোনো পুরস্কার নেই যে, তিনি পাননি। তাঁর দেখানো পথে যেন শিক্ষার্থীরা নিজেদের আলোকিত করতে পারেন।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন কাজী মোতাহার হোসেন ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী রওনাক হোসেন। এই আয়োজনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের বিভিন্ন বর্ষের সেরা শিক্ষার্থীদের বই, নগদ অর্থ ও সনদ তুলে দেওয়া হয়। এ ছাড়া কাজী মোতাহার হোসেনকে নিয়ে আয়োজিত রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গঙ্গাচড়ায় হিন্দুবাড়িতে হামলা ঠেকাতে ‘পর্যাপ্ত’ ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি
  • নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ-আ.লীগ নেতা–কর্মীদের ‘গোপন বৈঠক’ ঘিরে গ্রেপ্তার ২২, সেনা হেফাজতে মেজর
  • দেশের চারজনের একজন বহুমাত্রিক দারিদ্র্যের শিকার
  • ফ্যাসিবাদ, উগ্রবাদ যাতে মাথাচাড়া দিতে না পারে
  • ডেঙ্গুতে দুজনের, করোনাভাইরাসে একজনের মৃত্যু
  • জাওয়াইদেহ বেদুইনদের মৌখিক সাহিত্য
  • রাবিতে আ.লীগ ট্যাগ দিয়ে চিকিৎসা কর্মীকে বিবস্ত্র করে মারধর
  • ইরানের সঙ্গে সংঘাত: ইসরায়েলকে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা দিতে সৌদি সরকারকে অনুরোধ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র
  • সিরিজের শেষ ম্যাচে নেই স্টোকস, দায়িত্বে পোপ
  • সব্যসাচী কাজী মোতাহার হোসেন বিজ্ঞান ও শিল্পের মেলবন্ধন ঘটিয়েছেন