গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেছেন, “আমি দুই বছর আগেই বলেছিলাম, আওয়ামী লীগের পতন হলে গুলিস্তানে মুজিব কোট কেনার কোনো লোক থাকবে না। গত বছরের ৫ আগস্টের পর এ দেশে মুজিব কোট পড়ার মতো লোক পাওয়া যাচ্ছে না। মুজিব কোট এখন পাগলেও নেয় না।” 

শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ পৌরসভা মাঠে জুলাই গণঅভ্যুত্থান ও আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

নুরুল হক নুর বলেন, “ছাত্র আন্দোলনে শহীদদের কাঙ্ক্ষিত স্বপ্ন পূরণের জন্য ও নতুন স্বাধীনতাকে রক্ষা করতে নতুন রাজনীতি, নতুন নেতৃত্ব এবং নতুন সংস্কৃতি প্রয়োজন। এ দেশের মানুষ এখন নতুন নেতৃত্বকে বরণ করে নিতে প্রস্তুত। নতুন নেতৃত্ব আসলে এদেশে শেখ হাসিনার মতো আর কোনো দানবের সৃষ্টি হবে না।”

আরো পড়ুন:

৫ মাসের কার্যক্রম নিয়ে অসন্তুষ্টি আছে: নুর

নির্বাচনের আগে রাষ্ট্র সংস্কার চান নুর

গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ওয়াহিদুর রহমান মিল্কির সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন- সিনিয়র সহ-সভাপতি ফারুক হাসান, একেএম সাইদুজ্জামান।

ঢাকা/অনিক

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ন র ল হক ন র

এছাড়াও পড়ুন:

আ.লীগের নামে কোনো দল রাজনীতি করতে পারবে না: ভিপি নুর

গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেছেন, গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের নামে কোনো রাজনৈতিক দল রাজনীতি করতে পারবে না।

মঙ্গলবার বিকেলে শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুরের চেয়ারম্যান বাজারে আয়োজিত এক গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

গণসমাবেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রসঙ্গে ভিপি নুর বলেন, এই সরকার সব রাজনৈতিক দলের সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফল। এখানে বিরোধী দলের অবস্থান নেই, বরং সবাই মিলে রাষ্ট্র সংস্কার বাস্তবায়নে কাজ করছে। আমরা সরকারবিরোধী নই; বরং এই সরকারকে সহযোগিতা করছি।

আওয়ামী লীগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা বারবার দাবি জানিয়ে আসছি— আওয়ামী লীগ এবং তার অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোকে সন্ত্রাসী ও গণহত্যাকারী সংগঠন হিসেবে অবিলম্বে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে। ছাত্রলীগ ইতোমধ্যে নিষিদ্ধ হয়েছে, আশা করি শিগগিরই আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ নিষিদ্ধ হবে।

নুর বলেন, স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা ও তার পরিবার, এমপি-মন্ত্রীরা উন্নয়নের বুলি শুনিয়ে হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে। সাধারণ নেতাকর্মীদের বিপদের মুখে ফেলে তাঁরা বিদেশে রাজকীয় জীবনযাপন করছে। দেশের মানুষ এখন এসব বুঝে ফেলেছে—তাদের আর বোকা বানানো যাবে না।

তিনি আরও বলেন, আগামী নির্বাচনে দেশের মানুষ গণঅধিকার পরিষদকে ভোট দেবে। আমরা তিনশ’ আসনে প্রার্থী দিব। শরীয়তপুর-২ (নড়িয়া-সখিপুর) আসনে প্রার্থী হিসেবে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আখতারুজ্জামান সম্রাট মাঝিকে আমরা ঘোষণা করছি।

গণসমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান, ফরিদপুর বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট ফিরোজ আহমেদ মুন্সী, কেন্দ্রীয় ছাত্র অধিকার পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক আখতারুজ্জামান সম্রাট মাঝি, শরীয়তপুর জেলার সাবেক সদস্য সচিব ডা. শাহজালাল সাজু প্রমুখ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আ.লীগের নামে কোনো দল রাজনীতি করতে পারবে না: ভিপি নুর