নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান বলেছেন, ছাত্রলীগের হাত থেকে ছাত্র- জনতা, কৃষক, শ্রমিকের রক্তের দাগ এখনও মুছে যায়নি।

সেই রক্তকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে তারা যে কর্মসূচি দিয়েছে আজকে আমি মহানগর বিএনপি'র পক্ষ থেকে নেতাকর্মীদেরকে নির্দেশ দিচ্ছি আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ যে যেখানে অবস্থান করে বের করে আমাদেরকে খবর দিবেন তাদেরকে ধরে মারবেন না আইনের হাতে তুলে দিবেন।


আমাদের সকল ইউনিট নেতাকর্মীদেরকে আমি বলতে চাই আপনারা সজাগ হন। ওই যুবলীগ ছাত্রলীগের যারা নিষিদ্ধ তাদের যে কর্মসূচি বাংলাদেশের মানুষ মেনে নিবে না। আমরাও কিন্তু মেনে নিব না। নারায়ণগঞ্জে আমরা যেই সহমর্মিতা দেখিয়েছিলাম সেটাকে তারা দুর্বল মনে করছে। 

নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের কর্মসূচিকে প্রতিহত করতে শহরে বিক্ষোভ মিছিল করেছে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। মিছিল শেষে বক্তব্যেকালে তিনি এসব কথা গুলো বলেন। 

শনিবার ( ১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় শহরের চাষাড়া মিশনপাড়া মোড় থেকে মহানগর বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের নিয়ে শহরে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি চাষাড়া চত্বর ঘুরে বিবি রোড় দিয়ে গ্রীনেজ ব্যাংকের মোড় হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে দুই নং রেলগেট গিয়ে শেষ হয়। 

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্র পূর্ণ উদ্ধার হয়েছে। এটাকে যদি কেউ নস্যাৎ করতে চায় তাহলে বাংলাদেশে জাতীয় দল তথা মহানগর বিএনপি তা মেনে নিবে না। দেশের জনগণকে নিয়ে আমরা তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবো।

মহানগর বিএনপির আওতাধীন সকল ইউনিট ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা পাড়ায় মহল্লায় সজাগ থাকবেন যেনো কোন ভাবেই নিষিদ্ধ সংগঠন নেতাকর্মীরা কোন কর্মসূচি পালন করতে না পারে। আর যদি কেউ এ ধরনের কর্মসূচি পালন করার চেষ্টা করে তারও তাদেরকে প্রতিহত করে পুলিশের কাছে দিয়ে দিবেন। 

নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড.

সাখাওয়াত হোসেন খান ও সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপুর নেতৃত্বে এসময়ে আরও উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মাশুকুল ইসলাম রাজিব, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ডা. মজিবুর রহমান, বরকত উল্লাহ, হাবিবুর রহমান মিঠু, মহানগর শ্রমিকদলের সদস্য সচিব ফারুক হোসেন, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মির্জা কামাল উদ্দিন জনি, মহানগর বিএনপি আবুল হোসেন রিপন, নাজমুল হক, আল আরিফ, মাহবুবুর রহমান, কাজী নাঈম, সাইফুল ইসলাম বাবু, হিরা সরদার, মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সাইফুল ইসলাম আপন, আলী ইমরান শামীম, মহানগর মহিলাদলের সভানেত্রী দিলারা মাসুদ ময়না, মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো.রাসেলসহ মহানগর বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
 

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ব এনপ ন র য়ণগঞ জ ন ত কর ম দ র স গঠন র ন ত ন র য়ণগঞ জ র ন ত কর ম সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

 মে দিবসে শ্রমিক জাগরণ মঞ্চ’র শ্রমিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত 

নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাড়া সমবায় মার্কেট এর সামনে মহান মে দিবস উপলক্ষে শ্রমিক জাগরণ মঞ্চ'র উদ্যোগে  শ্রমিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। 

সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন শ্রমিক জাগরণ মঞ্চের কেন্দ্রীয় সভাপতি শ্রমিক জননেতা জাহাঙ্গীর আলম গোলক, আইন সহায়তা তথ্য রিপোর্টার মানবাধিকার ফাউন্ডেশন এর নারায়ণগঞ্জ জেলা সভাপতি মো. শফিকুল ইসলাম আরজু, শ্রমিক জাগরণ মঞ্চ কেন্দ্রীয় কমিটি সাধারণ সম্পাদক -জেসমিন আক্তার, বাংলাদেশ রিপোর্টার্স ক্লাব ট্রাস্টের  নারায়ণগঞ্জ জেলা'র সভাপতি ও মানবাধিকার কর্মী- এস. এম. জহিরুল ইসলাম বিদুৎ, নিউজ ব্যাংক ২৪ ডট.নেট এর সম্পাদক ও প্রকাশক- আল মামুন খাঁন, সাংস্কৃতিক সংগঠক- জহিরুল ইসলাম মিন্টু, সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী-সাজ্জাদ আহম্মেদ খোকন, নাট্য অভিনেতা- আবুল কালাম আজাদ, কণ্ঠশিল্পী ও মানবাধিকার কর্মী-রিয়া খাঁন,সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক কর্মী- মোহাম্মদ ওয়ার্দে রহমান, মানবাধিকার কর্মী- মো. জাহিদ হোসেন, মানবাধিকার কর্মী শাহানাজ আক্তার সাথী, সমাজ সেবক  শাহানাজ আক্তার মুক্তাসহ সংগঠনের সদস্যবৃন্দ।

এ সময় সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন শ্রমিক জাগরণ মঞ্চের নারায়ণগঞ্জ জেলা সভাপতি আব্দুস সবুর।
সমাবেশে শ্রমিক জননেতা জাহাঙ্গীর আলম গোলক বলেন, মহান মে দিবস আজ অথচ স্বাধীনতার ৫৪ বছর পার হলেও এখনো বাংলাদেশে শ্রমিকস্বার্থে কিছুই হয়নি । নারায়ণগঞ্জ শহরের মতো সারা দেশে বাড়ছে শিশু শ্রম । বিবর্ণ হয়ে যাচ্ছে নারী শিশু ও শ্রমিকের জীবন মান ।

হাজার হাজার শ্রমিক বেকার হয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছে । শত শত ছোট কারখানা, গার্মেন্টস্, ডগ ইয়ার্ড, রুলিং মিল, জুট মিল বন্ধ হয়ে যাচ্ছে । শ্রমিকদের কষ্টকর জীবনের কষ্ট আরো বাড়ছে । ভালো জনে থাকে ভাঙ্গা ঘরে মন্দ যে সেজন সিংহাসনে বসে। এ যেনো এক হিরক রাজার দেশে পরিণত হয়েছে। দূর্নীতি বাজ লুটপাট কারি

শ্রমিকদের টাকা আত্মসাৎ কারি বড়লোক মালিকের গোষ্ঠী আজ এই দেশের মালিকানা পেয়ে বসে আছে অথচ যে শ্রমিক জীবন দিয়ে রাষ্ট্র সৃষ্টি করেছে রাষ্ট্রের চাকা ঘুরাচ্ছে সেই রাষ্ট্রও শ্রমিকদের সাথে প্রতারণা করছে। শ্রমিক তার প্রকৃত সঠিক শ্রমের ন্যায্য মর্যাদাপূর্ণ মজুরি পাচ্ছে না, রেশন,হেল্থ কার্ড দেওয়া হচ্ছে না।

শ্রমিক জাগরণ মঞ্চ সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম গোলক আরো বলেন, যতদিন পর্যন্ত শ্রমিকরা তাদের অধিকার আদায়ে জন্য সঠিক সংগঠনকে শক্তিশালী না করবে ততদিন পর্যন্ত এই অবস্থা দুনিয়ার দেশে দেশে ছিলো, এখনো আছে আর যে সকল দেশের শ্রমিকরা জাগরণ তৈরি করতে পেরেছে সেই সব দেশে দেশে শ্রমিকরা প্রথম শ্রেণীর নাগরিক মর্যাদা পেয়েছে। মৌলিক সকল অধিকার পেয়েছে। তাই আমাদের দেশে শ্রমিকদের ঐক্যবদ্ধ জাগরণ আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে ।

শ্রমিক জাগরণ মঞ্চ সেই মৌলিক আন্দোলনটি গড়ে তুলতে সচেষ্ট আছে । নিশ্চয়ই শ্রমিকদের জয় অনিবার্য । দুনিয়ার সব মজদুর এক হও সবাইকে মহান মে দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে বক্তব্য শেষ করেন।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বন্দরে নিখোঁজ যুবক জনি’র লাশ উদ্ধার
  • নিজেদেরকে আল কুরআনের আদর্শিক কর্মী হিসেবে গড়ে তুলতে হবে : জব্বার
  • নারায়ণগঞ্জে দুর্বৃত্তের গুলিতে ব্যবসায়ী আহত
  • নারায়ণগঞ্জে ব্যবসায়ীকে গুলি করে হত্যার চেষ্টা
  • বাংলাদেশের উন্নতির পেছনে শ্রমিকদের অবদান অনস্বীকার্য : ডিসি
  • বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন না’গঞ্জ মহানগরীর শ্রমিক সমাবেশ ও র‌্যালি
  • নারায়ণগঞ্জে কারখানায় বিস্ফোরণ, দগ্ধ ৩ 
  • ঢাকার শ্রমিক সমাবেশে সজল- সাহেদের নেতৃত্বে মহানগর যুবদলের অংশগ্রহণ 
  • মে দিবসের শ্রমিক সমাবেশে মহানগর শ্রমিকদলের শোডাউন
  •  মে দিবসে শ্রমিক জাগরণ মঞ্চ’র শ্রমিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত