অন্য কোনো সিনেমার এত পারিশ্রমিক পাননি প্রিয়াঙ্কা
Published: 3rd, February 2025 GMT
বলিউডের ‘দেশি গার্ল’ বলা হয় প্রিয়াঙ্কা চোপড়াকে। সেই প্রিয়াঙ্কাই এখন ভারতীয় ছবিতে নেই। সেটা অনেক দিন হয়। এই সময়টাতে হলিউডের দিকে যাত্রা করেন, বিয়ে করেন, মা হন। অনেক দিন ভারতীয় সিনেমায় দেখা না যাওয়া প্রিয়াঙ্কা এবার হাজির হচ্ছেন বলিউডের সেই চিরচেনা অঙ্গনেই। তাও আবার যেনতেন নির্মাতা নন, এস এস রাজামৌলির নতুন সিনেমায় দেখা যাবে অভিনেত্রীকে। এ সিনেমার জন্য রেকর্ড পরিমাণ পারিশ্রমিকও পাচ্ছেন তিনি।
ভারতীয় গণমাধ্যম পিংকভিলাকে সিনেমার সঙ্গে যুক্ত একটি সূত্র জানিয়েছে, রাজামৌলির নাম ঠিক না হওয়া সিনেমার জন্য ৩০ কোটি রুপি বা ৪২ কোটি টাকা পাচ্ছেন প্রিয়াঙ্কা! রাজামৌলির অন্য কোনো সিনেমার নায়িকা আগে এত পারিশ্রমিক পাননি। হিন্দি সিনেমার নায়িকাদের যা পারিশ্রমিক হয়, এটা তারও প্রায় দ্বিগুণ। যদিও সিনেমাটিতে কারা অভিনয় করবেন, সেটা এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয়নি।
বলিউডের সর্বাধিক পারিশ্রমিক পাওয়া নায়িকা দীপিকা পাড়ুকোন, যিনি ১৫ থেকে ২০ কোটি রুপি পারিশ্রমিক নেন সিনেমা প্রতি, এবার তাঁকে টপকে গেলেন প্রিয়াঙ্কা।
এর আগে জানা গেছে, ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে অন্যতম ব্যয়বহুল ছবিটি উপহার দিতে চলেছেন পরিচালক এস এস রাজামৌলি। তাঁর এই ছবিতে আছেন দক্ষিণি তারকা মহেশ বাবু। ছবির বাজেট ১ হাজার কোটি রুপি! জঙ্গলে অ্যাডভেঞ্চার ঘিরে নির্মিত এ ছবিটি। জানা গেছে, রাজামৌলি তাঁর ‘বাহুবলী’ ছবির মতো এ ছবিটিকেও দুটি পর্বে আনতে চলেছেন।
রাজামৌলি নির্মিত এ সিনেমায় মনোমুগ্ধকর দৃশ্য এবং আকর্ষণীয় গল্প দেখানো হবে বলে আশা করা হচ্ছে। সিনেমার শুটিং হবে হায়দরাবাদ ও কেনিয়ার বিভিন্ন লোকেশনে।
প্রিয়াঙ্কা ও মহেশ ছাড়া সিনেমায় আর কে কে অভিনয় করবেন তা এখনও জানা যায়নি। তবে গুঞ্জন রয়েছে, জন আব্রাহাম তাদের সঙ্গে যুক্ত হতে পারেন।
মহেশ বাবুর এ ছবির প্রথম পর্ব ২০২৭ সালে, আর দ্বিতীয় পর্ব ২০২৯ সালে মুক্তি পাবে বলে জানা গেছে। ছবির গল্প লেখার কাজ প্রায় শেষ হয়ে গেছে। শোনা যাচ্ছে, চলতি বছরের এপ্রিলেই রাজামৌলি এ ছবির শুটিং শুরু করবেন।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
হাইতিতে গ্যাং হামলায় ৫০ জনের বেশি নিহত
ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জের দেশ হাইতিতে গত সপ্তাহে একাধিক গ্যাং হামলায় ৫০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। জাতীয় মানবাধিকার প্রতিরক্ষা নেটওয়ার্কের (আরএনডিডিএইচ) তথ্যানুসারে, সংকটে জর্জরিত দেশটিতে সর্বশেষ ভয়াবহ গণহত্যার ঘটনা এটি।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বার্তা সংস্থা এএফপির বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্যারন’স।
গতকাল সোমবার এএফপিকে পাঠানো এক প্রতিবেদনে আরএনডিডিএইচ জানায়, গত ১১ ও ১২ সেপ্টেম্বর রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সের উত্তর এলাকায় এই হামলাগুলো ঘটে।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘২০২৫ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নিহত হওয়া বহু মানুষের লাশ এখনও পাওয়া যায়নি। লাশগুলো এখনও ঝোপের মধ্যে পড়ে আছে এবং কুকুর লাশগুলো খেয়ে ফেলেছে।’
পশ্চিম গোলার্ধের সবচেয়ে দরিদ্র দেশ হাইতি। দেশটির একটি অংশ ও রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সের বেশিরভাগ এলাকা সশস্ত্র গ্যাংগুলোর নিয়ন্ত্রণে থাকায় সহিংসতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
২০২৪ সালের শুরুর দিকে গ্যাংগুলোর একটি জোট লাগাতার হামলা শুরু করলে পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়। যার ফলে প্রধানমন্ত্রী এরিয়েল হেনরি পদত্যাগ করেন এবং প্রেসিডেন্টের অন্তর্বর্তীকালীন পরিষদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন।
হাইতির পুলিশকে সমর্থন করার জন্য কেনিয়ার নেতৃত্বাধীন বহুজাতিক বাহিনী মোতায়েন করার পরও সহিংসতা দমন করা সম্ভব হয়নি।
আরএনডিডিএইচ জানিয়েছে, ভিভ আনসানম গ্যাং জোট, যারা ২০২৪ সালের মার্চ মাস থেকে ক্যাবারেট শহরের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, তারা গত সপ্তাহে নিকটবর্তী ল্যাবোডেরি শহরে বেসামরিক জনগণের বিরুদ্ধে অত্যন্ত নিষ্ঠুর গণহত্যা চালিয়েছে। শহরটি রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্স থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত।
সংস্থাটি আরো জানায়, ‘তারা ৫০ জনেরও বেশি মানুষকে হত্যা করেছে এবং বেশ কয়েকটি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে।’
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, ‘বেঁচে থাকা কয়েকজন পার্শ্ববর্তী এলাকায় পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। অন্যান্যরা আক্রমণকারীদের হাত থেকে বাঁচতে নৌকায় করে সমুদ্রে পালিয়ে যায়।’
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস গত মাসে সতর্ক করে বলেছেন, হাইতিতে ‘রাষ্ট্রীয় কর্তৃত্ব ভেঙে পড়ছে।’
তিনি নিরাপত্তা পরিষদকে সতর্ক করে বলেন, হাইতির রাজধানীর বাইরেও সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ছে। সেখানকার ৯০ শতাংশ অঞ্চলের ওপর গ্যাংগুলোর নিয়ন্ত্রণ রয়েছে।
রবিবার, তিনি ক্যাবারে কমিউনে হামলার নিন্দা জানিয়েছেন এবং দেশগুলোকে প্রয়োজনীয় ‘সরবরাহ, কর্মী ও তহবিল দিয়ে বহুজাতিক নিরাপত্তা সহায়তা মিশনকে শক্তিশালী করার প্রচেষ্টা ত্বরান্বিত করার’ আহ্বান জানিয়েছেন।
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের তথ্যানুসারে, চলতি বছরের প্রথমার্ধে হাইতিতে কমপক্ষে ৩ হাজার ১৪১ জন নিহত হয়েছে।
ঢাকা/ফিরোজ