কানাডা ও মেক্সিকোর পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। দেশ দুটির কাছ থেকে সীমান্ত সুরক্ষা বৃদ্ধি ও মাদক পাচারের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের প্রতিশ্রুতি পাওয়ার পর গতকাল সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) এক মাসের জন্য শুল্ক আরোপ স্থগিতের ঘোষণা দেন তিনি। খবর রয়টার্স ও এএফপির।

আজ মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) থেকে কানাডা ও মেক্সিকোর পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সোমবার কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ও মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ক্লদিয়া শেইনবাউমের সঙ্গে ফোনালাপের শুল্ক আরোপ স্থগিত করেছেন ট্রাম্প।

যুক্তরাষ্ট্রের শর্তানুযায়ী সীমান্তে নতুন প্রযুক্তি ও অতিরিক্ত নিরাপত্তাকর্মী মোতায়েন করতে সম্মত হয়েছে কানাডা। পাশাপাশি, সংগঠিত অপরাধ, ফেন্টানিল চোরাচালান এবং অর্থপাচারের বিরুদ্ধে যৌথভাবে কাজ করবে বলে জানিয়েছে।

আরো পড়ুন:

নতুন ভিসা পদ্ধতি চালু করতে যাচ্ছে মার্কিন দূতাবাস

যুক্তরাষ্ট্রে ৯ দিনে ৭ হাজারের বেশি অবৈধ অভিবাসী গ্রেপ্তার

অন্যদিকে অবৈধ অভিবাসন ও মাদকের প্রবাহ নিয়ন্ত্রণে মেক্সিকো তাদের উত্তর সীমান্তে ১০ হাজার ন্যাশনাল গার্ড সদস্য মোতায়েন করবে বলে জানিয়েছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও মেক্সিকোতে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন অস্ত্র চোরাচালান রোধে পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ক্লদিয়া শেইনবাউম।

দুই নেতার সঙ্গে ফোনালাপের পর ট্রাম্প জানান, আগামী এক মাসের মধ্যে কানাডা ও মেক্সিকোর সঙ্গে নতুন অর্থনৈতিক চুক্তি নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন। নব্বই দশকের মুক্তবাণিজ্য চুক্তির পর থেকে এই দেশগুলোর অর্থনীতি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে গভীরভাবে যুক্ত হয়ে আছে।

ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট হিসেবে আমার দায়িত্ব হলো, সব মার্কিনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং আমি ঠিক সেটাই করছি। আমি এই প্রাথমিক ফলাফলে খুবই সন্তুষ্ট।’

মেক্সিকো ও কানাডার সঙ্গে এই সমঝোতা আপাতত সম্ভাব্য একটি বাণিজ্যযুদ্ধ ঠেকিয়ে দিয়েছে, যা সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর অর্থনীতির ক্ষতি করতে পারত এবং ভোগ্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে দিত বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদেরা।

তবে, চীনা পণ্যের ওপর ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত বহাল রেখেছেন ট্রাম্প। এর ফলে আজ মঙ্গলবার থেকে চীনা পণ্যে অতিরিক্ত ১০ শতাংশ শুল্ক কার্যকর হচ্ছে। হোয়াইট হাউজ জানিয়েছে, ট্রাম্প চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিনপিংয়ের সঙ্গে চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে কথা বলবেন।

ঢাকা/ফিরোজ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর শ ল ক আর র ওপর

এছাড়াও পড়ুন:

ক্রান্তিকালে বিসিবির প্রস্তুতির অভাব দেখছেন তামিম

জাতীয় দলের দীর্ঘদিনের নির্ভরতার প্রতীক তামিম ইকবাল মনে করছেন, সাকিব-মুশফিক-রিয়াদদের বিদায়ের পর বাংলাদেশের ক্রিকেটে যে সংকট তৈরি হয়েছে, তার জন্য আগেভাগে প্রস্তুত ছিল না বিসিবি। এই পরিস্থিতিতে হাই পারফরম্যান্স (এইচপি), টাইগার্স ও ‘এ’ দলের কাঠামোতে আরও বেশি বিনিয়োগের ওপর জোর দিয়েছেন তিনি।

সমকালকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তামিম বলেন, ‘পাঁচজন অভিজ্ঞ ক্রিকেটার সরে গেছে, যাদের অভিজ্ঞতা ১৫-১৭ বছরের। তারা হাজারের বেশি ম্যাচ খেলেছে। এই মানের ক্রিকেটারদের বিদায়ে শূন্যতা আসবেই। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, বোর্ড কি এই ক্রান্তিকালের জন্য প্রস্তুত ছিল?’

তামিমের মতে, জাতীয় দলের অনেক ক্রিকেটারই এখন ৭-১০ বছর ধরে খেলছেন। এই সময়টাতে তাদের পাশাপাশি ভবিষ্যতের জন্য বিকল্প খেলোয়াড় গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া উচিত ছিল। তিনি বলেন, ‘জাতীয় দলকে যতটা সম্ভব সুযোগ-সুবিধা দিন, কিন্তু ভবিষ্যতের কথা ভেবে এইচপি, টাইগার্স ও “এ” দলে বেশি ফোকাস করুন। এই জায়গাগুলোতে ভালো বিনিয়োগ না হলে জাতীয় দল সবসময় ধুঁকতেই থাকবে।’

তবে সামগ্রিকভাবে দেশের ক্রিকেট নিয়ে আশাবাদী তামিম। তার ভাষায়, ‘আমরা কখনোই তিন সংস্করণে একসঙ্গে ভালো করিনি। এই দলটাকেও যদি সময় দেওয়া হয়, তারা ঘুরে দাঁড়াবে।’

ভবিষ্যৎ তারকা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তামিম বেশ কয়েকজনের নাম তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘পেস বিভাগে তাসকিন আছে, নতুন নাহিদ রানা ভালো করছে। তাইজুল চমৎকার স্পিনার। হৃদয়, জাকের আলীরাও সম্ভাবনাময়। এদের মধ্য থেকেই কেউ কেউ বড় তারকা হয়ে উঠতে পারে।’

সবশেষে তিনি বোর্ডের প্রতি ক্রিকেটারদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘ক্রিকেটারদের আত্মবিশ্বাস দিন, বোঝান– তারা বোর্ডের পূর্ণ সমর্থন পাচ্ছে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ